মোঃমিজানুর রহমান ঃস্টাফ রিপোর্টার
বোরহানউদ্দিন প্রশাসনের মানবতায় ঠাই পেলো শিশু সন্তানসহ মা
তুহিন খন্দকার: ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার হাসান নগর ৭ নং ওয়ার্ডের মালের বাড়ীতে ওমান প্রবাসী নূরুদ্দিনের স্ত্রী সালমা ও তার দুই সন্তান সুরভী ও সোহান প্রশাসনের হস্তক্ষেপে নিজ বসত ঘরে ঠাই হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, গত এক বছর যাবত ওমান প্রবাসী নুর উদ্দিনের স্ত্রী সালমা বেগম ও তার স্বামী নুরুদ্দিনের পরিবারের সাথে দ্বন্দ্ব চলে আসছিলো। এরই জের ধরে সালমার ভাসুর আলমগীর ও ইউসুফ এবং তাদের স্ত্রী সালমাকে তার নিজের ঘরে ঢুকতে না দিয়ে ঘরের দরজায় তালা মেরে কাঁটা দিয়ে রাখেন। দীর্ঘ এক বছর বহু সালিশ বৈঠক হলেও সালমা বেগম ও তার দুই শিশু সন্তানকে ঘরে তুলে দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারেনি কেউ।
অবশেষে গত বুধবার (২৭মে) সালমা বেগম তার দুই শিশু সন্তান নিয়ে তার প্রবাসী স্বামীর বসত ঘরে আশ্রয় নিতে বৃষ্টিতে ভিজে ঘরের বাহিরে ২দিন অবস্থান করছিলেন। তাদেরকে ঘরে তোলার দায়িত্বটি কেউ না নিলেও মানবিক দায়িত্বটি এড়িয়ে যেতে পারেননি বোরহানউদ্দিন উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা বশির গাজী ও থানর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ম. এনামুল হক।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বশির গাজী ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ম.এনামুল হক স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে ওমান প্রবাসীর বাড়িতে উপস্থিত হয়ে তাদের পারিবারিক কলহের অবসান ঘটান। ভুক্তভোগী মহিলা ও তার দুই শিশু সন্তানকে নিজ ঘরে থাকার ব্যবস্থা করে দেন।
এ বিষয়ে বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বশির গাজী জানান,দুইটি অবুঝ শিশু সন্তান নিয়ে পরিবারটি ঘরের বাহিরে অবস্থান করার সংবাদটি শুনে মানবিক তাগিদেই ঘটনাস্থলে গিয়ে সমাধান করার চেষ্টা করেছি।
বোরহানউদ্দিন থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ম. এনামুল হক জানান, শিশু সন্তানসহ অসহায় পরিবারটি তাদের বসত গড়ে উঠতে না পারার সংবাদটি শুনে আমি এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় গণ্যমান্য গান ছোটে যাই। প্রবাসীর নুরুদ্দিনের পরিবারের সাথে কথাবার্তা একটি সমাধান করে বসতঘরে তুলি দিয়ে এসেছি। মূলত মানবিক মূল্যবোধ থেকে এই কাজটি করেছি।
ভুক্তভোগী সালমা জানান,”আমি দীর্ঘদিন ধরে স্বামীর সংসার থেকে বিতাড়িত ছিলাম এর আগে অনেকের কাছে গিয়েছিলাম তারা আমার সমস্যা সমাধান করতে পারেননি। দুইটি মাসুম বাচ্চাকে নিয়ে আমি নিরুপায় হয়ে পড়েছি। এই ঘটনা ইউএনও স্যার, ওসি স্যার জানার পর ঘটনাস্থলে এসে মিমাংস করেন এবং আমার স্বামীর বসতবাড়িতে আমাকে থাকার ব্যবস্থা করে দেন