ডিজিটাল প্রতারণার মামলায় চরফ্যাসনের প্রতারক দিপুর ১৩ বছরের কারাদণ্ড।
রংপুর ব্যুরো।
প্রকাশ: বুধবার, ১১ অক্টোবর ২০২৩
ডিজিটাল প্রতারণার মামলায় চরফ্যাসনের প্রতারক দিপুর ১৩ বছরের কারাদণ্ডডিজিটাল প্রতারণার মামলায় চরফ্যাসনের প্রতারক দিপুর ১৩ বছরের কারাদণ্ড
রংপুর: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তা এবং এনএসআইয়ের মহা-পরিচালক পরিচয় দিয়ে প্রটোকল নিয়ে এবং সরকারি প্রজ্ঞাপন জালিয়াতি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে অর্থ আত্মসাত ও ডিজিটাল প্রতারণার মামলায় বহুল আলোচিত ভোলা চরফ্যাসন উপজেলার বাসিন্দা আশরাফুল ইসলাম দিপু (২৮) নামের এক যুবককে ১৩ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে রংপুর সাইবার ট্রাইবুনাল। একই সঙ্গে তার সম্পত্তি বিক্রি করে ভুক্তভোগিকে ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ভোলার ডিসিকে ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশও দেন। দন্ডপ্রাপ্ত দিপু ভোলা জেলার চরফ্যাসন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার উত্তর কলমি এলাকার আব্দুল জলিল ওরফে মতি ফকিরের ছেলে। বুধবার দুপুরে রংপুর সাইবার ট্রাইবুনালের বিচারক ট্রাইবুনালের বিচারক আব্দুল মজিদ এই আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবি রংপুর জজ আদালতের পিপি আব্দুল মালেক ও সাইবার ট্রাইবুনালের পিপি অ্যাডভোকোট শাম্মী আক্তার।
তারা সাংবাদিকদের জানান, বরিশালের ভোলা জেলার দক্ষিণ আইচা থানাধীন উত্তর কলমি এলাকার আব্দুল জলিল ওরফে মতি ফকিরের ছেলে আশরাফুল ইসলাম দিপু ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে সরকারের বিভিন্ন উচ্চ দফতরের প্রধানের পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করে। সে সারাদেশে এধরণের প্রতারণা করে। এসব এঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। এ ধরণের ঘটনায় নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের কিসামত বীরচরণ এলাকার জহির উদ্দিনের ছেলে সানাতুল্লাহ সানু (৩২) ২০২১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি কিশোরগঞ্জ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। পরে মামলাটি সাইবার ট্রাইবুনালে আসে। সাক্ষীদের জবানবন্দি এবং ডিজিটাল তথ্য নিশ্চিত হওয়ায় পৃথক তিনটি ধারায় তাকে ১৩ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেয় আদালত। এ সময় আসামি দিপুর সম্পত্তি বিক্রি করে ভুক্তভোগী সানুর কাছ থেকে হাতিয় নেয়া ১০ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ফেরত দিতে ভোলার ডিসিকে ব্যবস্থা গ্রহনের আদেশও দেয় আদালত। যা একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে প্রতারিত সানু তার অর্থ ফেরত পাবেন।
রংপুর জজ আদালতের পিপি আব্দুল মালেক বলেন, সারাদেশের বিভিন্নস্থানে তার নামে মামলা হয়েছে। রংপুর সাইবার ট্রাইবুনাল যে রায় দিয়েছে তা যুগান্তকারী। এটাকে অনুসরণ করে তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অন্যান্য মামলাগুলোর তদন্ত প্রতিবেদন দ্রুত দেয়া এবং বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানান তিনি। একই সাথে ডিজিটাল প্রতারকদের সম্পর্কে সাবধান থাকার আহ্বান জানান দেশবাসীকে। আসামি পক্ষের আইনজীবী আহসান হাবীব জানান, রায়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।