মো: ওবাইদুল হক (চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি) :
গত(১০ জানুয়ারি) অত্র ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ সোনামসজিদ বিওপির নায়েক মোঃ সেলিম রেজা এর নেতৃত্বে একটি টহল দল বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত পিলার ১৮৪/৪-এস হতে আনুমানিক ৯০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানাধীন শাহাবাজপুর ইউনিয়নের কয়লাবাড়ী বিজিবি ভেহিক্যাল স্ক্যানার চেকপোষ্ট সংলগ্ন এলাকায় ১.৫৬৫ কেজি ভারতীয় হেরোইন, ১৯৮৫ পিস ইয়াবা, ১৫ বোতল ফেন্সিডিল এবং ১টি মোটর সাইকেল পাওয়া যায়।
আসামীকৃত হলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ থানার কাগমারী গ্রামের মোঃ আব্দুর রশিদ এর ছেলে মোঃ শাহাদত হোসেন (২৩)।
আটককৃত আসামীকে, শিবগঞ্জ থানায় মামলা করতঃ হস্তান্তর করা হয় (মামলা নং-১৮ তারিখ ১০ জানুয়ারী)। উল্লেখ্য, বর্ণিত আসামী অত্র ব্যাটালিয়নের সোনামসজিদ, আজমতপুর এবং চকপাড়া বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার মধ্যে চিহ্নিত তালিকাভূক্ত চোরাকারবারী এবং তার নামে শিবগঞ্জ থানায় ইতোপূর্বে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে অনুষ্ঠিত কোম্পানী/বিওপি কমান্ডার পর্যায়ে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠকে বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশী চোরাকারবারীদের নামীয় তালিকা প্রদান করে তার মধ্যে উক্ত আসামী শাহাদত এর নাম রয়েছে।
গত (১০ জানুয়ারি) আটককৃত আসামীকে থানায় সোপর্দ করার পূর্বে কথিত সাংবাদিক এস এম রুবেল কর্তৃক ব্যাটালিয়ন অধিনায়ককে ফোন করে উক্ত আসামীকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন প্রলোভন দেখায় এবং অনুরোধ করেন। বিজিবি মাদক এবং চোরাচালানের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নের লক্ষে অধিনায়ক বর্ণিত আসামীকে শিবগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেন।
অদ্য (১২ জানুয়ারি) ১১.০০ ঘটিকায় আসামী শাহাদত এর ঘনিষ্ঠ সহযোগী কথিত সাংবাদিক মাদকসেবী ও মাদক চোরাকারবারীর সহযোগী এস এম রুবেল (চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রেস ক্লাব কর্তৃক অনিবন্ধিত) এবং কয়েকজন ফেসবুক ব্লগার, আসামী শাহাদত এর পরিবারকে ডেকে এনে প্রেস ব্রিফিং এ বিজিবির বিরুদ্ধে মিথ্যা এবং বানোয়াট অভিযোগ করেন। যা সম্পূর্ন মিথ্যা এবং ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য সংবাদ প্রকাশ করা হয়। ৫৯ বিজিবি মাদক চোরাচালানের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরন করে যা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, গত এক বছরে,অত্র ব্যাটালিয়ন কর্তৃক ১০৩ জন আসামীকে বিভিন্ন প্রকার মাদক, অস্ত্র এবং চোরাচালানী মালামালসহ আটক করা হয়েছে।