মিজানুর রহমানঃস্টাফ রিপোর্টা
তারেক জিয়ার এপিএস শাহেদ করিম থেকে রিজেন্ট চেয়ারম্যান মোঃ শাহেদ
বিশেষ প্রতিবেদন: বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় প্রতারণার কাজে তার হাতেখড়ি।এরপর তাকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।সাতক্ষীরার ছেলে শাহেদ করিম ঢাকায় গিয়ে হয়েছেন মো. শাহেদ।মো. শাহেদ হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকলেও তার আসল নাম মো. শাহেদ করিম, পিতা: সিরাজুল করিম। শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি।তার ভূয়া জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তার ঠিকানা হরনাথ ঘোষ রোড, লালবাগ, ঢাকা-১২১১। গ্রামের বাড়ী সাতক্ষীরা জেলার সদর থানায়। শাহেদের মা প্রয়াত শাফিয়া করিম সাতক্ষীরা জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
এই শাহেদ করিমের অফিস ছিল হাওয়া ভবন , সে ছিল তারেক জিয়ার এপিএস (তথাকথিত) তার হাতে একটি গোল্ডের ঘড়ি ছিল, যেটা তারেক জিয়া তাকে দিয়েছিল। ওই সময়ে সে তদানীন্তন যুবলীগ ৫ম কঙগ্রেসের যুগ্ম সম্পাদক ফারুক হোসেন এর আপন খালাতো ভাই বিমান বাংলাদেশের ষড়যন্তমূলক চাকুরীচ্যুত ক্যাবিন ক্রূ মাহমুদুল হক শাহিনকে চাকুরীতে পুনঃ বহাল করে দিবে বলে পাঁচ লাখ টাকা নেয়। টাকা নেয়ার পর বিভিন্ন তালবাহানা করতে থাকে। তদানীন্তন সময়ে যুবলীগ সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ফারুক হোসেনের অনুরোধে যুবলীগ ৫ম কঙগ্রেসের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সদস্য আ না ম মনির উদ্দীন রাজু তার রাজনৈতিক ও সাতক্ষীরার ছেলে পরিচয় দিয়ে কথা বললে সোনারগাঁও হোটেলের লবিতে পরের দিন দেখা করে। যুবলীগ নেতা মনিরউদ্দীন রাজু কাজটা আপনাকে করতে হবে না, টাকাটা ফেরত দাও, যেহেতু তুমি তারেক জিয়ার এপিএস হও কিনা সেটা আমার দেখার বিষয় না। তুমি সাতক্ষীরার মহিলা লীগ নেন্রী সাফিয়া করিম আপার ছেলে তাই। কিছুদিনের ভিতরে আমি এ বিষয়টি সমাধান করে ফেলবো, এ বিষয়ে আপনি আর অভিযোগ শুনবেন না। এর সপ্তাহ খানিকের ভিতরেই উক্ত মাহমুদুল হক শাহিন ভাই মারা যায় সকাল ১১টায়। আমি ও ফরুক ভাই বাসায় গিয়ে শুনি সকাল ১০টায় শাহেদ করিম ফোন দিয়ে হুমকি দিয়ে বলেরে টাকা ফেরত দিবে না ,পারলে যেন উঠিয়ে নেয়। উক্ত সময় উভয়ের সাথে উতপ্ত বাক্য বিনিময়ের সময় টেলিফোনে থাকা অবস্থায় মাহমুদুল হক শাহিন হার্ড এট্যাক করে মারা যায়। উনাকে ফরিদপুরের নিমটুলিতে পারিবারিক কবরস্থানে কবর দেয়া হয়।
তারপর সে গা ঢাকা দিয়ে আণ্ডারগ্রাউন্ডে অর্থাৎ হাওয়া ভবনে থাকে বহুদিন।লোকালয়ে আসে নাই । আর কোন কেস না করার জন্য মাহমুদুল হক শাহিনের পরিবার ও ছেলে সেজানকে হুমকি দেয়। এবং বিষয়টি ধামাচাপা পরে ,হাওয়া ভবনের চাপে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই বলেছেন অধিকতর ও সুষ্ঠু তদন্ত হলে কেবিন ক্রু মাহমুদুল হক শাহিনের মূত্যুর জন্য দায়ী এই শাহেদ করিম। জনশূত আছে উক্ত সময়ে সাতক্ষীরার ব্লাকজগত , চাঁদাবাজি ও আন্ডারওয়াল্ড নিয়ন্ত্রনকারী ছাত্রদল ও যুবদলের কতিপয় শীর্ষসন্ত্রসী এবং যশোরের তূস্তি (তারেক জিয়ার বন্ধু) ও হাসান গ্রুপের সাথে মিলে দক্খীন অঞ্চলে অপরাধ জগত নিয়ন্ত্রণ করে।
