নিখাদ বার্তাকক্ষ : ষষ্ঠ আর্ন্তজাতিক ন্যাশ দিবস উদযাপন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ফ্যাটি লিভার বিষয়ক সচেতনতামূলক বাউল গান পরিবেশন ও পথ নাটক প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। বৃহস্পতিবার (৮ জুন) মেডিকেলের সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের অডিটোরিয়ামে বিএসএমএমইউ’র হেপাটোলজি ডিপার্টমেন্ট, ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি ডিভিশন, হেপাটোলজি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন এবং ফোরাম ফর দ্যা স্টাডি অব দ্যা লিভারের যৌথ উদ্যোগে দিবস উদযাপন করা হয়।
ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি ডিভিশনের ডিভিশন প্রধান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল এই অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান মিলন, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডা. আবদুল্লাহ আল হারুন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা তাদের বক্তব্যে ফ্যাটি লিভার বিষয়ক সচেতনতা সৃষ্টির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তাদের আলোচনায় উঠে আসে, ফ্যাটি লিভার বর্তমানে বাংলাদেশে লিভার সিরোসিস এবং লিভার ক্যান্সারের মতো। জটিল লিভার রোগগুলোর অন্যতম প্রধান কার এটি। বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ৩০ শতাংশ মানুষ ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত, যাদের প্রায় অর্ধেকেরই লিভারে রয়েছে দীর্ঘ মেয়াদী প্রদাহ বা ন্যাশ। ফলে এদের অনেকেই ভবিষ্যতে জটিল লিভার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে আছেন।
ফ্যাটি লিভার প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর পন্থা হচ্ছে লাইফ স্টাইল মডিফিকেশন এবং খাদ্যাভাসের পরিবর্তন। এর মাধ্যমে ফ্যাটি লিভারের রোগীরা তাদের লিভারের চর্বির পরিমাণ এবং ক্ষতিও কমিয়ে আনতে পারেন।
এর আগে সকালে একই ভ্যানুতে ফ্যাটি লিভার ব্যবস্থাপনার সর্বশেষ অগ্রগতি নিয়ে ভার্চুয়ালি লেকচার দেন প্যারিসের সরবন ইউনিভার্সিটির হেপাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক অধ্যাপক ভ্লাড রাতজিউ।
উল্লেখ্য ২০১৮ সালে গ্লোবাল লিভার ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে পৃথিবীর শীর্ষস্থানীয় ১৫০ জন লিভার বিশেষজ্ঞ স্বাক্ষরিত একটি যৌথ বিবৃতি লন্ডন, প্যারিস ও নিউইয়ার্ক থেকে একযোগে প্রকাশের মাধ্যমে আর্ন্তজাতিক ন্যাশ দিবস উদযাপনের সূূচনা হয়। বাংলাদেশ থেকে এই বিবৃতিতে স্বাক্ষরদাতা ছিলেন অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল এবং ডা. শেখ মোহাম্মদ ফজলে আকবর। মুজিব বর্ষে ২০২০ ও ২০২১ সালে গ্লোবাল লিভার ইনস্টিটিউটের অনুমোদনক্রমে বাংলাদেশে আর্ন্তজাতিক ন্যাশ দিবসটি ‘বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক ন্যাশ’ দিবস হিসেবে উদযাপিত হয়েছিল।