অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের চিকিৎসার সার্বক্ষণিক খবর নিচ্ছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী

জাতীয় প্রচ্ছদ

নিখাদ বার্তাকক্ষ: ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বাংলা একাডেমির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসপাতালের হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) স্থানান্তর করা হয়েছে বলে পরিবারের সদস্যরা দৈনিক নিখাদ খবরকে জানিয়েছেন এবং নিখাদ বার্তাকক্ষের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে উনার দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন।

জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের পরিবারের পক্ষ থেকে বিশেষভাবে আরো জানানো হয় যে,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ফোন করে তাঁর চিকিৎসার ও শারীরিক অবস্থার বিষয়ে সার্বোক্ষনিক খোঁজ খবর নিচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উনার পরিবার আরো জানান, জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম ‘ক্রিটিক্যাল কন্ডিশনে’ আছেন। নিউমোনিয়ার সমস্যা বেড়ে যাওয়ায় তার শ্বাসকষ্ট হচ্ছে।উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল উল্লেখ করে পরিবারিক সূত্রে জানা যায়, ‘অধ্যাপক রফিকুল ইসলামকে পরিবার বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করাতে চেয়েছেন। কিন্তু উনি বিদেশে যাবেন না বলে আমাদের জানিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশেই চিকিৎসা নিতে চান। উনার শারীরিক অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। চার দিন আগে রফিকুল ইসলামকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হয় বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানান হয়। এর আগে গত ৭ অক্টোবর পেটের ব্যথা নিয়ে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি হয়েছিলেন জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার ফুসফুসে পানি ধরা পড়ে। তখন থেকে তিনি সেখানেই বক্ষব্যাধি (রেসপিরেটরি মেডিসিন) বিভাগের অধ্যাপক ডা. এ কে এম মোশাররফ হোসেনের অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম নজরুল অধ্যাপক এবং নজরুল গবেষণা কেন্দ্রের প্রথম পরিচালক ছিলেন অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। ৮৭ বছর বয়সী এই ভাষাবিজ্ঞানী, লেখক ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের উপাচার্য ছিলেন তিনি। এক সময় বাংলা একাডেমির মহাপরিচালকের দায়িত্বও পালন করেছেন। 

২০১৮ সালে সরকার তাকে জাতীয় অধ্যাপক স্বীকৃতি দেয়। ২০২১ সালের ১৮ মে সরকার তাকে তিন বছরের জন্য বাংলা একাডেমির সভাপতির দায়িত্ব দেয়। 

কর্মজীবনের স্বীকৃতি হিসেবে স্বাধীনতা ও একুশে পদক পেয়েছেন তিনি। এ ছাড়া মাতৃভাষা সংরক্ষণ, পুনরুজ্জীবন, বিকাশ, চর্চা, প্রচার-প্রসারে অবদান রাখায় তাকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদক’ দেওয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *