রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা ঘোষণার ২৪৪তম বার্ষিকী উপলক্ষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। অভিনন্দন বার্তায় তারা আশা প্রকাশ করেন- আগামী দিনগুলোতে দু’দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও গভীর, সম্প্রসারিত ও জোরদার হবে। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টার শামীম আহমদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শনিবার এ তথ্য জানানো হয়েছে। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এক অভিনন্দন বার্তায় বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও আস্থাভাজন অংশীদার। দু’দেশ স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের নীতির অভিন্ন মূল্যবোধের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ। এই অভিন্ন মনোভাবের ভিত্তিতে প্রতিটি সম্ভাব্য ক্ষেত্রে আমাদের সম্পর্ক উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। রাষ্ট্রপতি রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় বাংলাদেশকে অব্যাহত সমর্থন দেয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। রাষ্ট্রপতি বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সম্মিলিত প্রয়াসের মাধ্যমে আগামী দিনগুলোতে দু’দেশ এবং জনগণের মধ্যকার অংশীদারিত্ব আরও জোরদার ও বিকশিত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক এক বার্তায় বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রের নীতির অভিন্ন মূল্যবোধ সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে দু’দেশের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে পরস্পরের বড় অংশীদার। শেখ হাসিনা বলেন, দু’দেশের সামাজিক নীতি ও মূল্যবোধের ভিত্তিতে আমরা আমাদের বন্ধত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও প্রাতিষ্ঠানিক অংশীদারিত্ব জোরদার করেছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক দীর্ঘ সময়ে বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং উন্নয়ন সহায়তার বাইরেও বহুমুখী ও বিকশিত হয়েছে। তিনি বলেন, দু’দেশ সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা, সহিংস চরমপন্থা মোকাবেলা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, নারীর ক্ষমতায়ন, মানবাধিকার, আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা এবং শান্তিরক্ষা কার্যক্রমসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরস্পরকে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে স্বীকৃতি ও মূল্য দেয়। শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমরা রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় দৃঢ় ও অব্যাহত সমর্থন দেয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। আগামী দিনগুলোতে দু’দেশের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও গভীর, সম্প্রসারিত ও জোরদার হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।