আমরা সব সময় মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাব

উন্নয়ন বাংলাদেশ

মিজানুর রহমানঃস্টাফ রিপোর্টার।

প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণের কল্যাণে সব সময় কাজ করে যাওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জাতির পিতার কাছে অঙ্গীকারবদ্ধ।

তিনি বলেন, ‘আমরা সব সময় মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাব, এটাই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে আমাদের অঙ্গীকার।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার একাদশ জাতীয় সংসদের অষ্টম (বাজেট) অধিবেশনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দেয়া ভাষণে এ কথা বলেন।

সাতদিন বিরতির পর চলমান সংসদের অষ্টম এবং বাজেট অধিবেশনের মুলতবি বৈঠক মঙ্গলবার বেলা ১১টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হয়।

শেখ হাসিনা তার দলের দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের বর্ণনা দিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগের এই ত্যাগ-তিতিক্ষার মধ্য দিয়ে যে অর্জন সেটা হচ্ছে- বাংলাদেশের স্বাধীনতা। জাতি স্বাধীন হিসেবে মর্যাদা পেয়েছে। এটাই সবচেয়ে বড় পাওয়া।

কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য- জাতির পিতা রাষ্ট্রপরিচালনার যখন দায়িত্ব পেলেন, যুদ্ধবিগ্রহ দেশটিকে যখন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, ঠিক সেসময় সেই আরেক মীরজাফর মোশতাক এবং জিয়ার চক্রান্তে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা ব্যাহত হয়ে গেল।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে সব ধরনের আন্দোলনে কাজ করে গেছে। ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর আম্রকাননে সিরাজউদ্দৌলা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছে যুদ্ধে হেরে যায়।

সেখানে মীরজাফর আলী খান বেইমানি করেছিল, তার ফলে কিন্তু এই পতন ঘটে। অর্থাৎ তখন সিরাজউদ্দৌলা ছিলেন বাংলা, উড়িষ্যাসহ এই অঞ্চলের শাসক।

সেই স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়েছিল পলাশীর যুদ্ধে আম্রকাননে। আর ২৩ জুন প্রতিষ্ঠা লাভ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আর সেই আওয়ামী লীগ আবার সেই সূর্য উদয় করে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা শারীরিকভাবে আমাদের মাঝে নেই।

কিন্তু তার যে আকাঙ্ক্ষা, তা আমাদের পূরণ করতে হবে। তার অস্তিত্ব আমাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে আছে। একসময় তাকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছে; কিন্তু মুছে ফেলা যায়নি। সত্যকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা যায় না।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে মানুষের জন্য কাজ করে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, একমাত্র আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় এসেছে, বাংলাদেশের মানুষ কিছু পেয়েছে।

বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে জীবন দেয়া নেতাকর্মীদের কথা স্মরণ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মী যারা জীবন দিয়েছে, আমি তাদের কথা স্মরণ করি। তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।

করোনাভাইরাস সংকট কাটিয়ে বাংলাদেশ সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে- এমন আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, করোনাভাইরাসে দুঃখ-কষ্ট মানুষের আছে।

আজ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে। আমাদের ছাত্রলীগ, কৃষক লীগসহ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা মানুষের পাশে আছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী খুব সীমিত আকারে আমরা উদ্যাপন করছি। কেন্দ্রীয় কমিটির কয়েকজন নেতা সীমিত আকারে টুঙ্গিপাড়া গেছেন (জাতির পিতার সমাধিসৌধে)।

আর সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে হাতে গোনা কয়েকজনকে নিয়ে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে (ধানমন্ডি ৩২) ফুল দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, জনসমাগম হোক, সে ধরনের কর্মসূচি আমরা বাতিল করেছি জনগণের কল্যাণের কথা চিন্তা করে। কারণ, আমাদের কাছে জনগণের কল্যাণটাই সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *