মুফতি রুহুল আমীন:
মসজিদকে বলা হয় সৃষ্টিকর্তা আল্লাহতায়ালার ঘর ও মুসলিমদের ইবাদত কেন্দ্র। মসজিদ প্রত্যেক মুসলমানের কাছে অত্যন্ত প্রিয় ও পবিত্র জায়গা। ইসলামে মসজিদ নির্মাণ এবং মসজিদ সংরক্ষণের বিষয়ে বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদিসে ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য মসজিদ নির্মাণ করবে, আল্লাহতায়ালা তার জন্য জান্নাতে অনুরূপ ঘর নির্মাণ করবেন।’ সহিহ বোখারি : ৪৫০
ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের জন্য দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি মসজিদ ও ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন বিরল এক ঘটনা। ইতিহাস হয়ে থাকবে শেখ হাসিনার এ কর্ম ও মুসলমানদের প্রতি তার মমত্ববোধ ও ভালোবাসার কথা। এক অনন্য, অসাধারণ, বিস্ময়কর ও ইতিহাস সৃষ্টিকারী দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশে মসজিদ নির্মাণের ইতিহাস সোনালি হরফে লিখিত থাকার মতো ঘটনা। শুধু এ মসজিদ নির্মাণই শেষ নয়, এর আগেও মুসলমানদের প্রতি ভালোবাসা এবং ইসলামের শান্তির বাণী চারদিকে ছড়িয়ে দিতে তিনি নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন। শতকরা ৯২ জন মুসলিম জনসংখ্যার এ দেশে তিন লক্ষাধিক মসজিদ রয়েছে বলে জানা যায়। এদিক থেকে বাংলাদেশ মসজিদের দেশ হিসেবে অনেক আগেই পরিচিতি লাভ করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তার সরকার আরও ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়ে যে চমক সৃষ্টি করেছেন, তা বিস্ময়কর।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকার এজন্য সংশ্লিষ্ট সব মহলের সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য এবং আমরাও জানাই অভিনন্দন-মোবারকবাদ। মডেল মসজিদ যেসব লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সামনে রেখে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, তা যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের মসজিদের ইতিহাসে এক নয়া অধ্যায়ের সূচনা হবে।
লেখকঃ খতিব, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম