করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। বাঙালির বর্ষবরণের দিনে আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজার অতিক্রম করে। এরপর থেকে সংক্রমণের হার দ্রুত বাড়তে শুরু করে। চার মাসে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ফ্রান্সকে ছাড়িয়ে গেছে।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ৩ হাজার ২৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৬৮ হাজার ৬৪৫ জনে। একই সময় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৫৫ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৫১ জনে।
ইউরোপের দেশ ফ্রান্সে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৬৮ হাজার ৩৩৫ জন। আর এতে সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন ২৯ হাজার ৯২০ জন।
বাংলাদেশে আক্রান্তের সংখ্যা ফ্রান্সের তুলনায় বেশি হলেও করোনায় মৃতের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অনেক কম। ফ্রান্সে এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৯২০ জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। অথচ এর কাছাকাছি সময়ে বাংলাদেশে মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ১৫১ জন।
সুস্থতার সংখ্যার দিক থেকেও বাংলাদেশ এগিয়ে। ফ্রান্সে এ পর্যন্ত ৭৭ হাজার ৩০৮ জন সুস্থ হয়েছেন। আর বাংলাদেশে এই সংখ্যা ৭৮ হাজার ১০২ জন।
ডিসেম্বরের শেষে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। এরপর এটি বিশ্বের ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ দেশ যুক্তরাষ্ট্র; এরপরেই দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলের অবস্থান।
করোনার হিসাব রাখা আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়ার্ল্ডওমিটারসের তথ্যানুযায়ী, বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি ১৭ লাখ ৬৯ হাজার ৫২৩ জনে দাঁড়িয়েছে। আর এ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৪১ হাজার ৪৮৮ জনের। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৬৭ লাখ ৬৩ হাজারের বেশি মানুষ।