নিম্নমানের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিক্রি করায় জরিমানা পাবনায়

বাংলাদেশ সাস্থ্য ও চিকিৎসা

পাবনায় ঔষধের দোকানে স্বাস্থ্যবিধি না হচ্ছে না। নিম্নমানের মাস্কসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ইচ্ছামত অতিরিক্ত দামে বিক্রি করা হচ্ছে। এসব অভিযোগে সোমবার বিকালে ভ্রাম্যমাণ আদালত শহরের কয়েকটি ঔষধের দোকানে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৩ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

এদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা করার প্রতিবাদে দোকানদাররা আকস্মিক ধর্মঘট পালন করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি না মানা ও মাস্কসহ নিম্নমানের বিভিন্ন স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বেশি দামে বিক্রির অভিযোগে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে ভ্রাম্যমাণ আদালত সোমবার শহরের ৫টি ঔষধের দোকানে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় ওইসব দোকানে প্রায় ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এনডিসি (নেজারত ডেপুটি কালেক্টর) ম্যাজিষ্ট্রেট সাজ্জাত হোসেন জানান, করোনাকালে বিভিন্ন ঔষধের দোকানে স্বাস্থ্যবিধি না মানা, মাস্ক না পরা, নিম্নমানের মাস্কসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ইচ্ছামত বেশি দামে বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার বিকালে শহরের ৫টি দোকানে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমান আদালত। এসময় স্বাস্থ্যবিধি না মানাসহ কমবেশি অনেক দোকানেই নানা অনিয়ম পরিলক্ষিত হয় এবং সে ভিত্তিতে সহনীয় পর্যায়ে জরিমানা করে তাদেরকে সতর্ক করা হয়। বেশি অনিয়ম পরিলক্ষিত হওয়ায় শহরের ইন্দারা মোড়ের তারেক সার্জিক্যাল নামক ঔষধের দোকানে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এনডিসি বলেন, ওই দোকানদার নিজে এবং তার দোকানের কোন কর্মচারীর মুখে এসময় মাস্ক ছিল না। ওই দোকানে নিম্নমানের মাস্ক বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। দোকানের অনেক পণ্যের কোনো চালান দেখাতে পারেননি। বিক্রিত পণ্যেরও কোনো রশিদ দিচ্ছে না। কিন্ত অভিযানের সময়ই দোকানের মালিক আনসার আলী ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিষ্ট্রেটকে ধর্মঘট করার হুমকি দেন। পরে শুনেছি, ভ্রাম্যমাণ আদালত চলে যাওয়ার পরপরই তিনি সবাইকে ভুল বুঝিয়ে অনেক দোকানপাট বন্ধ করে দেন।

এদিকে ৩০ মিনিট পরই চেম্বার নেতাদের হস্তক্ষেপে ওই ধর্মঘট প্রত্যাহার করেন ঔষধের দোকানদাররা। পাবনা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি সাইফুল আলম স্বপন চৌধুরী বলেন, করোনাকালে ঔষধের দোকানে ধর্মঘট করা অমানবিক। তাই তারা দোকানদারদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করতে বলেন এবং তারা এক ঘণ্টা পরই ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেন।

তিনি বলেন, প্রকৃত ঘটনা কী ঘটেছিল-সে বিষয় নিয়ে ঔষধ ব্যবসায়ী ও প্রশাসনের সঙ্গে পরে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ভ্রাম্যমান আদালতে নেতৃত্ব দেন এনডিসি সাজ্জাত হোসেন, মিজানু রহমান, খন্দকার খাদেমুল হাসান, বায়েজিদ বিন আকন্দ, প্রদীপ্ত রায় দীপণ।

এদিকে ভ্রাম্যমান আদালতের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ধর্মঘটে কিছু দোকনদার অংশ না নিয়ে দোকান খোলা রাখেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এমন একজন দোকানদার যুগান্তরকে বলেন,অনেক ঔষুধের দোকানদারের বিরুদ্ধেই অনৈতিক ব্যবসায়ের অভিযোগ রয়েছে। কাজেই ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান যথার্থ ছিল। এজন্য তারা এই অন্যায় কাজে সমর্থন দেননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *