নিখাদ বার্তাকক্ষ: মহানবীকে (সা.) নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের প্রতিবাদে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভ হয়েছে। এ অবস্থা থেকে বাদ পড়েনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ। রাজ্যটির বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ হয়েছে। সবচেয়ে বেশি বিক্ষোভ হয়েছে হাওড়ার আশপাশে। খবর এএনআই।
শুক্রবার (১০ জুন) জুমার নামাজের পরই পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন শহরে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখান মুসলিমরা। মহানবীকে (সা.) নিয়ে বিজেপির মুখপাত্র নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ। বিক্ষোভকারীদের দাবি ছিল, নূপুর শর্মাকে গ্রেফতার করতে হবে।
বিক্ষোভকারীরা হাওড়ার ডোমজুড়ে ১১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন। তারা টায়ারে আগুন ধরিয়ে দেন। রাস্তার মাঝখানে দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে টায়ার। পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
রাস্তা অবরোধের পরই যানজট দেখা দেয়। হাজার হাজার গাড়ি আটকা পড়ে রাস্তায়। হাওড়ার জাতীয় সড়কটি খুবই ব্যস্ত। ফলে গোটা এলাকায় ভয়ংকর যানজট দেখা দেয়। দ্বিতীয় হুগলি সেতু পর্যন্ত যানজটের কবলে পড়ে।
অবরোধকারীরা জানিয়েছেন, মহানবীর (সা.) বিরুদ্ধে বিজেপির মুখপাত্র নূপুর শর্মার আপত্তিকর মন্তব্যের প্রতিবাদে তারা রাস্তা অবরোধ করেছেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, ‘আমি অবরোধকারীদের হাতজোড় করে অনুরোধ করছি, তারা যেন রাস্তা খালি করে দেন।’ কিন্তু তার সেই আবেদনে কাজ হয়নি। অবরোধ চলতে থাকে। মমতা বলেন, তিনি চাইলে পুলিশ দিয়ে উঠিয়ে দিতে পারতেন। কিন্তু স্পর্শকাতর বিষয় বলে তা করছেন না। মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, দিল্লির ঘটনার প্রতিবাদ এভাবে বাংলায় কেন হবে? প্রতিবাদ করতে চাইলে এফআইআর করুন।
মমতার সঙ্গে ছিলেন ফিরহাদ হাকিম। মমতা জানান, একজন ব্যক্তি ওই অবরোধের ডাক দিয়েছেন। তিনি নিজেকে ইমাম বলছেন। মমতা বলেন, নাখোদা মসজিদের ইমাম ভিডিওবার্তায় অবরোধ সরিয়ে নেয়ার অনুরোধ করেছেন। তিনি বলেছেন, ক্ষোভ হওয়া সংগত, কিন্তু রাস্তা ছেড়ে বিক্ষোভ দেখান।
মমতা আরও বলেন, অবরোধের ফলে অ্যাম্বুলেন্সও আটকে গেছে। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, বিজেপির অপশাসন থেকে নজর ঘোরাতে এখানে এ রকম করা হচ্ছে।
প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে অবরোধ চলে। তারপর তা তুলে নেয়া হয়। এর ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে প্রচুর গাড়ি আটকে পড়ে। অনেক মানুষ, বিশেষ করে বাচ্চারা দুর্দশায় পড়ে।
এ ছাড়া কলকাতায় পার্ক সার্কাস মোড়ে প্রচুর মানুষ জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখায়।