করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যে বগুড়া-১ ও যশোর-৬ আসনে ১৪ জুলাই ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকায় ভোটের এ তারিখ নির্ধারণ করেছে ইসি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ দুটি আসনে ভোটগ্রহণ করা হবে। শনিবার কমিশনের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও স্থানীয় সরকারের অন্য নির্বাচনগুলোয় ভোটগ্রহণের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর বলেন, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে ১৪ জুলাই ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সংবিধানে সবমিলিয়ে আসন শূন্য হওয়ার ১৮০ দিনের মধ্যে ভোটগ্রহণ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু করোনাভাইরাস সংক্রমণ থাকায় বিষয়টি নিয়ে সিইসি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। সেখান থেকে সিইসিকে জানানো হয়েছে, সংবিধানে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে ভোটগ্রহণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এসব বিবেচনায় ১৪ জুলাই এ দুটি আসনে উপনির্বাচন হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যে অবস্থায় নির্বাচন স্থগিত হয়েছিল, সেই অবস্থা থেকে শুরু হবে। তাই নতুন করে কারও প্রার্থী হওয়ার সুযোগ নেই। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও স্থানীয় সরকারের শূন্য অন্যান্য নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ওইসব নির্বাচনের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এগুলো পরে হবে।
জানা গেছে, বগুড়া-১, যশোর-৬ ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ২৯ মার্চ ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা ছিল। করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে ওই নির্বাচন স্থগিত করা হয়। আসন দুটির মধ্যে বগুড়া-১ শূন্য হয় ১৮ জানুয়ারি এবং যশোর-৬ শূন্য হয় ২১ জানুয়ারি। ইতোমধ্যে আসন দুটির উপনির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রথম নব্বই দিন পার হয়ে গেছে। সংবিধান প্রদত্ত সিইসির হাতে থাকা পরবর্তী নব্বই দিন পার হবে যথাক্রমে ১৫ ও ১৮ জুলাই।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে নির্বাচন ভবনে কমিশনের ৬৫তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার ছাড়া অন্য কমিশনাররা অংশ নেন। সভায় বগুড়া-১ ও যশোর-৬ আসনে ব্যালটে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ভোটকেন্দ্রে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও হাতধোয়ার পর্যাপ্ত বেসিন রাখা হবে। ভোটার ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভোটগ্রহণের নির্দেশনা দেয়া হবে। আরও জানা যায়, বর্তমানে পাবনা-৪, ঢাকা-৫ ও সিরাজগঞ্জ-১ আসন শূন্য রয়েছে। এর মধ্যে পাবনা-৪ ও ঢাকা-৫ আসনে দ্বিতীয় ৯০ দিনে ভোটগ্রহণের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী এ তিনটি আসনই শূন্য হওয়ার ১৮০ দিনের মধ্যে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। চলতি মাসে তিনটি আসনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে।
বৈঠকে অংশ নেয়া ইসির একজন কর্মকর্তা জানান, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনসহ স্থানীয় সরকারভুক্ত প্রতিষ্ঠানে নির্বাচনের বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে ইসিকে এখনও কিছু জানানো হয়নি। তাই ওই বিষয়ে কমিশন এখন কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না।