লক্ষ্মী পেঁচার ৭টি ছানার তথ্য প্রচার বিভিন্ন গণমাধ্যমে।

চর ফ্যাশন প্রচ্ছদ

লক্ষ্মী পেঁচার ৭টি ছানার তথ্য প্রচার বিভিন্ন গণমাধ্যমে।

মিজান ফারহান।।

ভোলার চরফ্যাশনে প্রায় বিলুপ্ত লক্ষ্মী পেঁচার বাচ্চা উদ্ধার করা হয়েছে। চরফ্যাশনে উপজেলা ৯নং চর মানিকা ইউনিয়নের উত্তর চরমানিকা লতিফিয়া দাখিল মাদরাসার ভবনের পানির ট্যাংকির নীচে ৭টি লক্ষ্মী পেঁচার বাচ্চা পাওয়া গেছে। ওই মাদরাসার দশম শ্রেণির ছাত্র ওয়াকিল হোসেন রোববার সকালে ভবনের ছাঁদ থেকে পানির ট্যাংকির কোনে ৭টি লক্ষ্মী পেঁচার বাচ্চা দেখতে পেয়ে।

সহপাঠী ছাত্র ছাত্রী ও শিক্ষককে অবহিত করে।মাদরাসার শিক্ষকরা লক্ষ্মী পেঁচাকে কোন রকম ক্ষতি না করতে সবাইকে তাৎক্ষনিক অবগত করে। ধারণা করা হচ্ছে, লক্ষ্মী পেঁচার মা ভবনের পানির ট্যাংকির নীচে নিরাপদ আশ্রয় বাচ্চা পালনের জায়গা বেচে নিয়েছে।

এব্যাপারে ওই মাদরাসার সহকারী শিক্ষক এম লোকমান হোসেন বলেন, লক্ষ্মী পেঁচার ৭টি বাচ্চার খবর শুনে প্রতিষ্ঠানের উৎসুক ছাত্র -ছাত্রী ও এলাকাবাসী এক নজর লক্ষ্মী পেঁচা দেখতে ভীড় করছে। মাদরাসা কর্তৃপক্ষ লক্ষ্মী পেঁচার বাচ্চাগুলো যাহাতে নিরাপদে থাকে সে বিষয়ে বিশেষ ভাবে খেয়াল রাখছে।

এবংচর মানিকা বনবিভাগ কর্মকর্তা আবুল কাশেম কে বিষয় টা অবগত করলে,তিনি বলেন এই ছোট বাচ্চা গুলো কে এখান থেকে নিয়ে ।বাচ্চা গুলো যদি মা সহ বাগানে ছেড়ে দেই মা পেঁচা টি বেঁচে যাবে কিন্তু গুলো বাঁচানো সম্ভব হবে না। বাচ্চা গুলো উড়া শিখা পর্যন্ত এখানেই থাকবে।আমরা বাচ্চা গুলোর তদারকি কি করব।

লক্ষ্মী পেঁচা সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এটি ১ প্রকার নিশাচর শিকারি পাখি। স্ট্রিজিফর্মিস বর্গভুক্ত এই পাখিটির এখন পর্যন্ত অল্প সয়খ্যক প্রজাতি টিকে আছে। বেশিরভাগ পেঁচা ছোট ছোট স্তন্যপায়ী প্রাণী যেমন ইঁদুর এবং কীটপতঙ্গ শিকার করে। তবে কিছু প্রজাতি মাছও শিকার করে। পেঁচা ওপর থেকে ছোঁ মেরে শিকার ধরতে অভ্যস্ত। শিকার করা ও শিকার ধরে রাখতে এরা বাঁকানো ঠোঁট বা চক্ষু এবং নখের ব্যবহার করে।

বাংলাদেশে সতেরো প্রজাতির পেঁচা পাওয়া যায়, যার মধ্যে পনেরোটি স্থায়ী এবং দু’টি পরিযায়ী। নির্বিচারে প্রাকৃতিক বৃক্ষ নিধন, ফসল আবাদ করতে জমিতে বিভিন্ন প্রকার কীটনাশক ব্যবহার ও অবাধে শৌখিনতার বসে শিকারের ফলে লক্ষ্মী পেঁচা আজ বিলুপ্তির পথে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *