নরসিংদী প্রতিনিধি>
চাহিদার টাকা বিকাশ করার পরও মেরে ফেললো অনয়কে। নরসিংদীর বেলাবতে ঘটেছে এ নির্দয় ঘটনা। অপহরণের ৫ দিন পর আড়িয়াল খাঁ নদীতে ভেসে উঠে (১৩) বছরের এই স্কুল ছাত্রের লাশ। পরিবারে দাবী উদ্ধার হওয়া লাশটিই তাদের অনয়। তবে পুলিশ বলছে ডিএনএ টেস্টের আগে নিশ্চিত হওয়া যাবেনা লাশটি কার।
অনয় চন্দ্র মোদক বেলাব উপজেলা বেলাব মাটিয়াল পাঁড়া গ্রামের গৌরাঙ্গ চন্দ্র মোদকের ছেলে। সে বেলাব পাইলট সরকারী মর্ডান উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্র। অনয় নিখোঁজের পর অজ্ঞাত নাম্বার থেকে চাওয়া হয় এক লক্ষ টাকা মুক্তিপণ।
তাদের কথামত মুক্তিপণ হিসাবে প্রথমে দেওয়া হয় ২০ হাজার টাকা,দ্বিতীয় বার দেওয়া হয় ৮০ হাজার টাকা।
চলতি মাসের ১৪ তারিখে সন্ধ্যায় অনয় চন্দ্র মোদক বেলাব
মাটিয়াল পাঁড়া নিজ বাড়ি থেকে শিক্ষা উপকরণ ক্রয় করার জন্য বেলাব বাজার হতে নিখোঁজ হয়। পরে নিখোঁজ অনয়ের পরিবার বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে তার সন্ধান না পেয়ে ওই দিন রাতেই বেলাব থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন।
পরবর্তীতে ১৬ জানুয়ারী সাধারণ ডায়রিটি মামলায় রুপান্তরীত হয়। বেলাব থানা মামলা নং-১৬। এদিকে অনয় নিখোঁজের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে
নিখোঁজ নিয়ে লেখালেখি করার পর অজ্ঞাত নাম্বার থেকে অনয়ের পরিবারের নাম্বারে এক লক্ষ টাকা মুক্তিপণও চাওয়া হয়। তাদের কথামত বিকাশের
মাধ্যমে দেয়া হয় একলক্ষ টাকা মুক্তিপণ।
পুলিশ জানায়, বিকাশে টাকা নেয়া নম্বরটির অবস্থান বরিশালে।
এ নিউজ লেখার সময় পর্যন্ত বেলাব থানার পুলিশের একটি টীম অনয়কে উদ্ধারের জন্য বরিশালের ভোলায় অবস্থান করছে বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।
এরই মধ্যে আজ রোববার বিকালে নিখোঁজ অনয়ের গ্রামের পাশের গ্রাম বেলাব উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের দীঘলদিকান্দি এলাকার
আড়িয়াল নদে একটি ভাসমান লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়
স্থানীয়রা। ঘটনাস্থলে পুলিশ, পিবিআই, সিআইডি, ডিবির সদস্যরা পরিদর্শন করেছেন।
অনয়ের পরিবারের দাবি এটি হত্যাকান্ড। তারা অনয় হত্যার সাথে জড়িতদের সনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
বেলাব থানার ওসি মীর মাহবুবুর রহমান বলেন,নদীতে ভাসমান মরদেহের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। নিখোঁজের স্বজনরা ধারনা করছেন
এটি অনয়ের মরদেহ। লাশ সুরতহাল ও ডিএনএ পরীক্ষার শেষে জানা যাবে এটি তার মরদেহ কিনা।