মেজর জেনারেল মো. আশিকুজ্জামানকে কুয়েতে বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। ৩১শে জুলাইয়ের পর (সুবিধাজনক সময়ে) কুয়েত সিটিতে নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করতে যাচ্ছেন তিনি। কুয়েতে নিযুক্ত বহুল আলোচিত এবং বিতর্কিত বর্তমান রাষ্ট্রদূত এসএম আবুল কালামের স্থলাভিষিক্ত হবেন তিনি। নীতি-নির্ধারণী সূত্র বলছে, জ্যেষ্ঠ সামরিক ওই কর্মকর্তাকে পাঠানো হচ্ছে মূলত পাপুলকাণ্ডে কুয়েতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি যেভাবে সংকটে পড়েছে তা পুনরুদ্ধারের প্রত্যাশায়। পাপুলকাণ্ডে বিদায়ী রাষ্ট্রদূত এসএম আবুল কালামও ফেঁসে যেতে পারেন মর্মে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে খবর বেরিয়েছে। যদিও এখন পর্যন্ত এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল বা রাষ্ট্রদূত এসএম আবুল কালাম কারও বিরুদ্ধেই কুয়েতে আনুষ্ঠানিক মামলা হয়নি। মানবপাচার, অর্থপাচার ও শ্রমিক নিপীড়নের বিস্তর অভিযোগ এবং ভুক্তভোগীদের সাক্ষীর প্রেক্ষিতে এমপি পাপুলকে গত ৬ই জুন তার মুশরেক এলাকার বাসা থেকে আটক করে কুয়েত সিআইডি। দীর্ঘ সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতের নির্দেশে তাকে কুয়েতের কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে।
পাপুলের কুকর্ম নয় বরং সাফাই গেয়ে ঢাকায় রিপোর্ট পাঠানো বিদায়ী রাষ্ট্রদূত কালাম ডিপ্লোমেটিক ইমিউনিটি অ্যান্ড প্রিভিলেজপ্রাপ্ত হওয়ায় স্বাভাবিক অবস্থাতেই ৩১শে জুলাই দেশে ফিরছেন!
নতুন দূতের বৃত্তান্ত: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সরবরাহ করা তথ্যমতে, কুয়েতে নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মো. আশিকুজ্জামান ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। বর্ণাঢ্য সামরিক জীবনে তিনি ইনস্ট্রাশানাল, স্টাফ ও কমান্ড পর্যায়ে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি সিয়েরালিওন, আইভরিকোস্ট ও কঙ্গোতে জাতিসংঘের তিনটি শান্তি সহায়ক মিশনে দায়িত্ব পালন করেছেন। রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগের আগে তিনি বাংলাদেশে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে সিনিয়র ডিরেক্টিং স্টাফ (আর্মি) হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘মাস্টার্স অব ডিফেন্স স্টাডিজ’ ও ‘মাস্টার্স অব স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ’ অর্জন করেন।