নিখাদ বার্তাকক্ষ — গতকাল ১৬ জুলাই, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা’র কারান্তরীণ ও গণতন্ত্র অবরুদ্ধ দিবস উপলক্ষে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ-এর নির্দেশে বাদ আছর, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচ তলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। মিলাদ ও দোয়া মাহফিল শেষে অসহায় ও দুঃস্থদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন-যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ এক বিবৃতিতে বলেন-জননেত্রী শেখ হাসিনার কারান্তরীণ দিবস আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয় যে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং সংগ্রাম চালিয়ে গিয়ে কিভাবে আজকে তিনি একজন পরিণত সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে বিশ্বের বুকে আর্বিভূত হয়েছেন। এক দিকে যেমন এই কারান্তরীণ দিবসে অন্যায়ভাবে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে করাবন্দি করে রাখা হয়েছিল ঠিক সেই অন্যায়ের প্রতিবাদ হিসেবে জননেত্রী শেখ হাসিনা কারান্তরীণ অবস্থায় একটি উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তিনি পরিকল্পনা প্রণয়ন করেন এবং তারই ফলাফল আজকে বাংলাদেশ একটি মর্যাদাশলী এবং উন্নয়নশীল দেশ।
তিনি আরও বলেন-কারান্তরীণ দিবস, এই দিবস জননেত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের একটা টার্নিং পয়েন্ট। এর মাধ্যমে আমরা পেয়েছি একটা প্রজ্ঞাশীল রাজনীতিবিদ, এই অন্যায়ভাবে আটক তাকে আরও মানসিকভাবে পরিণত করেছে, বুদ্ধিদীপ্ত করেছে এবং তিনি আরও পরিণত রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে দেশের সেবা করে যাচ্ছেন। একই সাথে কারান্তরীণ দিবস বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটেরও পটপরিবর্তনের একটা বিশেষ দিবস। বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটেও এটা একটা টার্নিং পয়েন্ট।
যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন-২০০১ সালের পর জামাত-বিএনপি সারাদেশে যে নারকীয় তা-বলীলা চালিয়েছিল তারই বহিঃপ্রকাশ এই ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই। খালেদা জিয়া ক্ষমতা ছাড়তে নারাজ, তার কুলাঙ্গার ছেলে হাওয়া ভবন সৃষ্টি করে এদেশের সাধারণ মানুষের টাকা লুটপাট করে নিয়েছেনে, বিদেশে পাচার করেছেন। তাদের সেই অবৈধ কর্মকা-কে জায়েজ করার জন্যই ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ১/১১ সৃষ্টি হয়। এর জন্য দায়ী ছিল তৎকালীন বিএনপি-জামাত জোট সরকার। কিন্তু সেনাসমর্থিত অবৈধ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গ্রেফতার করেন আমার নেত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে। যে নেত্রী সাধারণ মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকারের জন্য সংগ্রাম করেছেন সেই প্রিয় নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করে কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যা অপোষহীন মনোভাবের জন্য, এদেশের সাধারণ মানুষের আন্দোলনের মুখে অবৈধ তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। আজ বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলেছে। তিনি জাতিকে স্বপ্নের পদ্মা সেতু উপহার দিয়েছেন। আরও অনেক মেগা প্রজেক্ট উদ্বোধনের অপেক্ষায়। এতো সব উন্নয়ন দেখে বিএনপি-জামাত, মির্জা ফখরুলরা নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। আমি যুবলীগের নেতা-কর্মীদেরকে বলতে চাই যারা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে নিয়ে, এদেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করবে তাদেরকে কঠোরভাবে প্রতিহত করবে যুবলীগ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন-যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মঞ্জুর আলম শাহীন, মোঃ হাবিবুর রহমান পবন, মোঃ নবী নেওয়াজ, সুভাষ চন্দ্র হাওলাদার, ইঞ্জিনিয়া মৃনাল কান্তি জোদ্দার, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, সুব্রত পাল, মুহা: বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক, মোঃ জহির উদ্দিন খসরু, ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ জহুরুল ইসলাম মিল্টন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মোঃ সাদ্দাম হোসেন পাভেল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ শামছুল আলম অনিক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মুস্তাফিজ, পরিবেশ বিষয়ক সম্পপাদক মোঃ হারিছ মিয়া শেখ সাগর, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. মোঃ হেমায়েত উদ্দিন মোল্লা, মহিলা সম্পাদক অ্যাড. মুক্তা আক্তার, উপ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক অ্যাড. শেখ নবীরুজ্জামান বাবু, উপ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোঃ সফেদ আশফাক আকন্দ তুহিন, উপ-ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মোঃ আলতাফ হোসেন, উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ রাশেদুল হাসান সুপ্ত, উপ-কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোল্লা রওশন জামির রানা, উপ-ধর্ম সম্পাদক হরে কৃষ্ণ বৈদ্যসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।