সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: ২০০২ সালের ৩০ আগষ্ট সাতক্ষীরার কলারোয়ায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার অস্ত্র আইনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং স্পেশাল ট্রাইবুনাল-৩ এর বিচারক বিশ্বনাথ মন্ডলের আদালতে সাক্ষ্য দেন কলারোয়ার শহিদুল ইসলাম। তবে আসামী জাবিদ হাসান লাকী অসুস্থ্যতাজনিত কারণে আদালতে হাজির না থাকায় সাক্ষী জেরা করেননি আসামী পক্ষের আইনজীবীরা।
সাতক্ষীরা আদালতের সরকারি কৌসুলি এড. আব্দুল লতিফ জানান, অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলার দ্বিতীয় দিনে একজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। আগামী ১৯ জুলাই সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে।
তবে আসামীপক্ষের আইনজীবী এড. আব্দুল মজিদ জানান, ৪০ জন আসামীর মধ্যে জাবিদ হাসান লাকী অসুস্থ্যতাজনিত কারণে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন থাকার কারণে আদালতে উপস্থিত ছিলেননা। আমরা সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ পেছানোর আবেদন করেছিলাম। এঅবস্থায় শহিদুল ইসলামের সাক্ষ্যে আমরা আসামী পক্ষের আইনজীবীরা জেরা করা থেকে বিরত ছিলাম।
২০০২ সালের ৩০ আগষ্ট সকাল ১০টায় তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিতা স্ত্রীকে দেখতে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে আসেন। সেখান থেকে যশোরে ফিরে যাওয়ার পথে সকাল ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা কলারোয়ায় দলীয় অফিসের সামনে একটি যাত্রীবাহি বাস (সাতক্ষীরা-জ-০৪-০০২৯) রাস্তার উপরে আড় করে দিয়ে তার গাড়ি বহরে হামলা চালায়। হামলায় আওয়ামী লীগের ১ ডজন নেতা-কর্মী আহত হন। এঘটনায় করা হামলা মামলায় ২০২১ সালের ৪ ফেব্র“য়ারি তালা-কলারোয়ার বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জন নেতা-কর্মী চার থেকে ১০ বছর মেয়াদে সাজা প্রদান করেন সাতক্ষীরার চিপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবির। এর আগে গত ১৪ জুলাই অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনের অপর দুটি মামলায় চার্জ গঠন করা হয়।##
আসাদুজ্জামান সরদার