শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত শিপ্রা দেবনাথ তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া অন্যায়ের বিচার চাইবেন। র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ কথা বলেছেন শিপ্রা দেবনাথ। আজ রাজধানীর উত্তরায় র্যাব সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শিপ্রার বরাত দিয়ে এসব কথা জানায় র্যাব। কক্সবাজারের রামু থানার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় শিপ্রা জামিনে মুক্ত হওয়ার পর তার সঙ্গে কথা বলেছে র্যাব।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ জানান, তিনি (শিপ্রা) র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে বলেছেন, শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত বিচার চান। তার সঙ্গে যে অন্যায় হয়েছে। তিনি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এই ঘটনার ন্যায় বিচার চেয়ে যাবেন। তিনি আরো জানান, সাহেদুল ইসলাম ওরফে সিফাতের সঙ্গেও র্যাব কথা বলবে। শিপ্রা ও সিফাতকে সব ধরনের নিরাপত্তা দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
র্যাবের তদন্ত দল মনে করছে, সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও নন্দদুলাল রক্ষিতকে জিজ্ঞাসাবাদের আগে এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও সাক্ষী সিফাত ও শিপ্রার সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলা প্রয়োজন।
আশিক বিল্লাল বলেন, জামিনে মুক্তি পাবার পর সিনহা নিহতের ঘটনায় সাক্ষী হিসেবে প্রথমে শিপ্রাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। শিপ্রা অনেক স্পর্শকাতর তথ্য দিয়েছেন। এখন সিফাতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তারপর অভিযুক্ত ৩ আসামিকে র্যাব হেফাজতে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, মেজর (অব.) সিনহা মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় কারাগারে থাকা ৪ আসামির ১০ দিনের রিমান্ড চাইবে র্যাব। এক প্রশ্নের জবাবে আশিক বিল্লাহ বলেন, গণমাধ্যমে প্রচারিত হওয়া ওসি প্রদীপের ফোনালাপের প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাওয়া গেছে। আইনি পরামর্শ দাতার ফোনালাপটি যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
র্যাব জানায়, পুলিশের করা মামলার এজাহারে সিজার লিস্টে ল্যাপটপ, ক্যামেরা ডিভাইস নেই। সিফাত, শিপ্রাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তাকে এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হবে। তদন্তের স্বার্থে তদন্ত কর্মকর্তা নিজ বাহিনীর যেকোনো সদস্যকে নিয়োগ করতে পারেন।