ভারতকে চাপে ফেলতে নয়া কৌশল অবলম্বন করছে চীন। নয়াদিল্লি থেকে থিম্পুকে আলাদা করতে ভুটানের সাকতেং অভয়ারণ্য নিজেদের বলে দাবি করছে তারা।
ইতিমধ্যেই বিবৃতি দিয়ে বেইজিং জানিয়েছে, “ভুটানের পূর্ব, মধ্য এবং পশ্চিম অংশে দীর্ঘদিন ধরেই তাদের সঙ্গে বিবাদ রয়েছে৷ তবে এই বিবাদে যেন কোনও তৃতীয় পক্ষ হস্তক্ষেপ না করে।” প্রথম থেকেই ভুটানের রাজপরিবারের সঙ্গে দিল্লির সখ্যতা রয়েছে। তাই এই বিবৃতি দিয়ে নাম না করে যে বেইজিং দিল্লিকেই আক্রমণ করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সংঘর্ষের আবহে ভুটানের সঙ্গে দ্বন্দ্বকে অন্যচোখেই দেখছেন ভারতের কূটনীতিকরা। তাদের মতে, এইভাবে ভুটানের ওপর চাপ বাড়াতে চাচ্ছে চিন। যাতে নেপালের মতো তারাও ভারতের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে চলে।
প্রশ্ন হল, হঠাৎ এই অভয়ারণ্য নিয়ে ভুটান-চিন বিবাদ কেন? সাকতেং অভয়ারণ্যের জন্য অনুদান পেতে গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফ্যাসিলিটিতে আবেদন জানিয়েছিল ভুটান৷ কিন্তু এই আবেদন নিয়ে প্রথমেই আপত্তি জানিয়েছিল চীন৷ তাদের দাবি, ওই এলাকা নিয়ে বিবাদ রয়েছে৷ ফলে তা নিজেদের বলে দাবি করতে পারে না এই দেশ৷ তবে চিনের আপত্তি সত্ত্বেও ভুটান ওই অনুদান পেয়েছিল৷
পাশাপাশি, নয়াদিল্লিতে অবস্থিত চিনা দূতাবাসকে ভুটানের তরফে কড়া বার্তা দিয়ে জানানো হয় যে, সাকতেং অভয়ারণ্যের গোটাটাই তাদের ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ৷ সূত্র: খবর সংবাদ প্রতিদিন।