রিজেন্ট হাসপাতালে র্যাবের অভিযানের চারদিন পরও মো. শাহেদ ওরফে শাহেদ করিম গ্রেফতার হননি। এ বিষয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, তাকে গ্রেফতার না করা পর্যন্ত সব রকমের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
রোববার (১২ জুলাই) রাজধানীতে শাহেদকে দ্রুত গ্রেফতারের বিষয়ে কথা বলেন তিনি।
এর আগে শুক্রবার (১০ জুলাই) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাকে খুঁজে বের করবে। তবে তারও উচিত আত্মসমর্পণ করা। শাহেদকে ধরতে র্যাব-পুলিশ খুঁজছে। আশা করি, শিগগিরই তা জানাতে পারব।
এর আগে বৃহস্পতিবার গুঞ্জন উঠে শাহেদ সাতক্ষীরার হঠাৎগঞ্জ দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাচ্ছেন। তবে এই গুঞ্জন কতটুকু সত্য, তা জানা যায়নি।
পরিবারের সদস্যরা বলছেন, শুক্রবার বাবা সিরাজুল করিম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেও পরিবারের সঙ্গে সে কোনো যোগাযোগ করেননি।
করোনার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা না করেই ভুয়া রিপোর্ট দেয়াসহ নানা অনিয়ম ধরা পড়ায় গত মঙ্গলবার (৭ জুলাই) রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখা বন্ধ করে দেয়া হয়। এর পরপরই রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. শাহেদকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা (মামলা নম্বর- ৫) করে র্যাব। এর মধ্যে আটজন গ্রেফতার রয়েছেন। ওই মামলায় শাহেদসহ নয়জনকে পলাতক হিসেবে এজাহারভুক্ত করা হয়।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্য, শাহেদের বিরুদ্ধে ধানমণ্ডি থানায় ২টি, বরিশালে ১টি, উত্তরা থানায় ৮টি মামলাসহ রাজধানীতে ৩২টি মামলা রয়েছে। ২০০৯ সালের জুলাইয়ে প্রতারণার মামলায় তিনি একবার গ্রেফতারও করা হয়েছিলেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখার কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। মঙ্গলবার বিকেলেই উত্তরায় রিজেন্টের প্রধান কার্যালয় সিলগালা করে দেয় র্যাব।