ছোট থেকেই চতুর, কিন্তু মেধাবী ছাত্র এবং তার সমগ্র শরীরদিয়ে কথা বলে । যা যেকোনো মানুষকে শিকার করার উত্তম কৌশল, সে মানুষপটানোর ওস্তাদ বা যে কাউকে হিপনোটাইজ করতে তার জুরি নাই। অনুসন্ধানে জানা গেছে শাহেদ করিম চিটার বাটপারী করে, সরকারের এম পি – মন্ত্রীদের সঙ্গে তার উঠাবসা । মাঝে মাঝে টিভির টক শো তে দেখা যেতো । তাতে মনে হতো তার মতন আওয়ামীলীগার বর্তমান জাতীয় কমিটিতে খুব কমই আছে ।
১/১১ সরকারের সময় তিনি দুই বছর জেলে ছিলেন বলে তার ঘনিষ্টজনরা বলছেন। জেল থেকে বের হয়ে শাহেদ ২০১১ সালে ধানমন্ডির ১৫ নং রোডে এমএলএম কোম্পানী বিডিএস ক্লিক ওয়ান খুলে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে শত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। আর সেসময় তিনি মেজর ইফতেখার করিম চৌধুরী বলে পরিচয় দিতেন। তার বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় ২টি মামলা, বরিশালে ১ মামলা, বিডিএস কুরিয়ার সার্ভিস এ চাকুরীর নামে মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে প্রতারণার কারণে উত্তরা থানায় ৮টি মামলাসহ রাজধানীতে ৩২টি মামলা রয়েছে বলে সূত্রের দাবি।
কিন্তু শাহেদ করিম মূলত সাতক্ষীরা যশোর খুলনার ব্লাকজগত অর্থাৎ আন্ডারওয়াল্ডের কতিপয় ছাত্র-যুবদল ও বিএনপি নেতার এজেন্ডা বাস্তবায়নের মাধ্যমে আনলিমিটেড কোটি টাকার মালিক হয় ও পরে রিজেন্ট চেয়ারম্যান। যেভাবে জিকেশামিম,খালেদ ভূঁইয়া,যুব পিয়ন আনিস হয়েছে।
বৈশ্বিক মহামারি করোনার নমুনা পরীক্ষা ও চিকিৎসার নামে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া রিজেন্ট গ্রুপের কর্ণধার শাহেদ করিম ওরফে মো. সাহেদ এখনো ধরা পড়েনি। প্রতারণার মাধ্যমে হাসপাতাল, হোটেল ও এয়ারক্র্যাফট ব্যবসাসহ নানাবিধ ব্যবসা জমিয়ে তোলা সাহেদের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমে র্যাব, পুলিশ ও গোয়েন্দাদের চক্ষু এখন চড়কগাছ। তারা পাচ্ছেন চমকপ্রদ সব তথ্য। কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে দেখছেন সাপ। তার নামে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন থানায় ৩২টি মামলা থাকলেও ঘুরে বেড়াতেন প্রকাশ্যে, পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে। উত্তরা পশ্চিম থানায় অভিযোগ দাখিলের পর গত মঙ্গলবার বিকাল থেকে পলাতক মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম একজন আপাদমস্তক প্রতারক। তাকে ধরতে অভিযান চালাচ্ছে র্যাব ও পুলিশের একাধিক টিম।
পুলিশ জানায়, ভদ্রবেশে সমাজের সর্বত্র ছিল তার বিচরণ। স্থান কাল পাত্র ভেদে তিনি ভিন্ন ভিন্ন পরিচয় ব্যবহার করে আসছেন। সারাক্ষণ স্যুটেড বুটেড থাকা সাহেদ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সচিবলায়, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা দপ্তরে ঘুরে বেড়াতেন তদবির বাণিজ্যে। তিনি নিজেকে কখনো অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা, কোথাও ক্যাডেট পাস করা সেনা পরিবারের সদস্য, কোথাও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক এপিএস (সহকারী একান্ত সচিব), কোথাও তিনি সচিব, কোথাও গোয়েন্দা সংস্থার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচয় দিয়ে বেড়াতেন।
অনেকের কাছে তার পরিচিতি মিডিয়া ব্যক্তিত্ব! আবার কখনো তিনি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বলে পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য তার রয়েছে স্থায়ী পাস। নানা রকম পরিচয় দেয়া বিচিত্র চরিত্রের অধিকারী সাহেদ প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। নামে বেনামে গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়। সব সরকারের আমলে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দুসহ সবকিছু। করোনা চিকিৎসা নামে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালে গত সোম ও মঙ্গলবার র্যাবের অভিযানের পর বেরিয়ে এসেছে সাহেদের অপকর্মের ফিরিস্তি।
প্রতারণার কাজে তিনি বারবার নাম পরিচয় বদল করেন। জাতীয় পরিচয়পত্রে তার নাম সাহেদ করিম থাকলেও কারাগার থেকে বেরিয়েই হয়ে যান মো. সাহেদ। আগে কারো কাছে তিনি ছিলেন মেজর ইফতেখার করিম। কারো কাছে পরিচয় দেন লে. কর্নেল মুহাম্মদ শহীদ নামে। এমন একাধিক নাম ও পরিচয়ের আড়ালে ‘সুশীল সমাজের’ মানুষ বনে যাওয়া এই প্রতারক মো. সাহেদ আলোচিত রিজেন্ট হাসপাতাল ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান। ‘নতুন কাগজ’ নামে তার একটি আন্ডাগ্রাউন্ড পত্রিকাও রয়েছে।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম সাংবাদিকদের বলেন, রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদের গাড়িতে ফ্ল্যাগস্ট্যান্ড ও স্বাস্থ্য অধিপ্তরের স্টিকার লাগানো ছিল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোকজনের চোখে ধুলো দিতেই ফ্ল্যাগস্ট্যান্ড ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্টিকার ব্যবহার করা হতো।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর তারা বেশ কয়েকদিন ধরে গোয়েন্দা নজরদারি করে আসছিলেন রিজেন্ট হাসপাতালে। সেখানে করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা নিয়ে তারা জালিয়াতি করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন। রিজেন্টের মালিকসহ অন্যদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। তার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩২টি মামলার খোঁজ পাওয়া গেছে। বেশির ভাগই প্রতারণা মামলা। কারণ প্রতারণা করে অর্থ-সম্পদ গড়ে তোলাই ছিল তার মূল কাজ। এজন্য করোনা মহামারি চলাকালেও স্পর্শকাতর একটি বিষয়েও সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করতে তার বিবেকে বাধেনি।
জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক অধিশাখার উপসচিব নায়েব আলী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ভুয়া সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা পরিচয়ে অপরাধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। এতে মোহাম্মদ শহীদ নামে ব্যক্তিকে ‘ভয়ংকর প্রতারক’ বলে উল্লেখ করা হয়। সাতক্ষীরার সিরাজুল করিমের ছেলে সাহেদ নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান হয়েও কয়েক বছরেই হয়েছেন কোটি কোটি টাকার মালিক। তার বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় দুটি, বরিশালে একটি, উত্তরা থানায় আটটিসহ রাজধানীতে ৩২টি মামলা রয়েছে।
২০০৯ সালের জুলাই মাসে প্রতারণার মামলায় তাকে একবার গ্রেপ্তার করা হয়। তখন কয়েক মাস জেলে ছিলেন তিনি। মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ ব্যাংক লিমিটেড থেকে ছয় কোটি টাকা ঋণ নেয়ার নথিতে নিজেকে অবসরপ্রাপ্ত লে. কর্নেল মুহাম্মদ শহীদ বলে পরিচয় দেন তিনি। এ বিষয়ে আদালতে দুটি মামলা চলছে। তদন্ত করে তার ভুয়া পরিচয়ের বিষয়টি নিশ্চিত হন সংশ্লিষ্টরা।
২০১০ সালে কর্মমুখী কর্মসংস্থান সোসাইটি (কেকেএস) এবং ‘বিডিএস ক্লিক ওয়ান’ নামে এমএলএম (মাল্টি লেভেল মার্কেটিং) কোম্পানি খুলে গ্রাহকদের কাছ থেকে ৫০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় মামলা হয়। এসব মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে জেলও খাটেন সাহেদ। জেল থেকে বেরিয়ে হাতিয়ে নেয়া টাকায় রিজেন্ট গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করে পাল্টে যান তিনি। নাম বদলের সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসন ও সমাজে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের মিশনে নামেন তিনি। বিভিন্ন পরিচয়ে ধামাচাপা দেন অনেক অভিযোগ। আন্ডারগ্রাউন্ড পত্রিকা খুলে এবং কয়েকটি টিভির টকশোতে অংশ নিয়ে নিজেকে বড় সাংবাদিক বলে পরিচয়ও দিতে থাকেন।
এদিকে গত মঙ্গলবার র্যাবের অভিযান চলাকালে রিজেন্ট হাসপাতাল ভবনের মালিক জাহানারা কবির অভিযোগ করেন, চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ার পরও ভবনের ভাড়া দিচ্ছে না, চুক্তি নবায়ন করছে না রিজেন্ট। তার অভিযোগ তাকে হুমকি দেয়া হতো প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নামে। ভয়ে কাউকে কিছু বলতেও সাহস পাচ্ছিলেন না তিনি।
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, করোনার সময় মানুষের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে সরকার ও জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন শাহেদ। এর আগে ২০১৬ সালের ২৫ জানুয়ারি তার রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে মেয়াদ উত্তীর্ণ রিএজেন্ট ব্যবহারসহ বিভিন্ন অনিয়মের কারণে ছয় লাখ টাকা জরিমানা করেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। কয়েক বছর আগে মিরপুরের রিজেন্ট হাসপাতালে চিকিৎসায় অবহেলার কারণে মৃত্যুর ঘটনায় শাহেদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। ‘বিডিএস কুরিয়ার সার্ভিসে’ চাকরির নামে টাকা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে আটটি মামলা হয়েছে। আগে তার নাম ছিল সাহেদ করিম। রিজেন্ট গ্রুপ প্রতিষ্ঠার পর মো. সাহেদ হয়ে যায়। মিডিয়ায় তাকে সবাই মো. সাহেদ নামেই চেনে। বিএনপি সরকারের সময় ২০০৭ সালে রিজেন্ট হাসপাতালের অনুমোদন নেন সাহেদ। তখন তার হাওয়া ভবনে নিয়মিত যাতায়াত ছিল। এখন তিনি নিজেকে আওয়ামী লীগ নেতা পরিচয় দিয়ে থাকেন।
রিজেন্টের মিরপুর শাখাও সিলগালা : রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদকে গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ চলছে। কেউ ধরাছোঁয়ার বাইরে নয়। অবশ্যই তাকে আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হবে র্যাব। তার বিষয়ে অন্যান্য সংস্থাও সতর্ক রয়েছে। বুধবার এসব কথা জানান র্যাব লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম।
এদিকে উত্তরা পর এবার বেসরকারি রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর শাখাকেও সিলগালা করেছে র্যাব। বুধবার বিকেলই র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম হাসপাতালটি সিলগালা করেন। এছাড়াও কোভিড-১৯ পরীক্ষার ভুয়া সনদ প্রদানসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার হাসপাতালটির ৭ কর্মীর পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তবে রিজেন্ট হাসপাতালের অভ্যর্থনাকারী কামরুল ইসলামের বয়স ১৮ বছরের কম হওয়ায় ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী গতকাল তাকে গাজীপুরের কিশোর সংশোধানাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।