অবস্থান স্পষ্ট করল বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর রাষ্ট্র আমেরিকা। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে সোমবার জানানো হল, ভারত ও চীন উত্তেজনা থেকে যদি যুদ্ধ হয় তাহলে মার্কিন সেনা বাহিনী ভারতকে সাহায্য করবে।
হোয়াইট হাউস স্পষ্ট করেছে, চীনকে এশিয়ায় খবরদারি করতে দেওয়া যাবে না।
হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে এই খবর জানানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্যুইট করে বলেছেন, ‘চীনের জন্য আমেরিকাসহ গোটা দুনিয়ার বড় ক্ষতি হয়েছে।’
সোমবার দিন হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে চিফ অব স্টাফ মার্ক মিডোজ একটি প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছেন, “বার্তা স্পষ্ট, আমরা কোনও দেশকে একা সবচেয়ে প্রভাবশালী হতে দিতে পারি না , তা সেটা এখানে হোক বা অন্য কোথাও।”
আমেরিকা নৌ-সেনা নিজেদের উপস্থিতি বাড়াতে দক্ষিণ চীন সাগরে দুটি বিমান বাহক নৌ বহর বহাল করেছে। এরপরেই নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে তারা। করোনা ভাইরাসজনিত মহামারীর জেরে আমেরিকা, পূর্ব ইউরোপ, ভারতসহ বেশির ভাগ দেশের অর্থব্যবস্থা সম্পূর্ণ রূপে ভেঙে পড়েছে। তাদের স্পষ্ট অভিযোগ যখন কোভিড-১৯ একদম প্রাথমিক অবস্থায় ছিল তখন চীন কোনও তথ্য দেয়নি। আরও অভিযোগ, এরপর তারা গোটা বিশ্বে এই রোগ ছড়িয়ে পড়তে দিয়েছে তারা।
দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন রণতরীর উপস্থিতির ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে মিডোজ জানিয়েছেন, তারা সারা পৃথিবীকেই জানাতে চান যে মার্কিন সৈন্য সারা বিশ্বের মধ্যে সেরা। চীন প্রায় পুরো দক্ষিণ চীন সাগরেই নিজেদের প্রতিপত্তি জাহির করে। ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, ব্রুনাই, তাইওয়ান এই জায়গাতেও তারা নিজেদের প্রতিপত্তি দেখায়। মিডোজ জানিয়েছেন, ীনের এই দাপট দেখানো মেনে নেওয়া হবে না।
এদিকে মিডোজের এই বিবৃতিতেই আরও শক্তিশালী করেছে ট্রাম্পের এই ট্যুইট।
ভারত ও চীনের সেনাদের সীমান্ত উত্তেজনা প্রায় আট সপ্তাহ ধরে চলছে। ১৫ জুন পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ হয় যখন গলওয়ান সীমান্ত বরাবর সংঘর্ষে ভারতের ২০ জন সেনা সদস্য নিহত হন ৷ এদিকে সোমবার সীমান্ত থেকে নিজেদের সেনাকে পিছু হঠতে নির্দেশ দিয়েছে চীন। রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা উপদেষ্টা অজিত দোভাল ও চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী রবিবার টেলিফোনে কথা বলেন। এরপরই সোমবার থেকে দ্রুত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে সেনা সরাতে শুরু করে চীন। সূত্র: নিউজ এইটটিন