স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কালো তালিকায় ১৪ ঠিকাদার

সাস্থ্য ও চিকিৎসা

স্বাস্থ্যখাতের বড় ধরণের দুর্নীতির তথ্য করোনার এই দুর্যোগেও বেরিয়ে আসছে। আর এসব দুর্নীতির সাথে জড়িত বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নাম উঠে এসেছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্তেও বেশ কয়েকটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নাম উঠে এসেছে। বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের যন্ত্রপাতি কেনাকাটায় দুর্নীতি-অনিয়মে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ১৪ টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ‘কালো তালিকা’ভুক্ত করেছে ।
বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. বেলাল হোসেন স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনা দেশের সব হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। যা সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিভিন্ন গণমাধ্যমে পাঠানো হয়েছে।
নির্দেশনায় জানানো হয়, সরকারি অর্থের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণসহ ক্রয় কার্যক্রমে স্বচ্ছতা আনা এবং দুর্নীতি, প্রতারণা ও চক্রান্তমূলক কার্যকলাপে জড়িত ছিল ১৪টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠান ও তাদের মালিকদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুদক মামলা করে সে তালিকা পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে। দুদকের সুপারিশের ভিত্তিতে এসব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানসহ প্রতিষ্ঠানের মালিকদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে গত ৯ জুন অধিদপ্তরকে চিঠি দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
যেসব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে- রহমান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল এবং রূপা ফ্যাশনের মালিক রুবিনা খানম। মেসার্স অনিক ট্রেডার্সের আব্দুল্লাহ আল মামুন, মেসার্স আহমেদ এন্টারপ্রাইজের মুন্সী ফররুখ হোসাইন, মেসার্স ম্যানিলা মেডিসিন এন্ড মেসার্স এস কে ট্রেডার্সের মনজুর আহমেদ, এমএইচ ফার্মার মোসাদ্দেক হোসেন, মেসার্স অভি ড্রাগসের মো. জয়নাল আবেদীন, মেসার্স আলবিরা ফার্মেসির মো. আলমগীর হোসেন, এস এম ট্রেডার্সের মো. মিন্টু, মেসার্স মার্কেন্টাইল ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মো. আব্দুস সাত্তার সরকার ও মো. আহসান হাবিব, বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিকেল কোম্পানির মো. জাহের উদ্দিন সরকার, ইউনির্ভাসেল ট্রেড কর্পোরেশনের মো. আসাদুর রহমান, এ এস এলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আফতাব আহমেদ এবং ব্লেয়ার এভিয়েশনের মো. মোকছেদুল ইসলাম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *