পঞ্চগড়ে মাদক ও দুর্নীতি বিরোধী সচেতনতা বৃদ্ধিতে সাইক্লিং উৎসবে মেতেছে শিক্ষার্থীরা

অন্যান্য বাংলাদেশ সারাদেশ

পঞ্চগড় প্রতিনিধি >
“এসো দেশ বদলাই পৃথিবী বদলাই” এই শ্লোগানে পঞ্চগড়ে মাদক ও দুর্নীতি বিরোধী সচেতনতা বৃদ্ধিতে সাইক্লিং উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।আজ শনিবার জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও সম্মিলিত সেচ্ছাসেবী ফোরামের বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে বেলুন উড়িয়ে উৎসবের শুভ সূচনা করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব খালেদ রহিম। এসময় মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের যুগ্ন সচিব খোরসেদ আলম খান, জেলা প্রশাসক সাবেত আলী, পঞ্চগড় ১৮ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মনিরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সী, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সৈয়দপুর ক্যান্টন্টমেন্টের ২৯ বীরের মেজর মেহেদী হাসান প্রমুখ।
পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে এ কটি সাইকেল র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পঞ্চগড় বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
পরে অতিথিরা সাইক্লিংয়ে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের উদ্যেশে বক্তব্য রাখেন।
পরে সেখানে সাইকেল রেস অনুষ্ঠিত হয়। সাইক্লিং উৎসবে জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তিন শতাধিক ছাত্র ছাত্রী অংশগ্রহণ করেন।
জেলা প্রশাসক সাবেত আলী জানান, মাসব্যাপি তারুণ্যের উৎসব আয়োজনের লক্ষ্যই হচ্ছে তরুণদের মধ্যে লিডারশীপ তৈরী করা। এ জন্য তাদেরকে উৎসব বাস্তবায়ন এবং পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। হাজার হাজার তরুণ এই উৎসবে অংশ নিয়েছে। তরুণদের বিভিন্ন আয়োজন উপভোগ করছে হাজার হাজার মানুষ। আমরা জেলার সর্বস্তরের তরুণদের এই উৎসবে যুক্ত করার চেষ্টা করেছি।
উল্লেখ্য, মাসব্যাপি তারুণ্যের উৎসবে হাজার হাজার তরুণের স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণ ভিন্ন রকম আমেজ সৃষ্টি হয়েছে। পঞ্চগড় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে তারুণ্যের উৎসবের বিভিন্ন ইভেন্টে কয়েক হাজার তরুণ-তরণী অংশ নিয়েছে। তারুণ্যের উৎসবে মোট ২৫ টি ইভেন্ট আয়োজন রয়েছে। গত ১৮ ডিসেম্বর এই উৎসব শুরু হয়। ২৫ টি ইভেন্টের মধ্যে প্রত্যেক উপজেলায় হারিযে যাওয়া গ্রামীণ খেলা ধুলা হাজার হাজার দর্শক উপভোগ করেছে। প্রত্যেক ইউনিয়ন এবং উপজেলা কেমন চাই আগামীর বাংলাদেশ শিরোনামে তরুণদের অংশ গ্রহনে আয়োজিত হচ্ছে কর্মশালা। শুরু হয়েছে শহরের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি কার্যক্রম। জীব বৈচিত্র বিলুপ্তি রোধে পাখির অভয়ারন্য স্থাপন ও বৃক্ষ রোপন কর্মসূচী চলছে। এসব আয়োজনেও অংশ নিচ্ছে জেলার বিভিন্ন গ্রাম শহরের তরুণ সমাজ। ভলিবল, ফুটবল টুর্ণামেন্ট চলছে। এসব টুর্ণামেন্ট প্রত্যেক উপজেলায় আয়োজিত হচ্ছে। কারাতে প্রতিযোগিতা, সাইকেল রেইস, অবস্টাকল রেইস, স্কেটিং প্রতিযোগিতা অংশ নেয় সহস্রাধিক শিশু কিশোর, তরুণ-তরুণী।
উৎসবে আগামী ২১ জানুয়ারি বির্তক উৎসব, ২২ জানুয়ারী উপস্থিত বক্তৃতা, ২৩ জানুয়ারী শুরু হবে তিন দিন ব্যাপি পিঠা উৎসব, সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা, গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য ক্রিড়া বিনোদন, স্কিল ডেভলপমেন্ট ইযুথ সামিট, ইংলিশ স্পিকিং, লার্নিং, ফ্রিল্যান্সিং, নেটওয়াকিং এবং কমিউনিকেশনের উপর অনুষ্ঠিত হবে দিনব্যাপি প্রশিক্ষণ। রয়েছে নতুন বাংলাদেশের ধারণা প্রদানের লক্ষ্যে পেশাজীবীদের নিয়ে (রিক্সাওয়ালা, শ্রমিক, ড্রাইভার) প্রশিক্ষণ কর্মসূচী। আগামী ২৫ জানুয়ারী বিখ্যাত ব্যন্ড শিল্পীদের অংশগ্রহণে কনসার্ট আয়োজনের মধ্য দিয়ে এই উৎসব শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *