নিখাদ বার্তাকক্ষ : আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেছেন, শহীদ শেখ কামাল ২৬ বছর বয়সে বহুমাত্রিক প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে গেছেন। তিনি দেশের স্বাধীনতা অর্জনে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন। রণাঙ্গনের সাহসী যোদ্ধা ছিলেন। এর পাশাপাশি তার শিষ্টাচারও ছিল অনুকরণীয়।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘শেখ কামালের আচরণ, শিষ্টাচার অনুসরণ করে আগামী দিনের নেতৃত্বের জন্য যুব সমাজকে তৈরি করতে হবে। তার শিষ্টাচার ধারণ করতে পারলে সৃষ্টিশীল মননের সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব হবে।’
হানিফ বলেন, শেখ কামাল ছিলেন বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তানদের মধ্যে একজন। তিনি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রশিক্ষণ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। রাষ্ট্রপতির পুত্র হলেও কখনো ক্ষমতা তাকে স্পর্শ করতে পারেনি। তারুণ্যের অহংকার শেখ কামাল ছিলেন সংস্কৃতিপ্রেমী, অমায়িক ও নিরহংকারী।
বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল বাংলাদেশের আধুনিক ফুটবলের প্রবক্তা মন্তব্য করে হানিফ বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ফুটবলপ্রেমী। শেখ কামাল একজন দক্ষ ক্রীড়া সংগঠক ছিলেন। তিনি আবাহনী ক্রীড়াচক্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আবাহনী প্রতিষ্ঠার পর ক্রীড়াঙ্গনে অভাবনীয় উন্নতি হয়েছিল। দেশে ফুটবলের জাগরণ সৃষ্টি হয়েছিল।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ কামাল রাষ্ট্র প্রধানের সন্তান ছিলেন কিন্তু পদ-পদবিতে তার কোন আগ্রহ ছিল না। তিনি বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকে দেশ গড়ায় ভূমিকা রাখতে চেয়েছিলেন।
তিনি বলেন, শহীদ শেখ কামাল জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত মানুষের জন্য কাজ করেছেন। ক্ষমতার শীর্ষ পর্যায়ে থাকলে মানুষের জীবনাচরণে পরিবর্তন আসে। কিন্তু শেখ কামাল ছিলেন একেবারে সাদামাটা মানুষ। কখনো তার মাঝে দাম্ভিকতা কাজ করেনি। আরেক রাষ্ট্রপতিপুত্র তারেক রহমান দেশে হাওয়া ভবন বানিয়ে লুটপাট, মানুষ হত্যা করেছে। বাংলাদেশে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদের চারণভূমি বানিয়েছিল। কী বিচিত্র !
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওযয়মী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম ও দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া।
সভা পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির।