রেড জোন চিহ্নিত হওয়া রাজধানীর ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে দ্বিতীয় দিনের মতো লকডাউন সফল করতে পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবকরা তৎপর রয়েছে। লকডাউনের নিয়ম অনুযায়ী এলাকা থেকে প্রবেশ-বাইরে কড়াকড়ি থাকলেও বাসিন্দাদের মধ্যে সরকারি কর্মকর্তা ও ব্যাংকারসহ বিভিন্ন পেশাজীবীর লোক কেউ কেউ নানা অজুহাতে তা লঙ্ঘন করছেন। খাতায় নাম-ঠিকানা লিপিবদ্ধ করে বা দায়িত্বরতদের অনুরোধ করে তারা বের হচ্ছেন। আবার কোনো কোনো ব্যক্তি সরকারের ‘উচ্চপদস্থ’ কর্মকর্তার পরিচয়ে হুমকি দিয়ে বের হচ্ছেন বলেও অভিযোগ স্বেচ্ছাসেবীদের। গতকাল ওই ওয়ার্ড ঘুরে সকাল থেকেই খোলা দুটি প্রবেশপথে একসঙ্গে অনেককে বের হতে এবং জটলা করতে দেখা গেছে। স্বেচ্ছাসেবকরা তাদের লাইনে দাঁড় করিয়ে খাতায় নাম-ঠিকানা লিপিবব্ধ করে একে একে বের হতে বললেও অনেকেই মানতে চাচ্ছেন না ওই নিয়মও। কিন্তু এলাকার সচেতন মহলের অনেকেই লকডাউন মানছেন এবং বিভিন্ন সাহায্য-সহযোগিতাও করছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। স্বেচ্ছাসেবকরা এলাকাবাসীর মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে কিছুক্ষণ পরপর মাইকিং করছেন। স্বেচ্ছাসেবকরা বলছেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থেকে এলাকাকে সুরক্ষিত রাখা ও বাসিন্দাদের নিরাপদ রাখতেই তাদের এই তৎপরতা। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সারোয়ার হোসেন আলো বলেন, সরকারি কর্মকর্তা যারা আছেন খুব জরুরি কাজ না থাকলে বের হতে পারবেন না। সরকারি বা বেসরকারি কর্মকর্তা হোক, আসলে কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। সবাইকেই আইন মানতে হবে। সবাইকেই লকডাউন মানতে হবে। দুই-একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলেও প্রথমদিনের তুলনায় রবিবারের অবস্থা অনেক ভালো। এলাকাবাসীও যথেষ্ট সহযোগিতা করছেন। তবে কেউ কেউ বুঝতে চান না। এ ধরনের পরিস্থিতিতে তারা এর আগে কখনো পড়েনি। এজন্যই হয়তো এমন হচ্ছে। তবে আমাদের পক্ষ থেকে তাদেরও বুঝিয়ে-শুনিয়ে বাসায় থাকতে বলা হচ্ছে। হট কেট গলিতে কর্তব্যরত ওয়ারী থানার সাব-ইন্সপেক্টর সুকান্ত বলেন, লকডাউন এলাকায় কোনো বিশৃঙ্খলা যেন না হয়, সে বিষয়টি আমরা তদারকি করছি। নির্দেশনা অনুযায়ী এলাকা থেকে জরুরি সেবা দানকারী কর্মীরা বের হতে পারবেন আর বিশেষ বিবেচনায় বিভিন্ন রোগীদের প্রেসক্রিপশন দেখানোর পর বের বা প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে।