বাংলাদেশ ২০২৬ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে: বাণিজ্য মন্ত্রী

চট্টগ্রাম

নিখাদ বার্তাকক্ষ: বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ২০২৬ সাল বেশি দূরে নয়, বাংলাদেশের অবস্থান পাল্টে গেছে, ২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের আগে পাকিস্তানের অর্থনীতি আমাদের চেয়ে ৭০ শতাংশ ভালো ছিল। আজকে পাকিস্তানের চেয়ে আমাদের অর্থনীতি ৪০ শতাংশ এগিয়ে। পাকিস্তান থেকে আমরা আজ সব সূচকে এগিয়ে আছি। এমনকি ভারত থেকেও আমরা ছয়টি সূচকে এগিয়ে।
মঙ্গলবার (৩১ মে) বিকালে চট্টগ্রামের রেলওয়ে পলোগ্রাউন্ড মাঠে ২৯তম চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২২’এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে মাসব্যাপী বাণিজ্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য এমএ লতিফ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম মেট্টাপলিটন পুলিশ কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর, চেম্বার পরিচালক ও সিআইটিএফ-২০২২ কমিটির চেয়ারম্যান এ. কে. এম. আকতার হোসেন।
বাণিজ্য মন্ত্রী বলেন, চার বছর আগে মন্ত্রী ছিলাম না, দিল্লি গেছি। একজন পাকিস্তানি জানতে চাইল, তোমাদের প্রধানমন্ত্রীর হাতে কি জাদু আছে ? আমাদের অর্থনীতি তাদের কাছে বিস্ময়। দেশকে এগিয়ে নিতে সরকারের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের অবদান আছে। সরকার ব্যবসা করবে না, ব্যবসায় সহায়তা করবে।
তিনি বলেন, তেলের দাম বাড়ার পর বাম দলগুলো আমার পদত্যাগ দাবি করেছিল। বাণিজ্যমন্ত্রীর পদের প্রতি আমার লোভ নেই। প্রধানমন্ত্রী আমাকে বললেন, যারা পদত্যাগ চেয়েছে তারা তেলের দাম কমাতে পারবে কিনা ? ব্রাজিল আর্জেন্টিনা, মালয়েশিয়া-ইন্দোনেশিয়ায় তেলের দাম না কমালে এটি সম্ভব নয়।
বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি আরও বলেন, তেলের দাম ভারতে ১৫ টাকা, পাকিস্তানে ৩৬ টাকা বেশি। ১০ শতাংশ তেল হয় দেশে। গম, ডাল আমদানি করতে হয়। আমাদের চেষ্টার ত্রুটি নেই। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এক কোটি মানুষকে তেল চিনি ছোলা দিয়েছি সাশ্রয়ী মূল্য। ৫ কোটি মানুষ উপকৃত হচ্ছে। যত দিন পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয় ততদিন এটি চলবে। ভর্তুকি দিতে হবে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম অর্থনীতির লাইফ লাইন, গেটওয়ে। চট্টগ্রামের ওপর আমাদের নির্ভর করতে হয়। সেই চট্টগ্রামকে আরও গুরুত্ব দেওয়া দরকার। বন্দরকে আপগ্রেড করতে হবে। আশাকরি ৬০ বিলিয়ন ডলার রফতানি করতে পারব এবার।
মাসব্যাপী এই মেলা চলবে সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত। মেলায় নিজস্ব পণ্য নিয়ে ভারত, থাইল্যান্ড ও ইরানসহ বিভিন্ন দেশের পণ্য প্রদর্শন করা হবে। মেলার আয়তন প্রায় চার লাখ বর্গফুট। এতে ১৭টি প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন, ৩৩টি প্রিমিয়ার স্টল, ৯৯টি গোল্ড স্টল, ৪৮টি মেগা স্টল, ১৪টি ফুড স্টল, দুটি আলাদা জোন নিয়ে ৩৭০টি স্টলে তিন শতাধিক প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করছে।
দর্শনার্থীর টিকেটের মূল্য রাখা হয়েছে ১৫ টাকা। এছাড়া মেলায় নগরীর বিভিন্ন স্কুলের প্লে গ্রুপ থেকে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে টিকিটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *