আগামী ২০৪০ সালের মধ্যে বিশ্বের শীর্ষ ২০টি অর্থনীতির একটি হবে বাংলাদেশ। বাজারের আকার, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও বিভিন্ন খাতে সম্ভাবনা বিবেচনায় নিয়ে এমনটিই মনে করছে যুক্তরাজ্যের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ)।
ইকোনমিস্ট পত্রিকার গবেষণার শাখা ইআইইউর ‘চায়না গোয়িং গ্লোবাল ইনভেস্টমেন্ট ইনডেক্স ২০২৩’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। বিভিন্ন দেশে চীনের বিনিয়োগ ও বাজারের সম্ভাবনাবিষয়ক এই প্রতিবেদনটি সম্প্রতি প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
এর আগে গত বছর অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) বিভাগ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের ২৪তম বড় অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ। আর ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে একটি পরিপূর্ণ ডিজিটাল অর্থনীতির দেশ।
এ ছাড়া বাংলাদেশের অর্থনীতির বড় সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সেন্টার ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ (সিইবিআর)। অর্থনৈতিক গবেষণা সংস্থাটি তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছে, ২০৩৬ সালের মধ্যে বিশ্বের ২৪তম বড় অর্থনীতিতে পরিণত হবে বাংলাদেশ।
২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে সরকার ঘোষিত রূপকল্প এবং প্রেক্ষিত পরিকল্পনায়।
ইআইইউর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের ব্যবসায়ীদের জন্য সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিনিয়োগ-গন্তব্যের তালিকায় এখন বাংলাদেশ রয়েছে ১২তম অবস্থানে। ১০ বছর আগে, অর্থাৎ ২০১৩ সালে বাংলাদেশ ছিল এ তালিকার ৫২ নম্বরে। এ ক্ষেত্রে এবার প্রথম স্থানে আছে সিঙ্গাপুর। বাংলাদেশের ঠিক এক ধাপ আগে, অর্থাৎ ১১তম অবস্থানে আছে প্রতিবেশী দেশ ভারত।
চীনের কোম্পানিগুলোর জন্য ভালো সুযোগ রয়েছে এমন দেশের তালিকায় বাংলাদেশ আছে অষ্টম অবস্থানে। এ ক্ষেত্রে প্রথম অবস্থানে আছে ভারত। চীনের বাজার সম্প্রসারণে সম্ভাবনাময় দেশের তালিকায় ইন্দোনেশিয়ার পরই দ্বিতীয় অবস্থানে আছে বাংলাদেশ।