সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা পৌরভবনে মধ্যরাতে রহস্যজনক অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার রাত সাড়ে ১১টার পরে যে কোন সময় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে জামশেদ নামে পৌরসভার এক কর্মচারী আহত হয়েছে।
সাতক্ষীরা ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক আব্দুল আলিম’র নেতৃত্বে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট এসে দেড় ঘন্টার ব্যবধানে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। তবে তাৎক্ষনিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেনি। এদিকে পৌরসভার সিইও এবং ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দাবী পরিকল্পিতভাবে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা পৌরসভার পিছনের বাসিন্দা বিজয় সরকার বলেন, রাত ১১টায় ৫৯মিনিটে সাতক্ষীরা পৌরসভার তৃতীয় তলায় ধোয়া উঠতে দেখি। তার পরপরই ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের ফোন সংবাদ দেয়। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে দেড়ঘন্টা পরে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।
সাতক্ষীরা পৌরসভা সিইও নাজিমউদ্দীন বলেন, জার্মানের একটি সংস্থার অর্থায়নে পৌরসভার ভবনের দক্ষিণ পাশে তৃতীয় তলার কনফারেন্স রুম তৈরী করা হয়েছে। ওই ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত। তবে ওই রুমে এমন কোন দ্রবাদি নাই যা থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। এতে বর্জ ব্যবস্থাপনা শাখার যাবতীয় কাগজপত্র পুড়ে গেছে। আমি মনে পরিকল্পিতভাবে পৌরসভার কার্যক্রম ব্যাহত করার উদ্দেশ্যে আগুন ধরানো হয়েছে।
পৌরসভা ভারপ্রাপ্ত মেয়র কাজী ফিরোজ হাসান বলেন, পৌরসভার মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি নাশকতার মামলায় কারাগারে পাঠালে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা অপসারণ করার সিদ্ধান্ত নেয় স্থানীয় সরকার বিভাগ। আমি প্যানেল মেয়র হওয়ায় পৌরসভা আইন ২০০৯ এর ৪০-২ ধারা অনুযায়ী আমাকে ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। বিগত কয়েক দিন ফেইসবুকে মেয়র তাজকিন আহমেদের পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। সে কারণে মনে করছি কেউ নাশকতা করা আগুন ধরিয়ে দিতে পারে। রাতে ১২টা ১০ মিনিটে পৌরভবনে আগুন লাগার সংবাদ শুনে আমরা তাৎক্ষণিক ভাবে পৌরসভায় আসি। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে। তবে কী পরিমান ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তাৎক্ষনিক বলতে পারছি না। কি কারণে আগুন লেগেছে তা এখনই বলা সম্ভব হচ্ছেনা। আগুন লাগার বিষয়ে তদন্ত কমিটি করা হবে। তদন্ত শেষে আগুনের সূত্রপাত বলা যাবে।
সাতক্ষীরা ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক আব্দুল আলিম, রাতে সাতক্ষীরা পৌরভবনে অগ্নিকান্ডের খবর শুনে আমাদের তিনটি ইউনিট কাজ করে দ্রæত আগুন নিয়ন্ত্রণ এনেছি। কিভাবে আগুনে সূত্রপাত হয়েছে তদন্ত করে বলতে পারবো।