নিখাদ বার্তাকক্ষ : কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন (কুসিক) নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ ও সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
আজ মন্ত্রণালয়ের নিজ কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের সঙ্গে সাক্ষাত শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
তাজুল ইসলাম বলেন, কুসিক নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশনকে সকল ধরণের সহায়তা দিতে সরকার বদ্ধপরিকর এবং আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীও এ বিষয়ে সচেষ্ট রয়েছে।
তিনি বলেন, নির্বাচনে সকল দলের স্বত:স্ফূর্ত অংশগ্রহণ করলে এক ধরনের উত্তেজনা বিরাজ করে এবং এটি থাকবে, সেটাই স্বাভাবিক। বিশ্বের অনেক দেশের নির্বাচনই উত্তেজনাপূর্ণ হয়। তবে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনা কারোরই কাম্য নয়।
কুসিক নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী আলাদা সুবিধা পাচ্ছে কীনা এমন প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, সরকার দলীয় প্রার্থীর আলাদা সুবিধা পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করার জন্য নির্বাচন কমিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন, প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নির্বাচন কমিশনের অধীন কাজ করবে। সরকার নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদানে অঙ্গীকারাবদ্ধ।
মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে মন্ত্রী জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) বাংলাদেশের নগর স্বাস্থ্য উন্নয়নে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
এব্যাপারে কাজ করতে উভয় দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষরের উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানান রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। পরবর্তীতে যৌথভাবে নগর ও গ্রামীণ স্বাস্থ্য উন্নয়নে কাজ করা হবে।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও সক্ষমতার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
এছাড়া করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সৃষ্ট স্বাস্থ্যগত ও আর্থ-সামাজিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উচ্চ প্রশংসা করেন তিনি। বর্তমান সরকারের মেয়াদকালে দেশে একদিকে যেমন অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা এসেছে, তেমনি মানুষের জীবনযাত্রার মানও বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও মন্ত্রীকে অবহিত করেন পিটার ডি হাস।
বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বন্ধুপ্রতিম দেশ বলে উল্লেখ করে তিনি আরো জানান, উভয় দেশের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে। দ্বিপাক্ষিক ও অভ্যন্তরীণ সমসাময়িক সমস্যা সমাধানে উভয় দেশ এক সঙ্গে কাজ করবে। অদূর ভবিষ্যতে বন্ধপ্রতিম দু’দেশের সম্পর্ককে আরো সুদৃঢ় ও নতুন উচ্চতায় নেওয়ার বিষয়েও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।