নিখাদ বার্তাকক্ষ : ময়মনসিংহের ত্রিশালের সড়ক দুর্ঘটনায় মায়ের মৃত্যুর আগ মুহূর্তে একাকী জন্ম নেওয়া সেই নবজাতক শিশু কন্যাটি সম্পূর্ণ সুস্থ আছে। সে হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডের অন্য মায়েদের দুধ পান করছে।
সোমবার (১৮ জুলাই) দুপুরে ময়মনসিংহ মহানগরীর চরপাড়া এলাকার লাবিব প্রাইভেট হাসপাতালের কর্তব্য চিকিৎসক সহযোগী অধ্যাপক ডাক্তার মোঃ কামরুজ্জামান এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, নবজাতক শিশুটি হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডের অন্য মায়েদের দুধ পান করছে। সে প্রস্তাব-পায়খানা স্বাভাবিকভাবেই করছে। এখন তাকে আর অক্সিজেন সাপোর্ট দিতে হচ্ছে না। অ্যান্টিবায়োটিক কোর্স সম্পূর্ণ শেষে এক সপ্তাহ পর নবজাতক শিশুকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হবে বলে জানান এই চিকিৎসক।
এদিকে লাবিব হাসপাতালের পরিচালক মোঃ শাহজাহান জানান, হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্স সার্বক্ষণিক নবজাতক শিশুটির দেখভাল করছে। সময় মত শিশুটিকে অন্য মায়েদের বুকের দুধ পান করানো হচ্ছে। আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে শিশুটি বর্তমানে সম্পূর্ণ সুস্থ আছে।
নবজাতক শিশুটির দাদি সুফিয়া বেগম জানান, “পুত্র জাহাঙ্গীর, পুত্রবধূ রত্না বেগম ও নাতনির মৃত্যু পরিবারসহ এলাকাবাসী ভুলতে পারছে না। এরপরও আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে ছোট্ট নবজাতক শিশুটি বেঁচে থাকায় আমার পুত্রের স্মৃতিচিহ্ন রয়ে গেছে। হাসপাতাল থেকে ছুটি দিলেই ছোট্ট নাতনিকে নিয়ে বাড়ি ফিরতে চাই।”
উল্লেখ্য, গত শনিবার ১৬ জুলাই বেলা আড়াইটার সময় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশালে দরিরামপুর সড়কে ট্রাক চাপায় মারা যায় রায়মনি গ্রামের জাহাঙ্গীর, তার স্ত্রী রত্না বেগম ও তাদের আড়াই বছরের শিশু কন্যা।
দুর্ঘটনার সময়ে ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা রত্না বেগমের গর্ভ থেকে একাকী জন্ম নেয় নবজাতক শিশু কন্যাটি। তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।