৯৬ দৌলতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বই উৎসব অনুষ্ঠিত।
মিজান ফারহান।।
০১ জানুয়ারি ২০২৪
নতুন ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ‘বই উৎসব’-এর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রথম থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিয়ে নতুন শিক্ষাবর্ষের বই বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন তিনি। এসময় প্রাথমিক, মাধ্যমিক, ইবতেদায়ি, দাখিল ও কারিগরি পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। গতকাল রোববার(৩১ ডিসেম্বর ২০২৩) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে বই উৎসব উদ্বোধনের এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
তারই প্রেক্ষিতে নতুন ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ‘বই উৎসব’-এর উদ্বোধন করেছেন ভোলার চর ফ্যাসন উপজেলা ৯নং চর মানিকা ইউনিয়ন আওতাধীন। ৯৬ নং দৌলতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম । প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণির পর্যন্ত ২৩৬ জন শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিয়ে। নতুন শিক্ষাবর্ষের বই বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন তিনি। আজ শনিবার (০১ জানুয়ারি ২০২৪) সকালে। শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে বই উৎসব উদ্বোধনের এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল, অত্র বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি দক্ষিণ আইচা প্রেসক্লাবে সভাপতি মোঃ আশ্রাফ উদ্দিন (সবুজ) দক্ষিণ আইচা প্রেসক্লাবে সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফরিদ উদ্দিন ৯নং চর মানিকা ইউনিয়ন প্রয়াত চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ শফিউল্লাহ হাং এর ছোট ছেলে মোঃ আশরাফ তুহিন ও সহকারী শিক্ষক ও শিক্ষিকাগন সহ অভিভাবক বৃন্দ ।
ছাত্র /ছাত্রীদের বই হাতে তুলে দিয়ে ছাত্র ছাত্রীদের উদ্দেশ্য অত্র বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক বলেন । পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি সৃজনশীল বই পড়ার অভ্যাস তৈরির মাধ্যমে মানোন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদের আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে হবে।
এনসিটিবি জানায়, ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে মোট ৩ কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার ৩৫৪ জন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মধ্যে ৩০ কোটি ৭০ লাখ ৮৩ হাজার ৫১৭টি পাঠ্যবই ও শিক্ষক সহায়িকা বিতরণ করা হবে। এর মধ্যে প্রাক-প্রথমিক ৩০ লাখ ৮০ হাজার ২০৫ জন শিক্ষার্থীকে দেওয়া হবে ৬১ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭৮টি পাঠ্যবই। প্রাথমিকে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ১ কোটি ৮২ লাখ ৫৫ হাজার ২৮৪ জনকে দেওয়া হবে ৮ কোটি ৭৪ লাখ ৪ হাজার ৬৯৭টি পাঠ্যবই। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ৮৫ হাজার ৭২২ জন শিক্ষার্থীকে দেওয়া হবে ২ লাখ ৫ হাজার ৩১টি পাঠ্যবই। এছাড়া প্রাথমিক স্তরের ইবতেদায়ি প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ৩০ লাখ ৯৬ হাজার ৬০৮ জন শিক্ষার্থীকে দেওয়া হবে ২ কোটি ৭১ লাখ ৮৭ হাজার ৭৭৬টি পাঠ্যবই।