হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা আহমদ শফীর সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ানোর মাশুল দিতে হচ্ছে মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীকে। মাশুল হিসেবে হেফাজতে ইসলাম থেকে বিদায় হচ্ছেন তিনি। এদিকে আলোচিত মহাসচিব বাবুনগরীর স্থলাভিষিক্ত হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন হেফাজতের চার নেতা। কয়েকদিনের মধ্যেই হেফাজতে ইসলামের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম ‘মজলিসে শূরা’ নির্ধারণ করবে আমিরের ‘রানিংমেট’। হেফাজতে ইসলামের প্রভাবশালী একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমিরের সঙ্গে মহাসচিবের দ্বন্দ্বে জড়ানোকে ভালোভাবে নেননি নীতিনির্ধারণী ফোরাম মজলিসে শূরা সদস্যরা। তাই হেফাজতে ইসলামের যাবতীয় কর্মকান্ড থেকে মাইনাস হচ্ছেন জুনায়েদ বাবুনগরী। শিগগির বৈঠকে বসে নির্ধারণ করা হবে হেফাজতে ইসলামের নতুন মহাসচিব।’
হেফাজতে ইসলামের একাধিক সূত্রে আরও জানা যায়, আমিরের সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণে বর্তমান মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরীর বিদায় এক প্রকার নিশ্চিত। তাই পরবর্তী মহাসচিব হিসেবে কয়েকজনের নাম উঠে আসছে আলোচনায়। তাদের মধ্যে রয়েছেন হেফাজতের প্রভাবশালী দুই নেতা হাটহাজারী মাদ্রাসার সহযোগী পরিচালক আল্লামা শেখ আহমদ ও হাটহাজারী মাদ্রাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা আহমেদ দিদার কাসেমী। এ ছাড়া নাজিরহাট মাদ্রাসার পরিচালক ও যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা সলিমুল্লাহ, বেফাক মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির মাওলানা আবদুল কুদ্দুসের নাম শোনা যাচ্ছে। আরেকটা সূত্র জানায়, হেফাজতে ইসলামের বর্তমান কমিটির আমির ও মহাসচিব হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে নির্বাচিত করা হলেও আগামী কমিটির ধরনে কিছুটা পরিবর্তন আসতে পারে। বর্তমান আমির আল্লামা আহমদ শফীকে আমির রেখে ঢাকা কেন্দ্রিক কোনো নেতাকে মহাসচিবের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। এতে ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ হবে। এক্ষেত্রে ঢাকায় অবস্থান আছে এবং গণমাধ্যমের সঙ্গে ভালো যোগাযোগ রয়েছে এমন কাউকে মহাসচিব করা হতে পারে। ঢাকা থেকে মহাসচিব হওয়ার জন্য হেফাজতে ইসলামের বর্তমান যুগ্ম-মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ আলোচনায় থাকলেও তিনি এ মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আসতে রাজি নন বলে জানা গেছে। এ ক্ষেত্রে মহাসচিব হিসেবে দেখা যেতে পারে মাওলানা আবদুল কুদ্দুসকে। চট্টগ্রাম থেকে কাউকে মহাসচিব করা হলে এ ক্ষেত্রে এগিয়ে আছেন মাওলানা শেখ আহমদ কিংবা মাওলানা আহমেদ দিদার কাসেমী। এদিকে চমক হিসেবে পরবর্তী মহাসচিব পদে আসতে পারেন বর্তমান যুগ্ম-মহাসচিবদের একজন।