নিখাদ বার্তাকক্ষ : সাংবাদিক সমাজ কোটা সংস্কার আন্দোলনকালে বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের চালানো হত্যাকান্ড ও অগ্নিসংযোগের তীব্র নিন্দা জানিয়ে দেশের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহীত পদক্ষেপের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেছেন।
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গতকাল দুপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনকালে বিএনপি-জামায়াত ও শিবিরের সহিংসতা ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে আয়োজিত এক সমাবেশে সাংবাদিক নেতারা এই সমর্থন জানান। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাংবাদিক ফোরাম এই সাংবাদিক সমাবেশের আয়োজন করে।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা’র (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন এমপি, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি ওমর ফারুক, বিশিষ্ট সাংবাদিক নেতা মন্জুরুল আহসান বুলবুল, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বিএফইউজে’র সাবেক মহাসচিব আব্দুল জলিল ভূঁইয়া, সাংবাদিক নেতা আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, সম্পাদক ফোরামের আহবায়ক রফিকুল ইসলাম রতন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র (ডিআরইউ) সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ, ডিইউজে’র সিনিয়র সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু ও বঙ্গবন্ধু সাংবাদিক পরিষদের সদস্য সচিব মোহাম্মদ আবু সাঈদ।
সমাবেশে ইকবাল সোবহান চৌধুরী মানুষের জানমাল রক্ষায় সারাদেশের সেনাবাহিনী মোতায়েনের সময়োপোযোগী সিদ্ধান্ত নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরের সঙ্গে জড়িত দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান।
আবুল কালাম আজাদ বিএনপি-জামায়াত ও শিবিরের চালানো ধ্বংসযজ্ঞকালে নিহতদের প্রতি শোক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে অর্জিত স্বাধীনতাকে যারা মেনে নিতে পারেনি, তারাই এই নারকীয় হামলা পরিচালনা করেছে।
মনজুরুল আহসান বুলবুল কোটা আন্দোলন চলাকালে হত্যাকান্ড, সাংবাদিক হত্যা ও নির্যাতন এবং সারাদেশে ভাংচুরের বিষয়কে অন্তর্ভূক্ত করে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করতে সরকারের প্রতি আহবান জানান।
ওমর ফারুক বলেন, কোটা আন্দোলন চলাকালে বিএনপি-জামায়াতের চালানো ধ্বংসযজ্ঞ পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ। আন্দোলনকারীদের নিজেদের নিজেরা রাজাকার হিসেবে উল্লেখ করায় আমরা স্তম্ভিত হয়েছি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করার পর জেনারেল জিয়া রাজাকারদের জেল থেকে মুক্তি দেওয়ায়ই তাদের পক্ষে এ ধরনের স্পর্ধা দেখানো সম্ভব হয়েছে।