অনয় মুখার্জী : বীর জাতির বীরত্বের পঞ্চাশ বছর পূর্ণ হতে চলেছে। আদর্শ, সংস্কৃতি ও নিজস্বতা রক্ষার যে লড়াই জাতিকে মুক্তি এনে দিয়েছিল, সে বীরত্বের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসপূর্ণ জাতি অর্ধশত পূর্ণের দোরগোড়ায়। ১৯৪৭ সালে দ্বিজাতি তত্ত্বের বিভাজনের পর পশ্চিম পাকিস্তান কর্তৃক পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি যে নিজস্বতা হরণের হিংস্র ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ছিল সে অমানবিকতার শেষ দৃশ্যপট ছিল ১৯৭১ সাল। অসহায়ত্বের শেষ সীমানায় সেদিন গর্জে উঠেছিল বাঙালি। সেদিন বেলা-অবেলা পুণ্যবানদের রক্তে ভিজেছিল পুণ্যভূমি। তবে নেতৃত্বে ছিল প্রবল সাহসিকতা ও মুক্তির কামনা। তাই সেদিনের সেই বজ্রকণ্ঠে একত্রিত হয়েছিল বাঙালিরা, বাঙালির জাতির পিতার আহ্বানে। লড়েছিল, জিতেছিল এবং গড়েছিল উজ্জ্বল ইতিহাস।
পুরাতন একটি প্রবাদ আছে ‘বিপদের দিনে বন্ধু চেনা যায়’, ঠিক তেমনি ১৯৭১ সালে বিভীষিকাময় দিনগুলো বাঙালিকে তার বন্ধু এবং শত্রু দুটোই চিনিয়ে ছিল। পশ্চিম পাকিস্তানের হায়েনাদের অমানবিক অত্যাচার আশ্রয়হীন, বস্ত্রহীন এবং অন্নহীন করেছিল বাঙালিদের। নরপিশাচের মতো হত্যা খেলায় মেতে উঠেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী সেদিন। সেদিন সেই আশ্রয়হীন, বস্ত্রহীন, ক্ষুধার্ত মানুষের পাশে বন্ধু হয়ে দাঁড়িয়েছিল ভারত। এক কোটির অধিক শরণার্থীকে সেদিন খাদ্য, বস্ত্র, আশ্রয় ও সুরক্ষা দিয়েছিল ভারত। মুক্তিযোদ্ধাদের সেদিন ট্রেনিং ও অস্ত্র সরবরাহ করেছিল বন্ধুদেশ ভারত। শুধু তা-ই নয়, যুদ্ধে সর্বাঙ্গীণ সহযোগিতা ও সকল বাধাবিপত্তি অগ্রাহ্য করে এক হয়ে বাঙালির পক্ষে যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী। যার কারণে মাত্র নয় মাসে জয় পেয়েছিল বাঙালিরা, গড়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশ।
১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পৃথিবীর শক্তিধর অধিকাংশ দেশই বিরোধিতা করেছিল বাংলাদেশের। শুধু বিরোধিতাই নয়, অস্ত্র দিয়েও সহযোগিতা করেছিল পাকিস্তানকে। পক্ষান্তরে সেদিন নিরীহ মানুষদের আশ্রয় বা মুক্তিযুদ্ধে অস্ত্র কিংবা সহযোগিতা করেই ক্ষান্ত ছিল না বন্ধু ভারত। বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্ব পরিমণ্ডলে সমর্থন জোগাতে যে ধরনের ‘ডিপ্লোম্যাটিক অ্যাপ্রোচ’ করেছিল ভারত, তা ইতিহাসে নজিরবিহীন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তির জন্য আন্তর্জাতিক মহলকে সরব ও চাপ প্রয়োগের অন্যতম কারিগর ছিল ভারত। মহান বাঙালি জাতি ভারতের ঋণ কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে বিজয় লাভের ঠিক পূর্বে ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ভারত। সেদিন ভুটানও স্বীকৃতি দেয়, যারও মূল কারিগর ছিল ভারত। এই দুই দেশই সর্বপ্রথম স্বীকৃতি দেয় বাংলাদেশকে।
যেকোনও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের চেয়ে বাংলাদেশ-ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অনেকটাই আলাদা। এই সম্পর্ক রক্তের বন্ধনে আবদ্ধ। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ নির্মাণেও সহযোগিতার হাত বাড়ায় ভারত সরকারের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বে ১৯৭২ সালে ‘দীর্ঘমেয়াদি বন্ধুত্ব ও নিরাপত্তা’ চুক্তিতে আবদ্ধ হয়। দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এ ধরনের চুক্তি যথার্থ ছিল বলে মতামত ব্যক্ত করেন বোদ্ধারা। উভয় দেশই পরস্পরের ভৌগোলিক সীমারেখা, সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বীকৃতি দিয়ে থাকে। দুই দেশের মানুষ যখন তাদের ইতিহাস-ভূগোল-সংস্কৃতির এক অপূর্ব ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ায় সম্পর্ককে এক বিশেষ উচ্চতায় পৌঁছে দিতে চলেছিল, ঠিক তখনই একদল কুলাঙ্গার ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করে এবং এর মাধ্যমে ক্ষমতার দখল নেয় ৭১-এর পরাজিত শক্তি। ক্ষমতায় এসেই তারা শুরু করে ভারত বিরোধিতা এবং জাগিয়ে দেয় সাম্প্রদায়িক উসকানি। যার মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিভিন্ন প্রকার অপকর্ম এবং বিনষ্ট হয় একাত্তরের মিলিত রক্তস্রোতে পাওয়া বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। তারপর দীর্ঘ সময় ধরে সামরিক শাসন এবং সামরিক সমর্থনপুষ্ট সরকারের স্টিমরোলারে ধ্বংস হয় বাঙালি জাতিসত্তার সকল মূল্যবোধ, ঐতিহ্য এবং অধিকার।
