চীনে করোনায় আক্রান্ত ৬ লাখের বেশি, গোপন তথ্য ফাঁস!

সারাদেশ সাস্থ্য ও চিকিৎসা

চীনে করোনায় আক্রান্ত ৬ লাখের বেশি, গোপন তথ্য ফাঁস!

অনলাইন ডেস্ক।

করোনা ভাইরাসে প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা কয়েক লাখ বলে চীনের এক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফাঁস হওয়া তথ্য-উপাত্তে জানা গেছে। আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত রোগীর যে সংখ্যা চীন সরকার এতোদিন জানিয়ে আসছিল মহামারি এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়া।

প্রাদুর্ভাব শুরুর পর এখন পর্যন্ত ৮৪ হাজার ২৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে চীনে। তবে পশ্চিমা দেশ ও গণমাধ্যম এই আক্রান্তের সংখ্যা ও বেইজিং সরকারের দেওয়া তথ্যের স্বচ্ছতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছিল। মাঝখানে চীন করোনার উৎপত্তিস্থল উহানে করোনায় মৃতদের সংখ্যাতেও অবশ্য আরও কিছু নাম যোগ করে।

তবে এখন চীনের হুনান প্রদেশের রাজধানী চাংশায় অবস্থিত ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব ডিফেন্স টেকনোলজির ফাঁস হওয়া এক নথি থেকে জানা যায়, চীনে এখন পর্যন্ত ৬ লাখ ৪০ হাজার মানুষ নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন; যা সরকারি হিসাবের চেয়ে সাড়ে ৬ গুণেরও বেশি।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফরেন পলিসিসহ বিশ্বজুড়ে আরও শতাধিক রিপোর্টারের কাছে পৌঁছে গেছে এই নথি। তারা এ নিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণীতে জানিয়েছেন, প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকে এপ্রিলের শেষ পর্যন্ত চীনের অন্তত ২৩০টি শহরের ৬ লাখ ৪০ হাজার মানুষ এই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন।

আক্রান্তের এ সংখ্যা নাকি আরও বেশি হতে পারে। তবে বেশকিছু সীমাবদ্ধতার কারণে আক্রান্তের এই সংখ্যা কমও হতে পারে বলে জানা যায়। এছাড়া রিপোর্টারদের হাতে আসা ওই নথিও জনসম্মুখে প্রকাশ করা হয়নি। তবে আক্রান্তের এমন সংখ্যা নিয়ে তথ্য ফাঁস হওয়ার বিষয়টি চীনের তথ্য গোপনের বিষয়টিকে ফের সামনে এনেছে।

শুধু চীন নয়, করোনায় মৃতের সংখ্যা কয়েক দফা সংশোধন করেছে যুক্তরাজ্যও। এছাড়া বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, অনেকেই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও তাদের দেহে এর কোনো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে না, ফলে শুধু চীন নয় বিশ্বের সব দেশেই সরকারি হিসাবে দেওয়া আক্রান্তের চেয়ে প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যাটা অনেক বেশি হতে পারে।

তবে চীনের বিরুদ্ধেই করোনা নিয়ে তথ্য গোপনের এই অভিযোগ উঠছে সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ তোলা হচ্ছে বারবার। তবে চীন বরাবরের মতোই এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে তাকে ষড়যন্ত্র বলে আসছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *