মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার অমরত্ব কামনা করছি

অন্যান্য প্রচ্ছদ

জিয়াউল আলম : পৃথিবীর বুক থেকে কোন কারনে যদি বাংলাদেশের নাম মুছেও যায় কিন্তু তবুও সোনার বাংলার স্বপ্ন দ্রষ্টা বঙ্গবন্ধুর নাম ইতিহাসের পাতা থেকে কোন ভাবে, কোনদিনই মুছে ফেলা সম্ভব নয়। স্বাধীন সোনার বাংলার স্হপতি এবং সর্বশ্রষ্ঠ বাঙ্গালী হিসাবে, ইতিহাসের পাতায় উনি চিরকালের জন্য অমর হয়ে থাকবেন।

মুজিব বর্ষে, ওনারই সুযোগ্য কন্যা, অকুতভয় মাননীয় প্রধান মন্ত্রি জননেত্রী শেখ হাসিনার ব্যাপারে ব্যক্তিগত ভাবে আমার চাওয়া, বঙ্গবন্ধুর মতই ইতিহাসের পাতায়, তারও অমরত্ব। দেশ ও জাতীর প্রতি তার সময়াচিত, অতুলনীয়, অকৃত্রিম ভালোবাসা আর অঙ্গীকার পালন এবং আর অনন্য ব্যক্তিত্বকে যখন অত্যন্ত গভীরভাবে পর্যবেক্ষন করি, তখন তার অমরত্ব কামনা করাটা, তার কর্মের একমাত্র সিকৃতি হিসাবে আমার ভিতরে অনুভব হয়।

আমি কোন পরিসংখান দিয়ে লিখাটাকে দীর্ঘ না করে, তার সামান্য কিছু কর্মের উদাহরনই তাকে কিভাবে অমরত্বের কাছে নিয়ে গেছে, তারই বর্ননা আমার এই লিখাতে উল্লেখ করেছি। তার ক্ষমতা গ্রহনের আগে বাংলাদেশের সত্যিকার অবস্হা বলতে গেলে বলতে হয়, একটি অউন্নয়নশীল, তাবেদারি, জংঙ্গী ও মৌলবাদ, অর্থনৈতিক অস্হিশীল, দ্বিমুখী রাষ্ট্র ব্যাবস্থা (হাওয়া ভবন এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) এবং অস্হীর ও অসুস্হ সমাজ ব্যাবস্থার রাষ্ট্র। ২০০৮ সালে ক্ষমতা গ্রহনের পর, কিভাবে একজন রাষ্ট্রপ্রধান নিজের জীবনকে বাজী ধরে মৃত্যুর ভয়কে জয় করে, অগনিত অভ্যন্তরীন ও বহিঃবিশ্বের নানা মুখি ষড়যন্ত্রকে সাহসের সাথে উপেক্ষা করে, লড়াকু মনোভাব এবং বুদ্ধি দিপ্ত রাষ্ট্র পরিচালনার দক্ষতা দিয়ে, দেশ ও জনগনকে দেয়া তার প্রতিশ্রুতির সাথে কোন প্রকার আপোষ না করে সেই বাংলাদেশ এবং জাতীকে আজ কোথায় তিনি নিয়ে এসেছেন। যতটা সহজ ভাবে এটা আমার বলা, ততটাই কঠিন তার বাস্তব রুপ দেয়া, যা অচিন্তনিয়। আর এটা সম্ভব হয়েছে, আর তার দৃড়তা পূর্ন রাষ্ট্র পরিচালনা, স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধুর দেখা সেই স্বপ্নের সোনার বাংলার বাস্তবে রুপ দেয়া এবং সোনার বাংলার বন্চিত জনগনকে দেয়া তার প্রতিশ্রুতিকে তার জীবনের একমাত্র ধর্ম হিসাবে তার চেতনার মধ্যে লালন করার কারনে। তিনি ভালোবাসেন বাংলাদেশকে, তিনি ভালোবাসেন বাংলার উপেক্ষিত জনগনকে। আর এই দেশ এবং দেশের উপেক্ষিত জনগনের সর্বাত্বক উন্নয়নই ছিল তার এক যুগ ধরে একমাত্র চাওয়া এবং স্বপ্ন।
:

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার সবচেয়ে বড় বাঁধা ছিল দুর্নীতি। আর সেই দুর্নিতীকে দেশ ও জাতীর সবচেয়ে বড় শত্রু হিসাবে চিহ্নিত করে, এর বিরুদ্ধে লড়াই ঘোষনা দিয়েছিলেন ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পূর্বে। আর বহু শতাব্দীর বন্চিত সোনার বাংলার সেই জনগন এবার আর ভুল না করে, তার বিশ্বস্ত হাতে, রাষ্ট্রের ক্ষমতা তুলে দিয়েছিল চরম আস্হার সাথে। তিনি জানতেন, তার বাবার মতনই, মানুষের বিস্বাস ও আস্থার মূল্য কিভাবে মুল্যায়ন করতে হয়। আর জনগনের তার উপর এই আস্হাকে পুরন করতে এতটাই সংক্লপবদ্ধ ছিলেন তিনি, কোন প্রকার বাঁধা ও ষড়যন্ত্রই, বাংলার জনতার তার উপর, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার যে দায়িত্ব দিয়েছিল বিস্বাস ও আস্থার সাথে বাস্তব রুপ দিতে, মাননিয় প্রধান মন্ত্রী, জনগনের সেই বিশ্বাসকে ধর্ম হিসাবে মনে করেছিলেন এবং তাই কোন রকমের বাধাই তাকে স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার দায়িত্ব থেকে, দুরে সরিয়ে রাখতে পারে নাই।গত ১২ বছর, তিনি তার অবাক করা দক্ষতার দিয়ে, দেশের যে উন্নয়ন সাধন করেছেন, সেটা আমরা স্বাধীনতা উত্তর কালে, কখনোই পরিলক্ষন করি নাই।

আর অবাক করা তার পররাষ্ট্রনীতি। পার্শবর্তি ক্ষমতাধর উন্নত এগিয়ে যাওয়া, সবগুলো দেশের সাথে, চমৎকার সুসম্পর্ক বজায় রেখে, তাদের সবার সহযোগিতায়, দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের যে ধারা তিনি বজায় রেখে চলেছেন, যুগের উপরে, সেটা অবাক করার মত। তার বিচক্ষণতার সবচেয়ে বড় উদাহরন হিসাবে, আমরা শুধুমাত্র পদ্মা সেতুর বাস্তবায়নকে গভির ভাবে পর্যবেক্ষন করলেই বুঝতে পারবো, তার দক্ষতা এবং দৃড়তাকে। আভ্যন্তরিন এবং বহিরবিশ্বের কত প্রকার ষড়যন্ত্র ছিল এর বাস্তবতার বাঁধা হিসাবে। একটা পর্যায়ে তো সকলে ভেবে নিয়েছিল, পদ্মা সেতু আমাদেরকে দেখানো অলিক কোন স্বপ্ন ছাড়া আর কিছুই নয়।দেশী এবং বিদেশী সকল বাঁধা এবং ষড়যন্ত্রকে কিভাবে সামাল দিয়ে, দেশের ভঙ্গুর অর্থনৈতিক প্রতিকুলতার মধ্যেও, সকল ষড়যন্ত্রকে পরাজিত করে, আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি, উন্নয়নের মাইল ফলক হিসাবে, স্বপ্নের পদ্মা সেতুর বাস্তবতার দিকে কিভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব ব্যাংকের কোন প্রকার অর্থায়ন ছাড়াই, সম্পুর্ণ অসম্ভব স্বপ্নকে, তার বিচক্ষনতার পক্ষেই সম্ভবে হয়েছে, সেই অলিক স্বপ্নকে বাস্তবে রুপ দেয়া। এতটা প্রতিকুল অবস্হার মধ্যে, পদ্মা সেতুর বাস্তবায়ন এটাই প্রমান করে যে, দেশের উন্নয়নের জন্য কোন বাধাই, মাননীয় প্রধান মন্ত্রির দক্ষতার কাছে, কোন বাঁধা নয়। এটা একমাত্র সম্ভব, দেশ ও জাতীর প্রতি তার অকৃত্বিম ভালোবাসা আর নির্লোভ দায়বদ্ধতা।তিনি জানেন এবং রক্ষা করে চলেছেন, জাতীর দেয়া এক যুগ আগের সেই আস্হাকে, একই সমান্তরাল রেখায়। আমাদের উন্নয়নে সকল প্রকার আভ্যন্তরিন এবং বহিরবিশ্বের ষড়যন্ত্র এবং বাঁধা, ওনার বিচক্ষণতার কাছে আজ পরাজিত। তিনি বিশ্বকে দেখিয়ে দিতে পেরেছেন যে, আমরাও পারি সকল বাঁধা অতিক্রম করে, এক নাম্বার দুর্নিতিগ্রস্হ দেশকে, কিভাবে মধ্য উন্নয়নশীল দেশে রুপান্তরিত করা যায়। পদ্মা সেতুর ঊদহারনটাই প্রমান করে, কতটা প্রতিকুলতার মাঝে তাকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে এবং জাতির দেয়া তার উপর আস্হাকে বাস্তবায়ন করতে, কতটা দক্ষতা এবং বিচক্ষণতার পরিচয় তাকে দিতে হয়েছে এবং একই সাথে দেশের উন্নয়নের ধারাকে ধারাবাহিকতা রাখতে, কোথাও কোন দুর্নীতির সাথ আপোষ না করেই।

আজ দেশকে কোন অবস্হাতেই আর বহিরবিশ্বের কোন রাষ্ট্রের তাবেদারী করতে হয় না, যারা কি না এতদিন আমাদের সকল প্রকার উন্নয়নের বাঁধার কারন হিসাবে ছিল এতকাল ধরে। জননেত্রি কখনোই সোনার বাংলার মাটিকে অপব্যাবহার করতে দিয়ে, সোনার এই মাটিকে কোন অবস্হাতেই কলংকিত হতে দেন নাই। এখন আর আমাদের দেশ, পৃথিবীর কোন রাষ্ট্র বা প্রতিবেশি দেশকে অস্হিতিশীল করার জন্য ব্যাবহৃত হবার জন্য নয়।

এই দেশ তো আর মীর জাফরদের বসবাসের দেশ নয়। যে দেশের স্বাভাবিক ধারাবাহিকতা ছিল, অন্যায়কে মেনে নেয়াটাই ছিল, সাধারন জনগনের নিজের পরিবার পরিজনদের নিয়ে কোন ভাবে বিবেকহীনতার দায়বদ্ধতা নিয়ে জিবন যাপন করা। আর বিপরিতে যুদ্ধঅপরাধের মত অপরাধ করেও, সরকারী গাড়ীতে জাতীয় পতাকা ব্যাবহার করে কতটা সবচেয়ে নিরাপদে বাস করা যাচ্ছিল ৭১ এর সেই জল্লাদেরা। যারা প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত ছিল ৩০ লক্ষ বাংলার নিড়িহ জনতাদের হত্যার এবং সহযোগি হিসাবে। বিগত সব সরকারই তাদেরকে বিচারের আওতায় আনার কোন দায়বদ্ধতাই, তাদের বিবেকে নাড়া দিতে পারে নাই। কারন সবাই ব্যস্ত ছিল, কিভাবে তাদের ক্ষমতাকে আকরে ধরে রাখবে। মাননিয় প্রধান মন্ত্রির তো ক্ষমতার কোন লোভ নেই, তার বেঁচে থাকার কঠিন মনোবল তো তাকে উৎসাহ যোগায় তার বিবেক। আর সেই বিবেকের তাড়নায়, অসম্ভব সেই বিচারকে, সমস্ত আভ্যন্তরিন এবং বর্হিবিশ্বের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে তার দৃড়তাপুর্ন অবস্হানই সেই, অলিক বিচারকেও বাস্তবে পরিনিত করে, ৩০ লক্ষ শহিদের জীবন দানের মর্যাদা উনি দিয়েছেন। আর জাতীকে কলংকের বোঝা বয়ে বেড়ানো থেকে মুক্ত করেছেন স্বাধীনতার ৪৫ বছর পর। কি ঊদ্ধতা ছিল তাদের আচরন এবং তাদের প্রহসন। এই বিচারে তিনি এটাই প্রমান করেছেন যে, কোন অন্যায়কারীই, তা সে যত শক্তিশালীই হোক না কেন, বিনা বিচারে কেউই আর এই দেশে অবস্হান করার সেই দিন আর নেই।

আবারো বলতে হচ্ছে যে, এই দেশ তো আর মীর জাফরদের বসবাসের দেশ নয়। পার্শ্ববর্তি যে রাষ্ট্রের সর্বাত্মক সাহায্য এবং সহযোগিতার কারনে আজ আমরা একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসাবে, বিশ্বের কাছে পরিচিত। আমাদের সবচেয়ে বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র হল ভারত। আমাদের স্বাধীনতার জন্য, সর্বপ্রকার সাহায্য এবং সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া একমাত্র রাষ্ট্র হল ভারত, যাদের অগনিত সৈন্য আমাদের এই স্বাধীন বাংলার জন্য কিনা নিজেদের জীবন দিতে পর্যন্ত কুন্হাবোধ করেন নাই। একমাত্র মীর জাফরের রক্ত বহন করলেই সম্ভব, সেই দেশের সাথে, সেই দেশের নিড়িহ জনগনের সাথে বেঈমানি করা। এই জাতীয় তো সেই মীর জাফরের রক্ত বহন করে না আর সোনার বাংলার মাটির মালিকও আর তারা নয়। তাহলে আমাদের পক্ষে কিভাবে সম্ভব, সোনার বাংলার মাটিকেই, তাদেরই বিরুদ্ধে ব্যাবহার করতে দিয়ে, বিশ্ব দরবারে একটি অকৃতজ্ঞ জাতি হিসাবে,আমরা পরিচিত হই? মাননিয় প্রধান মন্ত্রি, সোনার বাংলার মাটির উপর দিয়ে, ১০ ট্রাক অবৈধ অস্ত্রের বহর যেতে দিয়ে, আমাদের সেই বন্ধুপ্রতিম দেশকে অস্হিতিশীল করতে, হাজারো সাধারন মানুষের রক্ত পাতের দায় বয়ে বেড়ানো বিবেকহীনতা থেকে, এই শান্তি প্রিয় জাতিকে রক্ষা করেছেন। দেশ ও জাতি হিসাবে, বিশ্বের কাছে কলংকিত জঙ্গি দেশ এবং জাতি হিসাবে পরিচিত হওয়া থেকে আমাদেরকে তিনি রক্ষা করে চলেছেন এভাবেই।তার দক্ষ হাতে, যেভাবে তিনি মৌলবাদ এবং জঙ্গিবাদকে সমুলে উৎপাতন করেছেন এবং করে চলেছেন। আর এর কারনে, আমাদের নতুন প্রজন্ম, মৌলবাদ এবং জঙ্গীবাদের অন্ধত্ব থেকে রক্ষা পেয়ে, সুন্দর এক ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখতে পারছে আজ।এবং সুধু তাই নয়, আগামী বাংলাদেশেকে পৃথিবীর অগ্রগতির সাথে, আমাদের দেশকেও সমান্তরাল ভাবে এগিয়ে নেবার জন্য, নিজেদের প্রস্তুত করার সুযোগ পাচ্ছে। জনবহুল জাতী হিসাবে, পৃথিবীর বুকে আমাদের এখন আর জঙ্গিবাদীদের বিবেকহীন হাতে মৃত্যুর ভয় নিয়ে, নিজের দেশে বসবাস করতে হয় না, যা কিনা কাছের রাষ্ট্র পাকিস্তানের সাধারন জনগন বুঝতে পারে, স্বজনের লাশ বহনের তিব্র যন্ত্রনাকে প্রতি নিয়ত। সোনার বাংলার মাটিকে, জঙ্গিবাদীদেরকে ব্যবহার করে, জননেত্রি কোন অবস্হাতেই আমাদেরকে বিশ্বের দরবারে, কলংকের দায় নিয়ে পরিচিত হতে দেন নাই। বিশ্ব দরবারে জঙ্গি জাতি হিসাবে পরিচিত নয়, এই জাতি আজ বিশ্ব দরবারে শান্তির প্রতিক হিসাবে পরিচিত। জননেত্রি সেই কলংকের কালিমার পরিচিতি থেকে সোনার বাংলার মটি ও জাতিকে রক্ষা করেছেন।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে তার সর্বপ্রধান লড়াই। এই লড়াইয়ের অন্যতম হাতিয়ার হিসাবে তার দক্ষতার প্রমান পাওয়া যায় দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসাবে দাঁড়া করানো। যেখানে লুকায়িত কোন দুর্নীতির অবস্হান আর নেই। আজ আমরা দেখতে পাই, প্রতিটি মন্ত্রনালয় আজ অনলাইনেযে ব্যাবহার। দেশের জনগনকে আজ কোন সরকারি কাজের জন্য দালালের সর্বসান্ত হতে হয় না। মানুষ আজ অনলাইনের মাধ্যমে, যে কোন সরকারি কাজের প্রাথমিক ধাপ, ঘরে বসেই জানতে এবং শুরু করতে পারে। তার যে কোন প্রয়োজনিয় কাজের জন্য কারোরই দ্বারস্হ হতে হয় না। এটা যে আজ কত বড় দুর্নীতি মুক্ত উন্নয়নের বিল্পব এনে দিয়েছে, যা আমাদের সবার ভাবনার বাইরে ছিল। প্রতিটি মন্ত্রনালয়ের বিভিন্ন সেবা খাত এখন, সবার কাছে উন্মুক্ত এবং জনগন সরকারের সব রকমের সেবা আজ অনলাইনে মুঠোফোনের মাধ্যমেই সাহায্যে পেতে পারছে।

স্বাধীনতা পরবর্তি প্রজন্মের সন্তানের দায়বদ্ধতা থেকে আমার এই লিখা। দেশকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, আমাদেরই পুর্ব প্রজন্ম। কিন্ত বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার দায়িত্ব হল আমাদের এবং আগামি প্রজন্মের হাতে। মাননিয় প্রধান মন্ত্রির দিক নির্দেশনা হল, আমাদের সবাইকে, এই মুহুর্তের দেশের সার্বিক উন্নয়নের সবচেয়ে বড় বাঁধা “দুর্নীতিকে” সমূলে উৎপাতন করা। এই প্রজন্মই প্রধান দায়িত্ব হিসাবে আমি মনে করি যে, আমাদের সবাইকে, সর্বপ্রকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো, জননেত্রীর দুর্নীতির সপক্ষে প্রধান হাতিয়ার হিসাবে কাজ করে।

আমরা যদি সমুলে দুর্নীতির শিকড় উৎপাতন করতে চাই তাহলে আমাদের জনগনের এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি দায়িত্ব প্রাপ্ত অফিসগুলোর সমন্ত্রাল ভাবে কাজ করতে হবে। জননেত্রি, ব্যাক্তি পর্যায়ে এই সব দুর্নীতিকেও সমুলে উৎপাটন করতে কোন ছাড় দিতে পারেন না। আর তাই, আমরা প্রতিনিয়ত জানতে পাচ্ছি, বিভিন্ন ক্ষেত্রে সকল ব্যাক্তি পর্যায়ের সব রকমের দুর্নীতিগ্রস্হকারীকে আঈন শৃঙ্খলা বাহিনির কাছে গ্রেফতার হবার খবর। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে, এই গ্রেফতারে রক্ষা পাচ্ছে না, সরকারী দলের সদস্যরাও। কতটা নিরপেক্ষতার পরিচয় দিচ্ছেন যেটা বিগত কোন সরকারেরর শাসন আমলেই পরিলক্ষিত হয় নাই এবং সর্বক্ষেত্রে প্রশংসিত। সমুলে দুর্নীতির শিকড় উৎপাতন করতে হলে, এই ধরনের অভিযান ছাড়া কোন ভাবেই তা বন্ধ করা সম্ভব নয়। আর তার এই অভিযানে, শুধুমাত্র দুর্নিতীইবাজরাই গ্রেফতার হচ্ছে না, একই সাথে সমাজ থেকে তাদের অর্থউপার্জনের কর্মকান্ডও বন্ধ হয়েছে এবং যার সুফল পাচ্ছে, জনসাধারণের পরিবারগুলো। কারন যে সব পরিবারের লোকজন এই সব অন্ধকার খেলার জগতে প্রবেশ করেছেন এবং ছিলেন, সেটা শুধুমাত্র সেই সব পরিবারের মানুষরাই জানেন কিভাবে, তাদের পরিবারেরই কোন একজন কিভাবে, তাদের সম্পুর্ণ পরিবারের সকলের জীবন এবং ভবিষ্যত ধংস হয়ে যাচ্ছে, অথচ তাদের সকল প্রকার প্রতেষ্ঠাই তাদের জীবনের ধংস ঠেকাতে পারছে না। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী কতবড় পুন্যের কাজ করেছেন, ঐ সব পরিবারের মানুষের ধংস হয়ে যাবার পুর্বের কান্না থেকে তাদের কে রক্ষা করে।
:

আমি সবশেষ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটা আবেদন করতে চাই। সেটা হল, দেশের সর্বরকমের দুর্নীতিকে পর্যবেক্ষন এবং সেটা বন্ধ করা এবং জড়িতদের আঈনের আওতায় আনার পিছনে, সরকারের বিভিন্ন দপ্তর রয়েছে এবং এই সরল দপ্তেরে কর্মরত সকল কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের একমাত্র কাজই হচ্ছে, সেই সকল দু্র্নিতী বন্ধ করা, এবং সেই সাথে সব দুর্নিতীবাজদের বিচারের আওতায় আনা। আর এখানেই দেখা যাচ্ছে, সেই সকল দপ্তরগুলোর কিছু সংখ্যক অসাধু কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের সহায়তার মাধ্যমেই, সেই সকল দুর্নিতীবাজরা, দুর্নিতী করে নিরাপদে থাকছেন এবং দেশের উন্নতির প্রধান অন্তরায় হিসাবে কাজ করছেন। আমার অভিমত হচ্ছে, যে সকল জায়গাতেই দুর্নিতীর ঘটনা ঘটছে, সেই সব দুর্নিতীবাজদের দুর্নিতী বন্ধ করা এবং আঈনের আওতার মধ্যে আনার দায়িত্ব, কিন্তু সেটা তারা করেন নাই। বরং তাদের সহায়তায় দুর্নিতীবাজরা নিরাপদে তাদের দুর্নিতী নিরাপদে চালিয়ে যাচ্ছিল। আমি মনে করছি, যতদিন পর্যন্ত সেই সকল দুর্নিতীগ্রস্হ সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে আঈনের আওতায় নেয়া হবে না, ততদিন পর্যন্ত কোন অবস্হাতেই, আমাদের দেশের সকল প্রকার দুর্নিতী বন্ধ হবে না। এবং মাননিয় প্রধান মন্ত্রির বিচক্ষনতার ফল, আজকের যে উন্নতি সাধন করেছেন, দেশের সেই সকল উন্নতির কোন সুফল, কোন ভাবেই জনগন পাবে না। তাই, ছিল, যাদের ছত্রছায়ার কারনে দুর্নিতীর ঘটনা ঘটেই চলছে, সেই সকল সাথে, যে সকল দপ্তর, সেই সকল দুর্নিতী বন্ধের দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিল, সেই দপ্তরের ঐ সব অসাধু কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদেরও আঈনের আওতার মধ্যে আনা উচিত।

তাই, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার একজন সাধারন নাগরিক হিসাবে, মাননিয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে, তার বিচক্ষনতার এবং দক্ষতার কারনে, যেভাবে তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাস্তবায়ন করে চলছেন, আমি মনে করি, তার এই নিরবিচ্ছন সোনার বাংলা গড়ে তুলার কারনে তিনি, সোনার বাংলার জনগনের হৃদয়ে, তারই পিতার মত, তিনিও অমর হয়ে থাকবেন। আর তার দেশ ও জনগনের উন্নয়নের কর্মকান্ডের সিকৃতী হিসাবেই, আমার মতে মাননিয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, অবশ্যই বাংলার জনগনের হৃদয়ে চির অমর হয়ে থাকবেন। তার শেষ আপোষহীন লড়াই হোক, দেশের সকল উন্নয়নের একমাত্র বাঁধা, সকল প্রকার দুর্নিতী এবং সকল প্রকার দুর্নিতীবাজ এবং তাদের সহযোগিতাকারিদের দমন করে, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্হায়িত্ব প্রদান করা। দুর্নিতীর সমুল উৎপাতনই পারবে, পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশকে এবং দেশের জনগনের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে।
মাননিয় প্রধান মন্ত্রীর, সুদক্ষ হাতের তুলির শেষ আচর হোক “দুর্নিতীকে সমুলে নির্মুলই করে” তার বাংলার মানুষের হৃদয়ে চির অমর থাকা। আমার বিস্বাস, দেশ এবং দেশের মানুষের উন্নয়নে, তার নিরলস প্রচেষ্টার বিনিময়ে তাকে তাদের হৃদয়ে অমরত্ব প্রদান করতে কুন্হাবোধ করবে না।


লেখক : দৈনিক নিখাদ খবর এবং সাপ্তাহিক দূর্ণীতি ও অবক্ষয় এর প্রধান নির্বাহী সম্পাদক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *