করোনা পরিস্থিতিতে গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : তথ্যমন্ত্রী

জাতীয়

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, করোনাভাইরাসের প্রকোপ, ভয়াবহতা এবং প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে মানুষ যেন ঠিকভাবে জানতে পারে এবং একই সঙ্গে এ সময় যারা কর্মে নিয়োজিত, তারা যাতে দায়িত্বশীল পদক্ষেপ প্রহণ করে, সে জন্য এ পরিস্থিতিতে গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গতকাল সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাব পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সভায় জাতীয় প্রেস ক্লাব সভাপতি সাইফুল আলম, সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, সিনিয়র সহসভাপতি ওমর ফারুক, কোষাধ্যক্ষ শ্যামল দত্ত, যুগ্ম সম্পাদক মাইনুল আলম, নির্বাহী সদস্য কুদ্দুস আফ্রাদ, আবদাল আহমেদ ও জাহিদুজ্জামান ফারুক উপস্থিত ছিলেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকে গণমাধ্যমের প্রতি অনুরোধ ছিল তারা যেন গুজব রটনাকারীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকে ও গণমাধ্যম যাতে চালু থাকে। আমরা দেখছি, সমস্ত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও গণমাধ্যম চালু আছে। তবে অনেক সাংবাদিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং বেশ কয়েকজন ইতিমধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে করোনা এবং করোনা উপসর্গে মৃত্যুবরণকারী সাংবাদিকদের প্রত্যেক পরিবারকে ৩ লাখ টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। ইতিমধ্যে ৬টি পরিবারকে এ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে করোনাকালে অসুবিধায় নিপতিত সাংবাদিকদের এককালীন ১০ হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। সাংবাদিক ইউনিয়ন, প্রেস ক্লাব ও ডিসি অফিস এ কাজে সহায়তা করছে।

প্রেস ক্লাব সভাপতি সাইফুল আলম উত্থাপিত প্রেস ক্লাবের মূল আয় হলো ভাড়া বন্ধ থাকার কারণে প্রেস ক্লাব কিছুটা আর্থিক সংকটে পড়েছে -এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, এটি নিয়ে আরও আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের প্রকোপ এখন কোন পর্যায়ে, সেটি বিশেষজ্ঞরাই ভালো বলতে পারবেন। তবে কয়েকটি পত্রিকায় দেখেছি প্রকোপটা কমতির দিকে। জীবন ও জীবিকা রক্ষায় সমস্ত কিছু যখন আস্তে আস্তে খুলে যাচ্ছে, প্রেস ক্লাবও সেক্ষেত্রে সীমিত আকারে খুলে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় রাখা যেতে পারে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, এই সময় সংবাদপত্রগুলোর বিক্রি ও ছাপা সংখ্যা দুটিই কমেছে। এ অবস্থা লক্ষ্য করেই আমি নিজে অনুরোধ করে মন্ত্রিপরিষদের পক্ষ থেকে প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলাম, যাতে তারা সংবাদপত্রের বকেয়াগুলো পরিশোধ করে। এতে অনেকটা ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে এবং প্রয়োজনে আবার তাগিদ দেওয়া হবে। বকেয়া বিলগুলো পেলে সংবাদপত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক, কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেওয়া সহজ হয়, সেজন্যই এ পদক্ষেপ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *