রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদের অনিয়ম এবং দুর্নীতির অনুসন্ধান খুব শিগগিরিই শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত। দুদক সচিব বলেন, রিজেন্ট হাসপাতালের মালিকের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে দুদকে খুব শিগগিরই অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। বর্তমানে এ সংক্রান্ত অভিযোগ যাচাই-বাছাই চলছে।
বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। অন্যদিকে চলমান মাস্ক দুর্নীতির বিষয়ে দিলোয়ার বখত বলেন, অনুসন্ধানের স্বার্থে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কারও নাম জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এলে তাদেরও তলব করা হবে। এ বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধান টিম কাজ করছে।
রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে অনিয়ম এবং প্রতারণার অভিযোগে ৬ জুলাই র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) একটি দল উত্তরায় অবস্থিত হাসপাতালের একটি শাখায় অভিযান চালায়। সেখানে করোনা পরীক্ষা ছাড়াই ভুয়া সনদ দেওয়াসহ নানা ধরনের অনিয়মের প্রমাণ পায় র্যাব।
পরে অনিয়মের অভিযোগে হাসপাতালের উত্তরা শাখা সিলগালা করে র্যাব। একই দিন রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর এবং উত্তরা দুইটি শাখারই কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। এরইমধ্যে রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদকে গ্রেফতারে মাঠে নেমেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।