দীর্ঘ ২১ বছর অপশক্তির বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে ক্ষমতায় আসেন বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। ক্ষমতায় এসেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুই দেশের সম্পর্ক পূর্ব অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা শুরু করে বাড়িয়ে দেন বন্ধুত্বের হাত। যার অন্যতম ফল হিসেবে ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ঐতিহাসিক গঙ্গা জলবণ্টন চুক্তি হয়। সে সময় বাংলাদেশ ও ভারতের নিরাপত্তা বিষয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিও সাধিত হয়। ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি ভারতের সহায়তা ছাড়া অসম্ভব ছিল। অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও নতুন নতুন যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে এই সময় দুই দেশের সম্পর্ক আরও এগিয়ে যেতে থাকে। কিন্তু তা আর বেশি দিন সম্ভব হয় না। আবারও শুরু হয় ষড়যন্ত্র। ফলে দুই দেশের মধ্যে বৈরী সম্পর্ক তৈরি হতে শুরু করে। এর সঙ্গে আবারও যোগ দেয় স্বাধীনতাবিরোধী পাকিস্তানপন্থী অপশক্তি।
আবারও সকল দুর্যোগ সামাল দিয়ে ২০০৮-এর শেষে ক্ষমতায় ফিরে আসেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। যার মধ্য দিয়ে আবারও ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের উন্নয়নের একটি নতুন প্রেক্ষাপট তৈরি হয়। ২০০৮ থেকে ক্ষমতায় আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে অর্থনৈতিক বিনিময় বিস্তৃতকরণের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক ত্বরান্বিত হয়। শেখ হাসিনা সরকারের জোরালো সাম্প্রদায়িকবিরোধী অবস্থান ভারতীয়দের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। একই সঙ্গে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসবাদ উত্থানের সম্ভাবনাকেও তিনি শক্ত হাতে দমন করেন। যার ফলে বাংলাদেশে ভারতবিরোধী শক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে। ভারত তার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাকে নিয়ন্ত্রণ করার দুর্লভ সুযোগ লাভ করে। ফলশ্রুতিতে দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্কে নতুন দিগন্তের সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে ট্রানজিট সুবিধা, সীমান্ত সমস্যার সমাধান, ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি, ভারত কর্তৃক বাংলাদেশকে এক বিলিয়ন ডলারের ঋণ দান, যৌথ সমর্থনে ভুটান-নেপাল ট্রানজিট সুবিধা, ছিটমহল বিনিময়, সমুদ্রসীমা জয়, ২০১১ সালে ৭৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ও ২০১৪ সালে ১০০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তা, প্রতিবছর ১৫ লাখ বাংলাদেশিকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভিসা প্রদানসহ অনেক উল্লেখযোগ্য বিষয় রয়েছে গত ১২ বছরের খতিয়ানে।
গত বছরের ২৭ জুলাই ভারত বাংলাদেশকে ১০টি ব্রডগেজ লোকোমোটিভ হস্তান্তর করে। যা ২০১৯ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে মোদি সরকারের করা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন।
বাংলাদেশই প্রথম প্রতিবেশী দেশ, যাদের সঙ্গে ভ্যাকসিন দেওয়ার চুক্তি করেছে ভারত। এতে বাংলাদেশকে যে ভারত কতটা গুরুত্ব দেয়, তা পরিষ্কার হয়েছে। ভারতের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ঢাকায় এসে বলেছিলেন, ‘ভারতের কাছে প্রতিবেশী প্রথম। আর প্রতিবেশীদের মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম।’ যা এই চুক্তির মাধ্যমে আবারও প্রমাণ করে। অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বাংলাদেশকে আপাতত ৩ কোটি করোনা ভ্যাকসিন দেবে ভারত। ইতোমধ্যে দুটি চালানে ৭০ লাখ ডোজ টিকা এসে পৌঁছেছে এবং দেশব্যাপী টিকা গ্রহণ কর্মকাণ্ড চলছে। তাছাড়াও ২১ জানুয়ারি উপহারস্বরূপ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে ইন্ডিয়া প্রস্তুতকৃত ২০ লাখ ডোজ ঢাকায় পৌঁছেছে। এর মধ্য দিয়ে করোনার এই দুর্যোগপূর্ণ সময়ে দুই দেশ একে অপরের প্রয়োজনে সহযোগিতা অব্যাহত রেখে চলেছে।
গত ১৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যকার বহুল প্রত্যাশিত ভার্চুয়াল বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেই বৈঠকে কৃষি, বাণিজ্য, জ্বালানিসহ সাত খাতে সহযোগিতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও ভারত সাতটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে। সমঝোতা স্মারকগুলো হচ্ছে– কৃষি খাতে সহযোগিতা, হাইড্রোকার্বনে সহযোগিতার বিষয়ে রূপরেখা, হাতির সুরক্ষায় অভয়ারণ্য নিশ্চিত করা, নয়াদিল্লি জাদুঘরের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু জাদুঘরের সহযোগিতা, হাই ইমপ্যাক্ট কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প চালু, বাংলাদেশ-ভারত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফোরামের ট্রাম্প অব রেফারেন্স এবং বরিশালে সুয়ারেজ প্রকল্পের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে যন্ত্রপাতি কেনাকাটায় ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক।
মহাত্মা গান্ধী এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে তৈরি ‘বাপু-বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল প্রদর্শনী’র ও উদ্বোধন করেন দুই প্রধানমন্ত্রী। সেই সময় ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘মহাত্মা এবং বঙ্গবন্ধু আমাদের যুবসমাজের অনুপ্রেরণা।’ বঙ্গবন্ধুর প্রতি ভারত সরকারের এই সম্মান ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ককে অনেকদূর এগিয়ে দিবে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা।
পাশাপাশি দুই প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেল যোগাযোগ প্রকল্পের সূচনা করেন। এই প্রকল্প কার্যকর হলে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ অনেক সহজ হবে।
আজকের বাংলাদেশ পরিবর্তিত বাংলাদেশ। আর এই সবকিছুই সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃঢ় ও যোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমে। আজকের বাংলাদেশ পৃথিবীর মানচিত্রে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আজকের বাংলাদেশ উন্নয়নশীল মধ্যম আয়ের দেশ।
আজ স্বাধীন বাংলাদেশ উদযাপন করছে তার জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ। ঠিক সেই সময়ই বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কেরও ৫০ বছর পূর্ণ হতে চলেছে। আমাদের স্বাধীনতা ও ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী এবং মুজিববর্ষ পালন উপলক্ষে ২৬ মার্চ ঢাকায় আসবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উভয় দেশের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণে অবিচ্ছেদ্য অভিন্ন সম্পর্ক নিয়ে দুই রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি কথা বলবেন। করোনার এই সময়কালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি’র এটিই প্রথম বিদেশ সফর।
এই দীর্ঘ ৫০ বছর সম্পর্কের পরীক্ষায় বাংলাদেশ-ভারতের বন্ধুত্ব উজ্জ্বল দ্যুতি ছড়িয়েছে। আজ ভারত বাংলাদেশ সম্পর্কে ‘গোল্ডেন এজ’ বা ‘সোনালি অধ্যায়’ বলে আখ্যায়িত করছে দুই দেশই। প্রত্যাশা দ্রুত বন্ধুত্বের মধ্য দিয়েই মীমাংসিত হবে অমীমাংসিত বিষয়াদি। আগামী দিনের প্রত্যাশা আরও সুদৃঢ় ও মজবুত হবে দুই বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের সম্পর্ক। একে অপরের প্রয়োজনে সর্বদা পাশে থাকবে অতীতের মতোই।
লেখক: সদস্য, সম্প্রীতি বাংলাদেশ।