ভোলায় মৃত্যুর জন্য কর্মীদের সংঘাতে ঠেলে দেয়া বিএনপি নেতারাই দায়ী

ঢাকা

নিখাদ বার্তাকক্ষ : তথ্যও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি নেতারা তাদের কর্মীদের সংঘাতের দিকে ঠেলে দিয়েছে, ফলে ভোলায় মৃত্যুর জন্য প্রকারান্তরে তারাই দায়ী এবং তাদের এ দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করা উচিত । তিনি আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় বেতার ভবনে সাংবাদিকরা সেদিন নয়া পল্টনে বিএনপির সমাবেশ ও বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করলে এ কথা বলেন।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি লাশের রাজনীতি করে এবং সে কারণেই তাদের অপরাধপ্রীতি ও লাশের রাজনীতির বলি হচ্ছে ভোলায় তাদের দু’জন কর্মীর মৃত্যু। কারণ বিএনপি তাদেরকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিয়েছিল এবং কারো কারো হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিল।’ ভোলার ঘটনা নিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সেখানে পুলিশের ওপর গুলি করা হয়েছে এবং পুলিশ সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়েছে। মানুষের সহায়-সম্পত্তি ধ্বংস করা হয়েছে, ভাঙচুর করা হয়েছে। পুলিশ সদস্যকে তাদের দলীয় কার্যালয়ে ধরে নিয়ে গিয়ে আটকে রেখে মারধর করা হয়েছে। অর্থাৎ বর্তমান নেতৃত্ব তাদেরকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিয়েছে।’ সুতরাং এই যে তাদের দু’জন কর্মী মৃত্যুবরণ করলো, এর জন্য প্রকারান্তরে দায়ী বিএনপির নেতৃত্ব এবং এ দায় স্বীকার করে তাদের বরং আগে পদত্যাগ করা দরকার বলেন তথ্যমন্ত্রী।
বিএনপির আন্দোলনের ঘোষণারও সাফ জবাব দেন ড. হাছান। তিনি বলেন, ‘বিএনপি তো এখন ফাঁকা মাঠে আন্দোলন করছে, এখন শোকের মাস আগস্ট, সামনে শোক দিবস, আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা যখন মাঠে নামবো, তারা পালানোর পথ খুঁজে পাবে না।’
এর আগে বেতার মিলনায়তনে বাংলাদেশ বেতারের সদ্যপ্রয়াত মহাপরিচালক আহম্মদ কামরুজ্জামানের স্মরণসভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা দেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এসময় তিনি বলেন, মরহুম কামরুজ্জামান কখনো রাগান্বিত না হওয়া একজন ভালো মানুষ এবং বেতারের জন্য নিবেদিতপ্রাণ কর্মকর্তা ছিলেন। মন্ত্রী তার বিদেহী আত্মার শান্তিকামনা ও তার শোকাহত পরিবারের শোক সহ্যশক্তির জন্য প্রার্থনা করেন।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মোঃ মকবুল হোসেন তার বক্তব্যে প্রয়াত মহাপরিচালকের কর্মনিষ্ঠা ও সদাচরণের কথা স্মরণ করেন। অতিরিক্ত সচিব ও বাংলাদেশ বেতারের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক খাদিজা বেগমের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলাম এবং কামরুজ্জামানের সহকর্মীবৃন্দ। পরে কামরুজ্জামানের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *