নিজস্ব প্রতিবেদকঃ খুলনা জেলার কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীকে সিজার করতে গিয়ে খুলনার সিভিল সার্জন ডা.সুজাত আহমেদ এর বিরুদ্ধে নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে, গত ১৫ই অক্টোবর রোজ বৃহস্পতিবার বিকেলে। জানা যায় কয়রা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অপারেশন থিয়েটারে খুলনার সিভিল সার্জন ডাক্তার সুজাত আহমেদের ভুল সিজারে নবজাতকের মৃত্যু হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা বলেন, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মায়ের অবস্থাও আশংকাজনক। তাকে কয়রা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। নবজাতকের মায়ের নাম ফাতেমা খাতুন তিনি কয়রা উপজেলার মঠবাড়িয়া এলাকার আসাদুর মোড়লের স্ত্রী। ফাতেমার স্বামী আসাদুর মোড়ল জানান, সাত হাজার টাকার বিনিময়ে অপারেশন করার জন্য খুলনার সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদের সাথে আমার পরিবারের লোকজনের চুক্তি হয়। সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় নির্দিষ্ট সময়ে অপারেশন করলেও ভুল চিকিৎসার কারণে আমার বাচ্চাটি মারা গেছে। এখন আমার স্ত্রীর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। কয়রা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কমকর্তা ডা. সুদিপ বালা জানান, “অপারেশনটি সিভিল সার্জন করেছেন।” শনিবার রাতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. এম এ হাসানও একই তথ্য জানান।কয়রা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কমকর্তা ডা. সুদিপ বালা জানান, প্রতি মাসে সিভিল সার্জন কয়রা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে চুক্তিভিত্তিক ৫০ থেকে ৬০টির মতো এপেন্ডিক্স, ১২টির মতো সিজারসহ অন্যান্য অপারেশন করে থাকেন। তিনি জানান, সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদের গ্রামের বাড়ি কয়রা উপজেলায়। সিভিল সার্জন হিসেবে পদোন্নতি পাবার আগে তিনি এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ছিলেন। তবে সিভিল সার্জন নিজের ভুলে নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে বিষয়টি অস্বীকার করে অপারেশনে মৃত সন্তান জম্ম নিয়েছে বলে জানান। এবং সিভিল সার্জন দাবি করেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অন্যান্য চিকিৎসকরা ঢাকায় ট্রেনিংয়ে থাকার কারণে তিনি অপরেশনটি করেছেন। নবজাতকের মৃত্যুর পর এলাকাবাসীর ক্ষোভের মুখে ডা. সুজাত দ্রুত খুলনায় চলে আসেন। স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কমকর্তা ডা. সুদিপ বালা বলেন সিভিল সার্জন এর এই দাবি মিথ্যা ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। তিনি বলেন, কয়রা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোন চিকিৎসকই ঢাকাতে ট্রেনিংয়ে নেই। অপারেশনের সময় তিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই ছিলেন। সন্ধ্যায় তিনি ঢাকার উদ্দেশ্যে কয়রা ছাড়েন।