মিথ্যা ধর্ষণ মামলা প্রমানিত হওয়ায় বাদি নিজেই কারাগারে।
চরফ্যাশন প্রতিনিধি..
ভোলা চরফ্যাশন উপজেলার শশীভুষন থানাধীন চর কলমি ইউনিয়নের দক্ষিণ চর মঙ্গল ৯ নং ওয়ার্ড মোঃ ছিদ্দিক এর স্ত্রী ফজিলাতুন্নেছা নামের এক নারী আপন দেবর শাহে আলম বেপারি ও ভাগিনা মোঃ মন্জু নামের দুই জনের বিরুদ্ধে আদালতে ধর্ষণ চেষ্টা মামলা করেন,যার মামলা নং ১(১০)২৩ বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে শশীভুষন থানায় FIR নেওয়া সহ তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদনের নির্দেশ দেন।
তার সূত্র ধরে শশীভুষন থানার অফিসার ইনচার্জ ম এনামুল হক পিপিএম এর বিচক্ষণতার সাথে পুলিশের উপরস্থ কর্মকর্তাদের অবগত করলে মামলাটি লালমোহন সার্কেল অফিসার ও চরফ্যাশন সার্কেল অফিসার সহ এলাকায় তদন্ত করতে গেলে বের হয়ে আসে থলের বিড়াল। স্থানীয় ভাবে জানা যায় ফজিলাতুন্নেছার সাথে শাহে আলম বেপারীর দীর্ঘদিনের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলমান রয়েছে,সর্ব শেষ ফজিলাতুন্নেছার ছেলে ও শাহে আলম বেপারীর ছেলে ক্রিকেট খেলা কে কেন্দ্র করে কয়েক বার কথা কাটাকাটি ও মারামারির সৃষ্টি হয়, তার সূত্র ধরেই মুলত ফজিলাতুন্নেছা দেবর ও ভাগিনার বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণ চেষ্টা মামলা করেন।
মামলার তদন্ত অফিসার শশীভুষন থানার সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) শাহ জালাল রাঢ়ী তদন্ত পূর্বক বাদিনীর অভিযোগটি মিথ্যা বলিয়া আলাদতে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করলে,বিজ্ঞ আদালত তদন্ত রিপোর্ট প্রাপ্তি সাপেক্ষে বিবাদী মোঃ শাহে আলম বেপারির বিরুদ্ধে হয়রানি ও মিথ্যা অভিযোগ দেওয়ার বিরুদ্ধে সে নিজে বাদী হয়ে ফজিলাতুন্নেছাকে বিবাদী করে আদালতে অভিযোগ দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত উক্ত অভিযোগটি মঞ্জুর করে অফিসার ইনচার্জ শশীভূষণ থানাকে FIR হিসাবে গণ্য করতে নির্দেশ প্রদান করেন ,যাহার মামলা নং ৩(১০)২৪ উক্ত মামলা মূলে ফজিলাতুন্নেছাকে গ্রেফতার পূর্বক শশীভুষন থানা পুলিশ আসামি ফজিলাতুন্নেছাকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করেন। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।
শশীভুষন থানার অফিসার ইনচার্জ ম এনামুল হক পিপিএম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে কোন নিরীহ মানুষকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর সুযোগ নেই, মিথ্যা মামলা দেওয়ার অপরাধে ফজিলাতুন্নেছা নামের নারীকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে।এই ঘটনাদারা মিথ্যা মামলা দেওয়ার প্রবণতা কমে আসবে বলে তিনি আশা করেন।