পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদে বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুর কারণে মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) ১২ ঘণ্টার জন্য উত্তরবঙ্গে হরতালের ডাক দিল রাজ্য বিজেপি। পাশাপাশি বুধবার (১৫ জুলাই) রাজ্যের থানাগুলোতে বিক্ষোভ এবং দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দ্বারস্থ হওয়াসহ সোমবার একগুচ্ছ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
বিজেপি বিধায়কের রহস্যজনক মৃত্যুর জন্য সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে সোমবার (১৩ জুলাই) পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের কাছে একটি ডেপুটেশনও জমা দেয় রাজ্য বিজেপি।
তাতে এদিন নেতৃত্ব দেন রাহুল সিনহা, দিলীপ ঘোষ, অর্জুন সিং, সব্যসাচী দত্তের মতো রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতারা। তারা রাজ্যপালকে জানান, মমতার পুলিশ প্রশাসনের উপর তাদের কোনো আস্থা নেই।
বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, মঙ্গলবার ফরাক্কা থেকে কোচবিহার পর্যন্ত এই হরতাল পালন হবে।
এদিকে দেবেন্দ্রনাথ রায়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনাকে খুন হিসেবে অভিহিত করে কলকাতায় মিছিল করেছে রাজ্য বিজেপি নেতারা। দলের যুব সভাপতি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বলেন, এটা পরিকল্পিত খুন। না হলে মরদেহের কী করে এক হাত বাঁধা থাকে। এছাড়া ওই সময় তার দেহরক্ষীরা কোথায় ছিল?
বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সুইসাইড নোট পাওয়ার কথা একেবারে বানানো। প্রথমে তদন্ত করে কিছু পাওয়া গেলো না। পুলিশ পকেট থেকে সুসাইড নোট পেলো।
বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রের তরফে পশ্চিমবঙ্গের অবজারভার কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র দাবি, দেবেন্দ্রনাথ রায়কে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিজেপি করার অপরাধেই বিধায়কের এই পরিণতি।
সোমবার (১৩ জুলাই) বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে রাস্তার ধারে একটি চায়ের দোকানে ঝুলন্ত অবস্থায় বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের দেহ দেখতে পান এলাকাবাসী। তারপর পুলিশ মৃত বিধায়কের পকেট থেকে সুসাইড নোট উদ্ধার করে।
মৃতের পরিবারের সদস্যদের দাবি, রাত একটার সময় তাকে বাড়ি থেকে কয়েকজন ডেকে নিয়ে যায়। তারপর মরদেহের খবর পায় তারা। একেবারে পরিকল্পনা করে এই খুন করা হয়েছে।
সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে বিধায়কের পরিবারের সদস্যরাও।