চীনের প্রভাব বৃদ্ধিতে নেপালে শুরু হয়েছে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব

আন্তর্জাতিক প্রচ্ছদ

অনলাইন ডেস্ক

আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি ক্ষমতাচ্যূত করা হতে পারে। ৮ জুলাই এ নিয়ে খবর প্রকাশ করেছে ই্য়াহু নিউজ। প্রধানমন্ত্রীর পদ নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের মধ্যেই দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। সম্প্রতি ভারতের তিনটি অঞ্চল নতুন মানচিত্রে অর্ন্তভুক্ত করে নিজ দলে বিতর্কিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি। এদিকে চীনের সঙ্গেও সখ্যতা বাড়ছে নেপালের। এতে দেশটির ক্ষমতাসীন দলের মধ্যে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানা গেছে।

ওলির প্রতিদ্বন্দ্বী নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির নেতা পুষ্প কুমার দাহাল জানিয়েছেন, এবার তার ক্ষমতায় বসার সময় এসে গেছে। ওলিকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে কী না এ বিষয়ে দলের বেশ কয়েকটি বৈঠক করা হবে। এরপরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এর আগে গত সপ্তাহে ওলি জানিয়েছিলেন, তার দলের কয়েকজন নেতার সহায়তা নিয়ে তাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে চেষ্টা করছে ভারত। এরপরেই দলের নেতাদের রোষের মুখে পড়েন ওলি।

এতদিন ধরে নেপালে ভারতের প্রভাবই ছিল বেশি। তবে সম্প্রতি সার্বিক পরিস্থিতি পাল্টে যায়। হিমালয়ান এ দেশটিতে চীনে প্রভাবে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। নেপালে এয়ারপোর্ট, হাইওয়ে, হাইড্রোপাওয়ার প্রজেক্টে বিনিয়োগ করেছে চীন। এই সপ্তাহেও নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে বৈঠক করেছে চীনের রাষ্ট্রদূত। নেপালের রাজনৈতিক নেতাদের সাথে সম্পর্ক জোরদার করতে কাজ করে যাচ্ছেন চীনের কূটনীতিকরা।
উল্লেখ্য, ক্ষমতাগ্রহণের পর থেকে দলের ভেতরে ও বাইরে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিগণিত হয়েছিলেন ওলি। নেপাল-ভারতের মধ্যকার বিতর্কিত ভূখণ্ড দেশের নতুন মানচিত্রে অন্তর্ভূক্ত করে দেশব্যাপী প্রশংসিতও হয়েছেন তিনি। কাউকে খুব একটা তার বিরুদ্ধাচরণ করতে দেখা যায়নি। এবার দলের ভেতরকার দ্বন্দ্বের জেরে বিপাকে পড়েছেন তিনি।

সংসদে কমিউনিস্ট পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পর ২০১৭ সালে ওলি নেপালের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। নির্বাচনের আগে ওলি ও প্রচণ্ডের নেতৃত্বাধীন দুই কমিউনিস্ট পার্টি একীভূত হয়। ধারণা করা হয়েছিল, প্রধানমন্ত্রীর ৫ বছরের মেয়াদে ক্ষমতাভাগাভাগি করে শাসন করবেন দুই নেতা। তবে ওলি ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানোর কোনো লক্ষণ দেখাননি। দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির এক নেতা বলেছেন, আমাদের রাজনৈতিক দলের মধ্যে মতপার্থক্য ও নেতা-কর্মীদের মাঝে দ্বন্দ্ব নতুন কিছু নয়। তবে এখন এটা রাজনৈতিক সঙ্কটে পরিণত হয়েছে কারণ আমাদের দল সর্ববৃহৎ এবং দলটি সরকারে আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *