বাংলাদেশ যখনই কোন জাতীয় সংকটে পড়ে তখনই শুরু হয় ষড়যন্ত্র– বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ

জাতীয় রাজনীতি

বাংলাদেশ যখনই কোন জাতীয় সংকটে পড়ে তখনই শুরু হয় ষড়যন্ত্র। সেই ষড়যন্ত্রের গন্ধ বাতাসে পাওয়া যাচ্ছে। রাজনীতিবিদ এবং রাজনীতিকে খাটো করে বিতর্কিত করে আবারও সেই বিরাজনীতিকরণের অশুভ শক্তি বিএনপি-জামায়াতসহ আরো অনেক অপশক্তি নানানভাবে সক্রিয় হয়েছে। করোনা সংকট থেকে উত্তরণের লক্ষ্যেে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যখন জীবন ও জীবিকার লড়াইয়ে বাঙ্গালী জাতি প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সেই মুহূর্তে বাতাসে ষড়যন্ত্রের গন্ধ খুজে পাচ্ছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতারা। তাই এই অপশক্তির বিরুদ্ধে দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন টানা মেয়াদে সরকার থাকা আওয়ামী লীগ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস উপলক্ষ্যে সীমিত পরিসরে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় নেতারা এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে সীমিত পরিসরে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে দলটি। এতে সভাপতিত্ব করেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাবেক কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। এছাড়াও সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর,
শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন শাহাবুদ্দিন ফরাজী, আনিসুর রহমান।
সভা পরিচালনা করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, এই দেশে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্টের মাধ্যমে নির্বাচনে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দিয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ১/১১তেও শেখ হাসিনা কারাবন্দী থাকা অবস্থাতে তার সেই মন মানসিকতার চিন্তা সবকিছুতে বুকে ধারণ করে আওয়ামী লীগ এবং তার সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের সবাই মিলে এই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য জীবনপণ লড়াই করেছেন।

এক-এগারোর সরকারের সময়কার সেই আন্দোলন-সংগ্রামে এবং নেত্রীর কারামুক্তি আন্দোলনের সময়কার বিভিন্ন স্মৃতিচারণ করেন মতিয়া চৌধুরী।
তিনি আরও বলেন
আজকে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়। শেখ হাসিনা অনেক ষড়যন্ত্র ভেদ করে ক্ষমতায় আছে। নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আছেন তিনি।

আজকে সারা পৃথিবীতে ঝাকুনি দিয়েছে করোনাভাইরাস। এই করোনাভাইরাস মোকাবেলায় দলের নেতাকর্মীরা তার নির্দেশনায় জনগণের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছে।

আজকে একদিকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, বঙ্গবন্ধুর সারাটা জীবনের সংগ্রাম শেখ হাসিনার সামনে আছে। আর আওয়ামী লীগ কর্মী, আওয়ামী লীগকে ভালোবাসে সেই জনগণের সমর্থন লড়াই শেখ হাসিনার পিছনে ইস্পাতকঠিন দৃঢ়তা নিয়ে আছে।
আওয়ামী লীগ নেতারা ওয়ান ইলেভেনে নেত্রীরা মুক্তি আন্দোলনে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগসহ সহ সারাদেশের নেতাকর্মীদের আন্দোলন-সংগ্রামের ভূমিকার কথা স্মরণ করেন এবং সবাইকে সংগ্রামী শুভেচ্ছা ও অভিবাদন জানান। পাশাপাশি দলীয় নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশে ত্রাণ বিতরণে জনগণের পাশে জানানোর জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

জাহাঙ্গীর কবির নানক আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবসের দিনটিতে সেই অতীত ঘটনার কথা স্মরণ করে বলেন, শেখ হাসিনাকে বন্দি করে গণতন্ত্রকে বন্দি করা হয়েছিল। এই বন্দি করে মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকারকে বন্দি করা হয়েছিল। জননেত্রী শেখ হাসিনা ওই কারাগারে রেখেও তাকে দমাতে পারে নাই। তিনি কারাগার থেকে যখনই চিকিৎসার জন্য বেড়িয়েছেন, তিনি পরিষ্কার করে বলেছেন; একমাত্র নির্বাচনই হল সরকার পরিবর্তনের পথ। আমি নির্বাচন ছাড়া অন্য কোন কিছু মানি না। বাংলার জনগন মানবে না।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে, শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা সেদিন সংগ্রাম করেছিলাম। আজকে সেই দিন। আমাদের মনে পরে, বঙ্গবন্ধুর রক্ত যার ধমনীতে প্রবাহিত যে রক্ত কোনদিন পরাভব মানে না সেই রক্তের উত্তরাধিকার শেখ হাসিনা গ্রেফতারকালীন সময়ে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে একটি খোলা চিঠি দিয়ে গিয়েছিলেন, সেই খোলা চিঠি ছিল বাঙালি জাতির জন্য এক নির্দেশনা। সেই নির্দেশনা নিয়েই আওয়ামী লীগসহ সকল সহযোগী সংগঠন পেশাজীবি সংগঠন, অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা সকলেই আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।

সেই সময় আন্দোলন-সংগ্রামের করতে গিয়ে গ্রেফতার নির্যাতনের শিকার হওয়া নেতাকর্মীদের অবদান ও ত্যাগের কথা স্মরণ করে নানক বলেন, বাংলাদেশ সেদিন এক অনিশ্চয়তার মধ্যে মুখোমুখি হয়েছিল। বাংলাদেশ সেদিন যে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছিল সেই অনিশ্চয়তার মধ্যে পরেও বাঙালি জাতি আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশের বঙ্গবন্ধু প্রেমিক নেতাকর্মীরা সেদিন আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে গিয়েছেন। সেই আন্দোলনের ফলশ্রুতি হল মাননীয় নেত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি লাভ।

“কিন্তু আমাদের ভুলে গেলে চলবে না। সেদিন আমাদের দলের ভিতর আভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ ছিল। ছিল দোদুল্যমানতা। ছিল কাপুরুষতা। ছিল এক আপোষকামিতা। ষড়যন্ত্র করে দল ভাঙ্গার আবারো ষড়যন্ত্র হয়েছিল। কিন্তু সকল ষড়যন্ত্রকে ব্যর্থ করে দিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে আমরা ভোট এবং ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি।
নানক বলেন, এই দেশ যখনই কোন জাতীয় সংকটে পড়ে তখনই শুরু হয় ষড়যন্ত্র। সেই ষড়যন্ত্রের গন্ধ আমরা পাচ্ছি। বাতাসে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাওয়া যায়। দেশ-জাতি ও বিশ্ববাসী যখন করোনায় আক্রান্ত; বাংলাদেশও যেহেতু করোনা আক্রান্ত তাই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করনোমুক্ত হওয়ার জন্য জীবন- জীবিকার লড়াইয়ে শেখ যখন বাঙ্গালী জাতি প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সেই মুহূর্তে আমরা বাতাসে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাই।

এই ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দিয়ে আমাদের দলীয় নেতাকর্মীদের আজকের দিনে নতুন করে শপথ নেয়ার আহ্বান জানান তিনি। নানক বলেন, আজকের শপথ হোক সকল ষড়যন্ত্রকে ব্যর্থ করে দিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সুখী সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অব্যাহত অগ্রযাত্রা আমরা রাখবোই রাখবো।

আব্দুর রহমান বলেন, কোন অশুভ চক্রান্ত কখনোই সফল হতে পারে না; যদি না সেটা মানুষের জন্য রাজনীতি না হয়ে থাকে। কারাবন্দি শেখ হাসিনার দৃঢ়তার কারণেই সেদিন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সাহস পেয়েছিল এবং আন্দোলন-সংগ্রাম করে প্রিয় নেত্রীকে মুক্তির পথ প্রশস্ত করেছিল। আজকের এই অবস্থায় একটা কথা বলে রাখা ভাল, যারা জনবিচ্ছিন্ন যাদের বিরুদ্ধে কোনো প্রার্থী না দিলেও যারা নির্বাচনে জিততে পারবে না এমন সমস্ত সেই চক্রান্তকারীরা ওয়ান ইলেভেনের সময় পিছন দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার আকাঙ্ক্ষায় ছিল। কিন্তু আমাদের নেত্রী জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ২০০৮ সালের নির্বাচনে ক্ষমতায় এসেছিলেন এবং একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে তিনি আবারও প্রমাণ করেছিলেন বাংলাদেশের মানুষের আস্থার জায়গা শেখ হাসিনা। তিনি সেই আস্থার
জায়গাকে ধরেই আজ অবধি দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, অগ্রগতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
অথচ করনোকালীন সময়ে বিএনপি-জামায়াত এবং কুশীলবরা তারা কোনোভাবেই মানুষের পাশে দাঁড়ায়নি বলে দাবি করেন আব্দুর রহমান।
তিনি বলেন, কোন অত্যাচার নির্যাতন গ্রেপ্তার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদেরকে দমাতে পারে নাই, তাদের পথ রুদ্ধ করতে পারে নাই। ভবিষ্যতেও কোনো চক্রান্ত কোন ষড়যন্ত্রই আওয়ামী লীগের এই পথ চলাকে, শেখ হাসিনার এই অবিরাম পথ চলাকে কেউ রুখতে পারবে না।

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জননেত্রী শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবসের পটভূমির কথা স্মরণ করে বলেন, প্রকৃতপক্ষে সেদিন শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করার মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকে বন্দি করা হয়েছিল। গণতন্ত্রকে বন্দি করার হীন উদ্দেশ্যে প্রকৃতপক্ষে সেদিন শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কারণ যাদের দুর্নীতি-দুঃশাসনের কারণে বাংলাদেশের মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছিল সেই খালেদা জিয়া এবং খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন সরকারের নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতার করা হয়নি।
এক/এগারোর সরকারের দুরভিসন্ধিমূলক ষড়যন্ত্রের কথা তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা হচ্ছেন গণতন্ত্রের অগ্নিবীণা। তার ধমনী শিরায় বঙ্গবন্ধু রক্ত প্রবাহমান।তিনি কোন আপোষ জানেন না। তিনি পরাভব মানেন না। সেই কারণেই তার নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে যেমন কারাগার থেকে মুক্ত করেছেন।

সেদিন যারা ষড়যন্ত্র করে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করার পটভূমি রচনা করেছিল সেই ওয়ান ইলেভেনের কুশীলবরা আজকেও জনগণ যখন এই করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে অত্যন্ত অসহায় অবস্থায় আছে, তখন জননেত্রী শেখ হাসিনা কিন্তু জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এখনো পর্যন্ত সাত কোটির বেশি মানুষকে সহায়তার আওতায় এনেছেন। বাংলাদেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য ১ লক্ষ ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন।
হাছান মাহমুদ বলেন,
ওয়ান ইলেভেনের কুশীলবরা জনগনের পাশে দাঁড়ায়নি। তারা হারিয়ে গেছে। কিন্তু তাদের ষড়যন্ত্র থেমে নেই। তারা দেশে যখনই কোনো সংকট তৈরি হয় তখনই তারা ছোবল দেয়ার অপচেষ্টা দেখায়। বিভিন্ন জায়গায় বৈঠক করে কিভাবে গণতন্ত্রকে আবারো নস্যাৎ করা যায় সেই চেষ্টা তারা এখনও অব্যাহত রেখেছে।

সংকট সংগ্রামে আজকে জননেত্রী শেখ হাসিনা অবিরাম অবিচল। তিনি সমস্ত সংকটে অবিরাম অবিচল থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন জানিয়ে দলীয় সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার প্রতি অভিবাদন জানান।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, এখনো আমরা দেখছি, আমরা বুঝতে পারছি যখনই বাংলাদেশের মানুষ সংকটে পড়ে তখন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে মানুষের পাশে দাঁড়ায় এবং দেশকে দেশের মানুষকে রক্ষার জন্য সামনের দিকে এগিয়ে যায়। আর তার পাশাপাশি একটি কুচক্রী মহল যখনই এ ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয় তখনই তারা ষড়যন্ত্র করে। তখনই তারা নানান ধরনের অপকর্মে লিপ্ত হয়।
যখন আমরা দেখি এ দেশের মানুষকে রক্ষা করার জন্য সমস্ত শক্তি মেধা দিয়ে প্রণোদনা দিয়ে দেশের মানুষকে জাগিয়ে তোলার আশায় আলোকিত করার জন্য সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা কাজ করছে, তখন ষড়যন্ত্রকারীরা নীলনকশা করে এই দুরবস্থার ভিতরেও। তারা রাজনীতি করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার চেষ্টা করছে।
সাম্প্রতিক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্রের দিকে ইঙ্গিত করে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আজকে আমরা দেখি রাজনীতিবিদদের চরিত্র হনন করার জন্য একটি মহল উঠেপড়ে লেগেছে। অথচ সেখানে কিন্তু বিভিন্ন পর্যায়ের মিডিয়া মোঘল থেকে শুরু করে নানান পর্যায়ের সরকারি-বেসরকারি এবং ব্যবসায়ী পর্যায়ের লোকজনের সাথে ওই কুচক্রী মহলদের নানান ভাবে সম্পৃক্ত। তাদের বিষয়টি কিন্তু আলোচিত হয় না, সমালোচিত হয় না। তাদের বিষয়টি দেশের মানুষের কাছে তুলে ধরা হয় না। শুধুমাত্র রাজনীতিবিদ বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি এবং গণতান্ত্রিক শক্তির পূজারী যারা তাদেরকে চরিত্র হনন করার জন্য, তাদেরকে বিকৃত করার জন্য, খাটো করার জন্য রাজনীতিবিদ এবং রাজনীতিকে খাটো করে বিতর্কিত করে আবারও সেই বিরাজনীতিকরণের অশুভ শক্তি বিএনপি-জামায়াতসহ আরো অনেক অপশক্তি নানান ভাবে সক্রিয় হয়েছে।

এই অপশক্তির বিরুদ্ধে দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে নাছিম বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সজাগ আছে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি সজাগ আছে। সক্রিয় আছে। কোন ষড়যন্ত্রই কোন ধরনের অপপ্রচার অথবা বিরাজনীতিকরণের যেকোন অপকর্মকে আমরা প্রতিহত করবো। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকবো, আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়েই যাবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *