ভোলার চরফ্যাশনের সাগরে ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ ৭ জেলের মধ্যে ৫ জন জেলের মরদেহ
উদ্ধার করেছে তাদের স্বজনরা।
নিখাদ বার্তা কক্ষ।।
শুক্রবার (৩০ জুন) দুপুরে নিখোঁজের পাঁচদিন পর সাগর মোহনার শিবচর এলাকা থেকে ৫ জন জেলের মৃতদেহ
উদ্ধার করে লাশবাহি ট্রলার চরফ্যাশনের সামরাজ ঘাটে এসে পৌচ্ছেন স্বজনরা। তবে এখনও নিখোঁজ রয়েছে
চরফ্যাশনের ২ জেলে।
এদিকে মরদেহ উদ্ধারের খবরে সামরাজ মৎস্য ঘাটে ভিড় করেছে নিখোঁজদের অন্য স্বজনরা সহ স্থানীয়রা।
জানা যায়, উপজেলার সামরাজ ঘাটের জাহাঙ্গীর মাঝির মালিকানা ট্রলারটি মাছ ধরতে গিয়ে ২৫ জনুসাগর মোহনায়।
ঢেউয়ের আঘাতে ডুবে যায়। এতে ট্রলারে থাকা ১৩ মাঝি মাল্লার মধ্যে জাহাঙ্গীর, আবদুল গণিকে দূর্ঘটনার পরই
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালির একটি মাছ ধরার ট্রলার তাদেরকে জীবিত উদ্ধার করে। এরপর ২৮ জনু আবদুর রব, জাকির মিন্ত্রী, আনোয়ার, ও জাকির আকন নামের আরও ৪ জন জীবিত উদ্ধার হয়। মোট ৬ জনকে উদ্ধার করলেও নিখোঁজ
থাকে আরও ৭ জন জেলে।
এ ব্যাপারে সামরাজ ঘাটের আড়ৎ মালিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন পাটোয়ারী জানান, এর
আগে জীবিত উদ্ধার হওয়া জেলেদের তথ্য অনুযায়ী দূর্ঘটনার স্থান থেকে ২টি ট্রলারে করে নিখোঁজদের স্বজনরা।
অভিযান চালায়। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত সাগর মোহনার শিবচর এলাকা থেকে ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করে লাশবাহী
ট্রলারটি সামরাজ ঘাটে এসে পাচ্ছেন। তিনি আরও জানান, ট্রলারের ১৩ মাঝি মাল্লার মধ্যে আগেই ৬ জন জেলেকে
জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
কিন্তু এখনও নিখোঁজ রয়েছে ২ জেলে।
চরফ্যাশন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিনার জানান, নুরুল ইসলাম, হারুন দর্জি, শরিফ
হোসেন, ছাত্তার হাওলাদার, ফজলে করিম রারী ও নুর ইসলামের লাশ পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে প্রথম চারজনের
বাড়ি চরফ্যাশনের মাদ্রাজ ইউনিয়নে ও নুর ইসলামের বাড়ি একই উপজেলার এওয়াজপুর ইউনিয়নে। সিহাব ও রহিম।
মাঝি নামের ২জন নিখোঁজ আছে।
এদিকে নিখোঁজ থাকা ২ জেলেকে ফিরে পাওয়ার আসায় রয়েছে তাঁদের পরিবারের স্বজনরা।