খুনি রাশেদ চৌধুরীর ফাসি কার্যকর শুধু সময়ের ব‍্যপার

আন্তর্জাতিক প্রচ্ছদ

গত মাসের শেষের দিকে মার্কিন এটর্নি জেনারেল বিল বার সন্তর্পণে ৪ দশক পুরনো একটি মামলার নথিপত্র খুললেন। এই মামলার সঙ্গে জড়িয়ে আছে একজন প্রেসিডেন্টের হত্যাকাণ্ড, কয়েক দশক পুরনো মৃত্যুদণ্ডের রায়, আর আশ্রয়ের দাবিতে জোরালোভাবে লড়া একটি মামলা, যার পক্ষে ছিলেন এক বাংলাদেশি সাবেক সামরিক কর্মকর্তা, আর বিপক্ষে মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ।
প্রায় ১৫ বছর হলো মামলার যবনিকাপাত হয়েছে। এটর্নি জেনারেল বারের বদৌলতে এই মামলার কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়েছে। ওই সামরিক কর্মকর্তা, যার বিরুদ্ধে কয়েক দশক ধরে পরোয়ানা জারি করে রেখেছে বাংলাদেশ সরকার, তার আইনি দল বলছে, তাদের সন্দেহ এখানে কোনো অনিয়ম হয়েছে। তারা আরও বলছেন, তাকে যদি যুক্তরাষ্ট্র ফেরত পাঠায়, তার মৃত্যু প্রায় অবধারিত।
মার্ক ভ্যান দার হাউট ওই সামরিক কর্মকর্তা অর্থাৎ খুনি রাশেদ চৌধুরীর আইনজীবী। তার মতে, ‘স্পষ্টতই, ট্রাম্প প্রশাসন বাংলাদেশকে একটি ‘ফেভার’ দিচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, তারা কেন এটা করছে?’
বহু বছর ধরেই বাংলাদেশ সরকার প্রকাশ্যেই বলছে যে,খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে তারা যুক্তরাষ্ট্রকে বোঝানোর চেষ্টা করছে। সরকারের মতে,খুনি রাশেদ চৌধুরী একজন ঠাণ্ডা মাথার খুনি এবং জাতির জনকের হত্যাকারী।

এটর্নি জেনারেলের এই নতুন পদক্ষেপে বাংলাদেশ সরকার খুশি হবে, এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
তবে এটি স্পষ্ট নয় ঠিক কেন এটর্নি জেনারেল এই মামলা পুনরায় চালু করেছেন, আর এরপরেই বা তার কী করার খেয়াল। একাধিক বিশেষ সাক্ষাৎকার ও আইনি নথিপত্র পর্যালোচনার ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করছে ‘পলিটিকো।’
১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট খুনি রাশেদ চৌধুরী তার সামরিক বাহিনীর সহকর্মীদের কাছ থেকে জানতে পারেন যে তারা প্রেসিডেন্টকে উৎখাতে ক্যু করতে যাচ্ছে।এটা পুরাটাই মিথ্যা। মার্কিন অভিবাসন আদালতে দেয়া খুনি রাশেদ চৌধুরীর সাক্ষ্য মোতাবেক, কয়েক ঘণ্টা পরই ওই ক্যু শুরু হয়। রাশেদ চৌধুরীকে পাঠানো হয় একটি গুরুত্বপূর্ণ রেডিও স্টেশনের দখল খুনি নিতে। ভোর হওয়ার সময় রেডিও স্টেশনের রক্ষীরা স্বেচ্ছায় রাশেদ চৌধুরীর লোকজনের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। অপরদিকে, রাশেদ চৌধুরীর ভাষ্য, অন্য অভ্যুত্থানকারীরা প্রেসিডেন্ট ও তার পরিবারের অনেক সদস্যকে হত্যা করেন। এদের মধ্যে ১০ বছর বয়সী এক শিশু ও একজন সন্তানসম্ভবা নারীও ছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দুই মেয়ে তখন ইউরোপে ছুটিতে থাকায় বেঁচে যান।
বিচারক ফান কুয়াং তুর কাছে রাশেদ চৌধুরী ওই সাক্ষ্য প্রদান করেন। তার কাছে এই সাক্ষ্য বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়েছিল। তিনি এই সাক্ষ্যকে ‘পূর্ণ তথ্যভিত্তিক মর্যাদা’ প্রদান করেন। তিনি উপসংহার টানেন যে, রাশেদ চৌধুরী ছিলেন শেষ মুহূর্তের একজন অংশগ্রহণকারী যিনি অভ্যুত্থানে অপেক্ষাকৃত ছোট ভূমিকা রাখেন।
চৌধুরীর বক্তব্য, যেটি অভিবাসন বিচারকরা গ্রহণ করেছেন, তা হলো হত্যাকা-ে তার কোনো ভূমিকা ছিল না। অভ্যুত্থানের কিছুকাল পর, বাংলাদেশ সংবিধান সংশোধন করে ওই হত্যাকা-ে অংশগ্রহণকারীদের দায়মুক্তি দেয়। অভ্যুত্থানের পর দুই দশক ধরে খুনি রাশেদ চৌধুরী একজন কূটনৈতিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের বহু দূতাবাসে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুর বেঁচে যাওয়া কন্যাদের একজনকে প্রেসিডেন্ট [প্রকৃতপক্ষে প্রধানমন্ত্রী] হিসেবে নির্বাচিত করে বাংলাদেশ। ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশের সংসদ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের দায়মুক্তি বাতিল করে। নতুন [প্রধানমন্ত্রী] শেখ হাসিনা তার পিতার হত্যাকা-ে জড়িতদের সাজা নিশ্চিতের কার্যক্রম আরম্ভ করেন।
শেখ হাসিনা যখন নির্বাচিত হলেন, তখন রাশেদ চৌধুরী ছিলেন ব্রাজিলে বাংলাদেশ দূতাবাসের শীর্ষ কর্মকর্তা। তাকে শিগগিরই দেশে যেতে বলা হলো। তবে বিপদ টের পেয়ে তিনি ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে যান।
তবে নতুন বাংলাদেশ সরকার হাল ছাড়েনি। তাদের অনুপস্থিতিতেই ওই অভ্যুত্থানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অপরাধের দায়ে তাদের বিচার হয়। একজন জ্যেষ্ঠ বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা রাশেদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন না করার পরার্শ দেন। তারপরও তিনি ও আরও অনেক আসামি দোষী সাব্যস্ত হন ও মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হন। এদের অনেকের ফাঁসি ইতিমধ্যেই কার্যকর হয়েছে।
মার্কিন অভিবাসন বিচারকের রায়ে বলা হয়েছে, মুজিব হত্যাকাণ্ডে রাশেদ চৌধুরী অংশগ্রহণ করেছিলেন মর্মে একটি নথিতে স্বাক্ষর করেছিলেন একজন সাক্ষী। তবে ওই সাক্ষী পরে সেই সাক্ষ্য থেকে সরে আসেন। তিনি দাবি করেন, সেই নথিতে সাক্ষরের আগে তাকে নির্যাতন করা হয়েছিল। এমনকি স্বাক্ষরের আগে তিনি নথিটি পড়ে দেখতে পারেননি।
১৯৯৬ সালে ভ্রমণ ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে যান চৌধুরী ও তার পরিবার। দুই মাসের মধ্যে তারা আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেন। আর তখনই দৃশ্যপটে আসে আইন মন্ত্রণালয়।
যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন আদালতগুলো বিচার বিভাগের অংশ নয়। বরং, যেই পদ্ধতিতে এটি নির্ধারিত হয় যে কাকে আশ্রয় দেয়া হবে, আর কাকে দেয়া হবে না, তা মূলত আইন মন্ত্রণালয়ের অংশ। আর আইন মন্ত্রণালয়ের প্রধান হলেন এটর্নি জেনারেল, যিনি যুক্তরাষ্ট্রে একজন পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে বিবেচিত হন। তবে এটর্নি জেনারেলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ফেডারেল আপিল আদালতে আপিল করতে পারেন অভিবাসীরা। অভিবাসন আদালতে মামলার বোঝা অনেক বেশি, ফলে আশ্রয়ের দাবিগুলোর সুরাহা হতে অনেক বছরও লেগে যায়।
রাশেদ চৌধুরীর বেলায়ও তা-ই হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানোর প্রায় ১০ বছর পর একজন অভিবাসন বিচারক তার আশ্রয়ের আবেদন অনুমোদন দিয়েছেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রে থাকার বিষয়ে অভিবাসীদের প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে সরকারের যেই সংস্থা সক্রিয় থাকে, সেই হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। তাদের আইনজীবীরা যুক্তি দেখান যে, রাশেদ চৌধুরী যে ওই অভ্যুত্থানে অংশ নিয়েছিলেন, তা-ই তার আবেদন বাতিল করতে যথেষ্ট।
এই আপিলের প্রেক্ষিতে আইন মন্ত্রণালয়ের বোর্ড অব ইমিগ্রেশন অ্যাপিলস (যেটি অভিবাসন বিচারকদের রায় বাতিল বা পরিবর্তন করতে পারেন) ওই মামলা শুনতে সম্মত হয়। ২০০৬ সালে ওই বোর্ড বিচারকদের পক্ষেই অবস্থান নেয় ও রায় দেয় যে রাশেদ চৌধুরী আশ্রয় প্রাপ্য।
তবে এখনো একটি প্রশ্নের উত্তর বাকি ছিল। রাশেদ চৌধুরী কি যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী আইন লঙ্ঘন করেছিল? বোর্ড তাই ওই মামলা ফের অভিবাসন বিচারকদের কাছে ফেরত পাঠায় যেন তারা এই বিষয়টি পুনরায় যাচাই করেন। এরপর চৌধুরীর আইনজীবীরা ধরে নেন যে এই ইস্যু সম্পূর্ণই সমাধান হয়েছে।
এদিকে শেখ হাসিনার সরকার রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত আনতে জোর তদবির চালাতে থাকে। ২০১৬ সালের ৭ই নভেম্বর নিউ ইয়র্ক টাইমসের মতামত বিভাগ শেখ হাসিনার ছেলের (সজীব ওয়াজেদ জয়) একটি মতামত নিবন্ধ প্রকাশ করে। সেখানে রাশেদ চৌধুরীকে ‘খুনি’ আখ্যায়িত করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি তাকে ফেরত পাঠানোর আহ্বান জানান জয়, যেন দেশে ফিরে ফাঁসির মুখোমুখি করানো যায় তাকে। এতে আরো বলা হয়, তার বিচার ছিল সুষ্ঠু।
তবে অনেক বছর ধরেই এই প্রচেষ্টায় কোনো ফল আসেনি। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসনের আগমনে বাংলাদেশ সরকার আশাবাদী হয়ে ওঠে। ২০১৮ সালে বাংলাদেশের কূটনীতিকরা প্রকাশ্যেই ডেইলি কলার নামে একটি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন যে, তারা ‘চৌধুরীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে ট্রাম্প প্রশাসনের কাছ থেকে উৎসাহব্যঞ্জক সাড়া পেয়েছেন।’ গত নভেম্বরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, একজন জ্যেষ্ঠ মার্কিন কূটনীতিক (অ্যালিস ওয়েলস; এই পেশাদার আমলা এখন আর সরকারে নেই) তার কাছ থেকে চৌধুরীর বিচারের নথিপত্র চেয়েছেন যেন যুক্তরাষ্ট্র সেগুলো যাচাই করতে পারে। এই বছরের এপ্রিলে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এমনকি ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে রাশেদ চৌধুরীর মামলার বিষয়ে জিজ্ঞেস করেন।
আর গত মাসে কিছু একটা ঘটে যায়। ১৭ই জুন এটর্নি জেনারেল বার তার অধীনস্থ বোর্ড অব ইমিগ্রেশন অ্যাপিলসকে চৌধুরীর মামলার বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য তার কাছে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এরপরই স্পষ্ট হয়ে যায় যে তিনি বিষয়টি ফের চালু করছেন, যা নিয়ে কিনা এক দশকেরও আগে বিহিত হয়েছিল। যেই নথির মাধ্যমে এটর্নি জেনারেল ওই পদক্ষেপ নিয়েছেন সেখানে রাশেদ চৌধুরীর নাম নেই। তবে সেখানে রাশেদ চৌধুরীর নামের আদ্যক্ষর, অর্থাৎ “‘এ-এম-আর-সি’ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে” তথ্য চাওয়া হয়। আর বারের ঘোষণাপত্রে মামলার যেসব বিবরণ পাওয়া যায়, তা রাশেদ চৌধুরীর মামলার সঙ্গে মিলে।
এই প্রতিবেদনের জন্য মন্তব্য চাওয়া হলে অস্বীকৃতি জানায় বাংলাদেশ দূতাবাসের একজন মুখপাত্র। আইন মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্রও এই বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি এই যুক্তিতে যে এই সব বিষয়ে কারও পরিচয় নিশ্চিত করে না মন্ত্রণালয়। তবে রাশেদ চৌধুরীর একজন আইনজীবী আইন মন্ত্রণালয়ের যোগাযোগের বিষয়গুলো পলিটিকোকে দিয়েছেন। ফলে এটি নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, রাশেদ চৌধুরীর মামলাই এটর্নি জেনারেল পুনরায় চালু করেছেন।
তার এই পদক্ষেপ একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ, যা কিনা শেষ পর্যন্ত রাশেদ চৌধুরীর আশ্রয় বাতিলের কারণ হতে পারে। এমনকি তিনি প্রত্যাবর্তনের মুখোমুখি হতে পারেন।
তার আইনজীবীরা বলছেন, এই পদক্ষেপ অত্যন্ত উদ্বেগের। ভ্যান দার হাউট এলএলপি নামে একটি আইনি প্রতিষ্ঠান রাশেদ চৌধুরীর মামলা দেখভাল করে। প্রতিষ্ঠানটির আইনজীবী মার্ক ভ্যান দার হাউট আরেক আইনি প্রতিষ্ঠান মরিসন অ্যান্ড ফস্টার্স-এর সান ফ্রান্সিসকো কার্যালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে মামলাটি পরিচালনা করেন। তারা বলছেন, বার হয়তো ইতিমধ্যেই চৌধুরীকে আশ্রয় দিয়ে অভিবাসন আদালতের নেয়া সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। ভ্যান দার হাউট বলেন, বিল বার যদি রাশেদ চৌধুরীর পক্ষে বিচারকদের দেয়া রায়ের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ না করতেন, তাহলে এই মামলা পুনরায় চালু করার আর কোনো কারণ তার ছিল না। এ বিষয়ে ওই আইনজীবী বলেন, আমার মনে এ নিয়ে কোনো সন্দেহই নেই যে এটিই সত্য। তিনি ‘রি-সার্টিফিকেশন’-এর কার্যক্রম শুরু করেছেন। মূলত, আনুষ্ঠানিকতার স্বার্থেই মামলার বিবরণ চাচ্ছেন তিনি। আদালতের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করতে চাইলে, এই মামলা পুনরায় চালু করার কোনো কারণ তার ছিল না।
অন্যান্য আইনজীবীরা বলছেন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত অভিবাসীদের জন্য এই পদক্ষেপ এক ভয়াবহ বার্তা দিচ্ছে। আমেরিকান ইমিগ্রেশন লইয়ার্স এসোসিয়েশন-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট জেরেমি ম্যাকিনি বলেন, ‘একটি মামলা সমাধা হওয়ার এক দশকেরও পরে সেটি পুনরায় চালু করার বিষয়টি আমাদের এসোসিয়েশনের কাছে উদ্বেগজনক মনে হয়েছে। আর আমরা মনে করি যে, শুধু আশ্রয়প্রার্থী বিদেশি নাগরিকরাই নন, অভিবাসন আদালতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল অংশীদার, এমনকি হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগেরও এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত যে, কোনো কিছুই যেন শেষ হবার নয়।’
তিনি আরো বলেন, হঠাৎ করে এই মামলা পুনরায় চালু করার কোনো মানে হয় না। ‘আমি দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে অভিবাসন আইন নিয়ে কাজ করছি। আমি কখনই এভাবে কারও মামলা এক দশক পর সংরক্ষণাগার থেকে বের করে পুনরায় চালু করতে দেখিনি। আমি কখনই এমন কিছু দেখিনি।’

(এই প্রতিবেদন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি বিষয়ক সংবাদ মাধ্যম পলিটিকো’তে প্রকাশিত হয়েছে। বিষয়টির সংবেদনশীলতা বিবেচনায় এই প্রতিবেদন ঈষৎ পরিমার্জিত আকারে প্রায় হুবহু অনুবাদ করা হয়েছে।)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *