সাতক্ষীরায় ওএমএসে ৩০ টাকার চাল বিক্রি শুরু

সারাদেশ

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় স্বল্প আয়ের মানুষের মাঝে সরকারিভাবে পৌরসভা ও উপজেলার সদরে ৩০ টাকা কেজি দরে সকলের জন্য ৫ কেজি করে ওএমএস এর চাল বিক্রি শুরু হয়েছে। এছাড়া আগামী সপ্তাহ থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১ লাখ ২৮ হাজার ৮৩১ জন উপকারভোগীর মাঝে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি শুরু হবে।
বৃহস্পিতবার দুপুরে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কমসূচি সম্পর্কে অবহিতকরণ সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোঃ হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে এ সময়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক কাজী আরিফুর রহমান, জেলা খাদ্য কর্মকর্তা প্রিয় কমল চাকমা, খাদ্য অধিদপ্তরে রকিবুল ইসলামসহ জেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোঃ হুমায়ুন কবির বলেন, বর্তমান সরকার সাধারণ জনগণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু কিছু মানুষ খাদ্য ঘাটতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে গুবজ ছাড়াচ্ছে। দেশের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছেন এবং যড়যন্ত্র করছে। দেশে ৫ মাসের খাদ্য মজুত আছে। খাদ্য ঘাটতি নিয়ে কোন ভয় নেই।
তিনি আরও বলেন, সাধারণ মানুষের কষ্ট লাগবে সরকার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় সাতক্ষীরা জেলায় ১ লাখ ২৮ হাজার ৮৩১ জন উপকারভোগীকে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল দিচ্ছেন এবং ওএমএসের মাধ্যমে ৩০টাকা ধরে চাল বিক্রির জন্য জেলা ব্যাপি ১৮ জন ডিলার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তারা প্রত্যেকেই সপ্তাহে ৫ দিন, দিনে ২ মেট্রিক টন হারে চাল বিক্রয় করতে পারবেন। আগামী তিন মাস যাবত এই ওএমএস এর চাল বিক্রি করা হবে। একজন ট্যাগ অফিসারের মাধ্যমে এ কর্মসূচি মনিটরিং করা হবে। তিনি আশা করেন এ কর্মসূচির মাধ্যমে মানুষের খাদ্য নিয়ে এবং দাম বৃদ্ধিতে যে সংকট রয়েছে তা অনেকাংশে তা উত্তরণ করা সক্ষম হবে।
ওএমএস এর চাল বিক্রি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসক মোঃ হুমায়ুন কবির প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা সার্কিট হাউজ মোড়ে চাল বিতরণ উদ্বোধন করেন। এ সময় হতদরিদ্র নারী-পুরুষ সরকারের দেওয়া ভর্তুকিমূল্যে চাল কিনতে আসা মানুষগুলো লাইনে দাঁড়িয়ে নির্ধারিত ডিলারের কাছ থেকে চাল সংগ্রহ করে।
ওএমএস’র চাল নিতে আসা সাতক্ষীরা পৌরসভার রসুলপুর এলাকার বাসিন্দা শামিম হোসেন বলেন, আমি একজন দিনমজুর। আমার পক্ষে ৬০ টাকা দরে চাল কেনা কঠিন ব্যাপার। সরকারিভাবে আমরা ৩০ টাকা দরে চাল পাচ্ছি, আমাদের দাবি এই কার্যক্রম ধারাবাহিকভাবে চালু থাকুক। কোন অনিয়ম না সে দিকে নজর দেওয়ার দাবী করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *