নিখাদ বার্তাকক্ষ: দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকার সম্পাদক অমিত হাবিব আর নেই। বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) রাত ১১টার পর রাজধানীর নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে বিশিষ্ট এ সাংবাদিকের বয়স হয়েছিল ৫৯ বছর।
অমিত হাবিবের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
জানা গেছে, আজ শুক্রবার সকাল দশটায় দেশ রূপান্তরের অফিসে প্রথম নামাজে জানাজা এবং পরবর্তীতে সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
গত বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) রাতে স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রাজধানীর বিআরবি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় অমিত হাবিবকে। দেশ রূপান্তরে অফিসে কাজ করা অবস্থায় তিনি স্ট্রোক করেন। এর আগেও তিনি একবার স্ট্রোক করেছিলেন।
চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, তার হেমোরেজিক স্ট্রোক হয়েছে। তার রক্তনালী ছিঁড়ে গিয়ে ব্রেইনের অভ্যন্তরে রক্তক্ষরণ হয়েছে।
১৯৮৭ সালে খবর গ্রুপ অব পাবলিকেশন্সে একই সঙ্গে রিপোর্টার ও সাব-এডিটর হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন অমিত হাবিব। পরে সাপ্তাহিক পূর্বাভাস পত্রিকায় সাব-এডিটর পদে যোগ দেন তিনি। পরে ১৯৯১ সালে দৈনিক আজকের কাগজে সিনিয়র সাব-এডিটর হয়ে যোগ দেন। এর পরের বছর একই পদে যোগ দেন দৈনিক ভোরের কাগজে।
অল্প দিনের মধ্যে পদোন্নতি পেয়ে যুগ্ম বার্তা সম্পাদক ও পরে বার্তা সম্পাদক হন তিনি।
২০০৩ সালে দৈনিক যায়যায়দিনের প্রধান বার্তা সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন খ্যাতিমান এই সাংবাদিক। তবে পত্রিকাটি বাজারে আসে ২০০৬ সালে। ২০০৭ সালে চীনের আন্তর্জাতিক বেতারে বিদেশি বিশেষজ্ঞ হিসেবে যোগ দিয়ে পেইচিংয়ে কর্মরত থাকা অমিত হাবিব দেশীয় সাংবাদিকতার সঙ্গে দূরত্বের কথা বিবেচনায় তা ছেড়ে দেশে ফিরে আসেন। পরের বছর দৈনিক সমকালে প্রধান বার্তা সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন তিনি।
অমিত হাবিব এর আগে দৈনিক কালের কণ্ঠের উপদেষ্টা সম্পাদক ছিলেন। এর আগে দৈনিক সমকালের প্রধান বার্তা সম্পাদকের পদ ছেড়ে ২০০৯ সালে কালের কণ্ঠে নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন। ২০১৩ সাল থেকে উপদেষ্টা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন অমিত হাবিব।
সর্বশেষ ২০১৮ সালে তিনি দৈনিক দেশ রূপান্তর সম্পাদকের দায়িত্ব নেন।