সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় যুদ্ধাপরাধ মামলায় ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামী সাবেক সাংসদ খালেক মন্ডল মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে খুলনা জেলা কারাগারের পিজন সেলে মৃত্যুবরণ করেন।
তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বৈকারী ইউনিয়নের খলিলনগর গ্রামের মৃত চানমন্ডলের পুত্র। এছাড়া তিনি সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের আমীর এবং সাতক্ষীরা সদর -২ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় পাঁচ ব্যক্তিকে জবাই ও বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যার অভিযোগে সাতক্ষীরা সদর আসনে জামায়াতের সাবেক সাংসদ আব্দুল খালেক মন্ডলসহ নয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালের ২ জুলাই মামলা দায়ের হয়। মামলা করেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শিমুলবাড়িয়া গ্রামের শহীদ রুস্তম আলী গাজীর ছেলে নজরুল ইসলাম গাজী। পরে মামলাটি আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।
২০১৫ সালের ১৬ জুন ভোরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার খলিলনগর মহিলা মাদ্রাসায় বৈঠকের সময় খালেক মন্ডলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে মানবতাবিরোধী অপরাধের তিনটি মামলার মধ্যে শহীদ মোস্তফা গাজী হত্যা মামলায় সাবেক এই জনপ্রতিনিধিকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এর পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা যুদ্ধাপরাধীদের বিষয়ে জানতে ২০১৫ সালের ৭ অগাস্ট তদন্তে নামে, যা চলে ২০১৭ সালে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
২০১৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেক মন্ডল, শহরের পলাশপোল এলাকার খান রোকনুজ্জামান, আব্দুল্লাহ আল বাকী এবং জহিরুল ইসলাম ওরফে টিক্কার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দেয় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।
সেখানে মোট ৩৩ জনকে সাক্ষী করা হয়েছিল, যাদের মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্য শুনে ট্রাইব্যুনাল ২০২২ সালের ২৪ মার্চ তাদের ফাঁসির দ- দেন। ফাঁসির দ- পাওয়াদের মধ্যে আব্দুল্লাহ আল বাকী এবং জহিরুল ইসলাম ওরফে টিক্কা ইতোমধ্যে মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার মারা গেলেন খালেক মন্ডল। শুধুমাত্র খান রোকনুজ্জামান বেঁচে থাকলেও পলাতক রয়েছেন।
সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।